এর আগে বেলা ১২টার দিকে আলমগীর কবির বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে আলমগীরের সঙ্গে আলাপ করেন এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। এ সময় তার কাছে থেকে বিস্তারিত কথাবার্তা শোনেন তিনি।
এসপি জানান, আলমগীরের ওই বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করার জন্য তার সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। কথা বলে মনে হয়েছে তার চাকরি আসলেই প্রয়োজন। আবার এটাও ঠিক ওই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হীন মানসিকতার পরিচয়। সে কথা তাকে তিনি বলেছেন। এসপি আরও জানান, ‘আমরা তাকে স্বপ্ন সুপার শপে চাকরির ব্যবস্থা করছি। তবে কোনো পদে চাকরি হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তার যোগ্যতা যাচাই করে পদ নির্ধারণ করা হবে।’
চাকরি পাওয়ার বিষয়ে আলমগীর জানান, ‘এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।’ আর্থিক অনটনের কারণে আলমগীর কবিরের তিন বেলা ঠিকমতো খাওয়া হচ্ছিল না। এ কারণে উপায় না দেখে সম্প্রতি তিনি এই (বিজ্ঞাপন) আশ্রয় নেন।
দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, ‘শুধু দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’ দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো সেই বিজ্ঞাপনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। এরপর থেকে পোস্টটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে আলমগীর কবির নিজেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
তিনি জানান, ফেসবুকে ওই পোস্ট তিনি করেননি। কেউ একজন করেছেন। ৩২ বছর বয়সী আলমগীর কবির বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তার বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শরাইল গ্রামে। তবে আলমগীর বগুড়া শহরের জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকার পাশের একটি বাড়িতে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত মানবিক দিক বিবেচনায় আলমগীরের খোঁজ করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন