জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদকে নিয়ে জাগো নিউজের প্রতিবেদনে ক্রিকেটাঙ্গনে তোলপাড়। আজ (বুধবার) দুপুরে জাগো নিউজে প্রকাশিত হয়েছে তাকে দলে রাখতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এবং দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনকে এসএমএস করেছিলেন তাসকিন।
জাগো নিউজের এই স্পর্শকাতর প্রতিবেদনটি অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর চারপাশে গুঞ্জন ফিসফাঁস-আসল ঘটনা কী?
বলার অপেক্ষা রাখে না, হাওয়া থেকে পাওয়া খবর নয়। মিরপুর স্টেডিয়াম ও তার আশপাশ এবং ক্রিকেট ক্লাবপাড়ার বাতাসে ভাসা গুঞ্জনও নয়। উপরে যাদের কথা বলা হয়েছে, তাদের প্রায় সবার দেয়া তথ্যের আলোকেই জাগো নিউজের ওই প্রতিবেদন। জাগো নিউজকে তারা নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, তাসকিন যেচে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভায় যোগ দিতে এসে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও হঠাৎ বলে উঠেন, ‘তাসকিনের সাথে আমার কথা হয়েছে।’ বিসিবি সভাপতি তার কাছে জানতে চান, কেন আজ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচে খেলেননি।বলার অপেক্ষা রাখে না, দীর্ঘ সময়ের ইনজুরি ও রিহ্যাব কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে পারেননি তাসকিন। উত্তরা স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ৫ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এরপর মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেননি। একাদশে ছিলেন না আজ (বুধবার) শেখ জামালের বিপক্ষে রূপগঞ্জের সুপার লিগের লড়াইয়েও।
জাতির জনক, বাংলাদেশের রূপকার ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভায় বিশ্বকাপ স্কোয়াড ও বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি তাসকিন প্রসঙ্গের অবতারণাই বলে দিচ্ছে, জাতীয় দলের এই পেসার তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
সেটা যে গুজব নয়, তার প্রমাণ দিলেন তাসকিন নিজেই বুধবার রাতে এই প্রতিবেদককে ফোন করে। রাত সোয়া ৮টা নাগাদ জাগো নিউজের এই প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে তাসকিন ওই ঘটনায় আত্মপক্ষসমর্থন করে বলেন, ‘আমি এসএমএস করিনি। আমাকে দলে নেয়ার জন্য তদবিরও করিনি। তবে আমি নির্বাচক ও সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে নিজে ফোন করেছি এবং তাদের কাছ থেকে দোয়া ও শুভকামনা চেয়েছি। এর বাইরে অন্য কিছু করিনি। এটা যদি দলে থাকার তদবির হয়, তবে আমার কিছু বলার নেই।’
বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া ডান হাতি এই পেসার আরও দাবি করেন, ‘আমি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে যেদিন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামি, মূলত সেদিনই প্রথম কল দিয়েছিলাম।’
ওই ম্যাচের পর দুই ম্যাচ মাঠের বাইরে। এর মধ্যে তিনি আর নির্বাচক ও বোর্ড কর্তাদের ফোন বা এসএমএস করেছিলেন কি না- তা অবশ্য বলেননি তাসকিন।
(jagonews24)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন