অ্যাশেজে ‘নো বল’ নিয়ে তুলকালাম | I tossed the ‘no ball’ in Ashes ashes


ভয়ংকর ব্যাপার!

চলতি অ্যাশেজ সিরিজের ব্রিসবেন টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনে এমন ঘটনা ধরা পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল সেভেন’-এর ক্যামেরায়। গুরুতর কারিগরি ত্রুটি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও।

চ্যানেল সেভেনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘স্টোকসের প্রথম ৫ ওভারে ১৪ বার “ওভারস্টেপের” ঘটনাটি ধরেছেন চ্যানেল সেভেনের ট্রেন্ট কোপল্যান্ড।’ এর মধ্যে দুটি ডেলিভারি ‘নো বল’ ধরেছেন আম্পায়ার।


ওয়ার্নার ১৭ রানে ব্যাট করার সময় টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। চতুর্থ ডেলিভারিতে ওয়ার্নারকে বোল্ড করলেও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ডেলিভারিটি ‘নো বল’ ছিল। এর বাইরে স্টোকসের আরেকটি অবৈধ ডেলিভারি ‘নো বল’ হিসেবে ধরতে পেরেছেন আম্পায়ার।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে তখন বেশ খেপে যেতেও দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরই চ্যানেল সেভেনের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ওভারে স্টোকসের আগের তিনটি ডেলিভারিই ‘নো বল’ ছিল। প্রতিবারই ‘ওভারস্টেপ’ করেন ইংল্যান্ড তারকা। কিন্তু একটিও আম্পায়ার কিংবা টিভিপ্রযুক্তি ধরতে পারেনি!

বেশ কিছুক্ষণ পর সেভেনের ভিডিওতে দেখানো হয়, স্টোকস প্রথম সেশনে এমন ১৪টি ‘ওভারস্টেপ’ ডেলিভারি করেছেন, যার প্রতিটিতে তিনি বোলিং ক্রিজের দাগ পেরিয়ে গেছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এরপর হঠাৎ করেই জানায়, টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই আইসিসির লাইভ রিভিউ প্রযুক্তি ঠিকমতো কাজ করেনি।

ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ‘নো বল’ ধরা পড়েনি। তবে এর মানে এই নয় যে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা নো বল করেছিলেন ঠিকই, প্রযুক্তির ব্যর্থতায় তা ধরা পড়েনি। কামিন্স-স্টার্করা নো না–ও করতে পারেন। কিন্তু আজ এক বোলারেরই ১২টি ডেলিভারি চোখ এড়িয়ে যাওয়ার পর ‘নো বল’ ছাড়া প্রথম দিন নিয়ে ভ্রুকুটি জাগতেই পারে।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদকর্মী ও ধারাভাষ্যকার অ্যালিসন মিচেল চ্যানেল সেভেনকে বলেন, ‘এই টেস্ট শুরুর আগে আইসিসিকে যে প্রযুক্তি সরবরাহ করা হয়েছে, তা ঠিকমতো কাজ করেনি। অর্থাৎ এই টেস্ট ম্যাচ ২০২০ সালের আগের কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে, যেখানে শুধু উইকেট নেওয়ার ডেলিভারিতেই দেখা হতো বোলারের পা দাগ পেরিয়ে গেছে কি না।’


অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের কাছে, টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সিরিজে এমন ঘটনা ‘হতাশার’ এবং সাবেক ওপেনার ম্যাথু হেইডেনের চোখে ‘অবিশ্বাস্য ব্যাপার।’ হেইডেন বলেন, ‘খেলা থেকে এ বিষয় পরিহার করতে হবে। প্রযুক্তির সাহায্য নিলে পুরো সেবাই পেতে হবে। কারণ, প্রযুক্তি থাকলে মাঠের আম্পায়াররা খুব স্বাভাবিকভাবেই এটার ওপর ভরসা রাখবেন।’


ব্রিসবেন টেস্টে মাঠে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন পল রেইফেল ও রড টাকার। টিভি আম্পায়ার হিসেবে আছেন পল উইলসন।

আম্পায়ারদের সমালোচনা করেন পন্টিং, ‘কিছু নো বল মোটেও ছোটখাটো ছিল না। (দাগ থেকে) ৬ ইঞ্চিও পরিমাণও (পা) বেরিয়ে গেছে। এখনকার আম্পায়াররা কি অলস হয়ে যাচ্ছেন? ভালোমতো দেখেন না? আগে বৈধ ডেলিভারিতে উইকেট পড়লেও তাঁরা নো বল ডাকার কারণেই এ প্রযুক্তি এসেছে।’


গত বছর আগস্টে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে আইসিসি জানায়, টিভি আম্পায়ার এখন থেকে বোলারের প্রতিটি ডেলিভারি বৈধ কি না (শুধু নো বলের ক্ষেত্রে), তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

৪:৪৫ AM

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget