গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে। একসঙ্গে এতগুলো প্রাণীর মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও।
এখনও বের হয়নি মৃত্যু রহস্য। এ নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বৈঠক করছে। মাঠে কাজ করছে তদন্ত কমিটি। এরমধ্যেই সাফারি পার্কের সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সাফারি পার্কে জেব্রা ও মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার বিকেলে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। গতকাল রোববারও তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কয়েকদফা টেলিফোনে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তদন্ত কমিটি পার্কের বর্তমান কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছিল মন্ত্রীর কাছে।
সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এ বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। যেকোনো ভাবেই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে। জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাদের প্রত্যাহার করা হবে। দ্রুত এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু হবে।
জেব্রার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্যরা হলেন - একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা এ বি এম শহীদুল্লাহ, বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান।
রোববার স্থানীয় এমপি ইকবাল হোসেন সাফারি পার্ক পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বলেন, ‘সাফারি পার্কের বর্তমান কর্মকর্তাদের স্বপদে বহাল রেখে তদন্ত করলে তদন্ত কমিটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে পারবে না।’ এ সময় তিনি কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জেব্রাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন