রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা অনেক বেড়েছে। তবে এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এবারই প্রথম মুখ খুললেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে প্রথম তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের অজুহাত হিসেবে সংঘাতকে ব্যবহার করা। একইসঙ্গে দেশটি ইউরোপে ন্যাটো বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ উপেক্ষা করছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার মস্কোতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
বৈঠক শেষে পুতিন বলেন, আমার ধারণা ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ততটা উদ্বিগ্ন নয়। রাশিয়ার উন্নয়ন আটকে রাখাই দেশটির প্রধান উদ্দেশ্য। ইউক্রেন এই মার্কিন লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটি হাতিয়ার মাত্র।
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এক লাখ রুশ সেনা ও অস্ত্র সরঞ্জামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ইউক্রেনে আক্রমণের পরিকল্পনা করার পশ্চিমা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
প্রায় ৮ বছর ‘ঐতিহাসিক কারণ’ দেখিয়ে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে নিজের সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়েছিল রাশিয়া। এছাড়া দেশটির পূর্ব দনবাস অঞ্চলে এক রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহকেও সমর্থন দিয়েছে দেশটি।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাশিয়া আক্রমণ করলে তা শুধু ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো যুদ্ধ হবে না, ইউরোপজুড়ে একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ হবে।
রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেই শীতল যুদ্ধের (১৯৪৭-৮৯) আমল থেকে। দেশ দুটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের অধিকারী।
কাজেই পুতিনের আশঙ্কা, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে অনুমোদিত হলে তা পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অন্য সদস্যকেও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে টেনে আনতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন