অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের থমকে থাকা ক্রিকেটীয় সম্পর্ক গতি পেতে যাচ্ছে। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে তালেবান শাসনে থাকা দেশটি।
তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর ‘সবার জন্য খেলা’ নীতিতে বিশ্বাসী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, তালেবান সরকার আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেট সমর্থন না করলে আফগান ছেলেদের বিপক্ষেও খেলবে না তারা। বাতিল হয়ে যায় একমাত্র টেস্ট।সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন জানান, আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখতে চান না তিনি। তাতে অবশ্য কান দেয়নি আইসিসি। তবে টুর্নামেন্ট শেষেই একটি কমিটি করে দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে সেই কমিটি।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার আগামী দুই বছরের জন্য ভবিষ্যৎ সূচি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১টি ওয়ানডে, ৪টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট সিরিজ খেলবে আফগানরা।
এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম মুখোমুখি হবে দেশ দুটি। ওয়ানডে সিরিজ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ।
২০২৩ সালের মার্চ-এপ্রিলে দুই দল খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দুটি সিরিজের আয়োজকই আফগানিস্তান। এখন পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডেতে দেখা হয়েছে দুই দলের। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ছাড়া দুই দল একটি ওয়ানডে খেলেছিল ২০১২ সালে।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এরই মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছে আফগানিস্তান। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে তারা। আগামী মার্চে তিন ওয়ানডের সিরিজটি হবে ভারতের মাটিতে। এটি সুপার লিগের অংশ।
আফগানদের নতুন সূচি শুরু হবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। আগামী জানুয়ারিতে স্বাগতিক হিসেবে সিরিজটি খেলবে তারা। এরপর তারা জিম্বাবুয়েতে যাবে তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচি অনুযায়ীই আছে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজ। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশে হবে সাদা বলের সিরিজ দুটি।
আফগানদের দুটি টেস্ট সিরিজের প্রথমটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। একটি টেস্টের সঙ্গে পাঁচ ওয়ানডে খেলতে জুলাই-অগাস্টে আয়ারল্যান্ডে যাবে তারা।
বছরের শেষ দিকে আবার জিম্বাবুয়েতে যাবে তারা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাঁচ ওয়ানডে ও দুটি করে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলবে দল দুটি।
আগামী দুই বছরে আছে দুটি এশিয়া কাপ, একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টগুলো ছাড়াও এই সময়ে মোট ৫২ ম্যাচ খেলবে আফগানরা। যার মধ্যে নিজেরা আয়োজন করবে ১৮টি, আর ৩৪টি খেলবে প্রতিপক্ষের মাটিতে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন