মোস্তাফিজুর রহমানের বিধ্বংসী বোলিং এবং অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের ব্যাটিং ঝড়ে বিশাল জয় তুলে নিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে তারা। দলের হয়ে ফিজ ৫ উইকেট শিকার করেন। আর ইমরুল খেলেন ৮১ রানের ঝলমলে ইনিংস।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চ্যাডউইক ওয়ালটনকে হারায় চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রান যোগ করে সেই ধাক্কা সামলে ওঠেন আফিফ হোসেন ও উইল জ্যাকস। ২৭ রান করে তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হন আফিফ।
তবে থেকে যান জ্যাকস। শামীম হোসেনকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। তবে তাকে যথার্থ সঙ্গ দিতে পারেননি শামীম। ২৬ রান করে বিদায় নেন তিনি।
ম্যাচে নিজের প্রথম ওভার ভালো করতে পারেননি মোস্তাফিজ। সেই ওভারে ১৪ রান খরচ করেন তিনি। তবে পরের ওভারেই শামীম ও জ্যাকসকে তুলে নেন কাটার মাস্টার। নিজের তৃতীয় ওভারে নাঈম ইসলাম ও বেনি হাওয়েলকে শিকার করেন ফিজ।
চট্টগ্রামের হয়ে ইনফর্ম জ্যাকস করেন ৩৭ বলে ৫৭ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার ও ৩ ছক্কায়। জ্যাকস সাজঘরে ফেরার পর আর লড়াই করতে পারেনি চট্টগ্রাম। নিজের শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে বিপিএলে প্রথমবার ৫ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। বিপিএলে ১৫তম বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয়বার ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরার কীর্তি।
বৃষ্টির কারণে খেলা নেমে আসে ১৮ ওভারে। শেষ পর্যন্ত সবকটি ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। বৃষ্টি আইনে ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন কুমিল্লার দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ইমরুল ও লিটন। নির্বিঘ্নে রান তোলেন তারা। তাদের জুটিতে আসে ১৩৮ রান। ৩৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন লিটন।
আর ইমরুল অপরাজিত থাকেন ৬২ বলে ৮১ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে। তার ইনিংসটি সাজানো ৬ চার ও ৫ ছক্কায়। পরে ব্যাট করতে নামা ফ্যাফ ডু প্লেসি কোনো রান করতে পারেননি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন