আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময় চেয়ে করা আবেদনে আদালত অবমাননা হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ধরনের কোনো আবেদন করা হলে তা আদালতে যাবে এবং সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।
বুধবার বিজিএমইএর অবৈধ ভবন ভাঙার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আপিল বিভাগে করা আবেদন তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়ে বিজিএমইএর সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সময় চেয়ে আবেদন প্রত্যাহার না করা হলে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, এর আগে গত বছর ২ এপ্রিল ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না উল্লেখ করে বিজিএমইএর দেওয়া অঙ্গীকারে আবেদন মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় ভবন সরাতে সময় বৃদ্ধি করে আদেশ দেয়।
ভবনটি সরাতে গত ১২ এপ্রিল সময় শেষ হয়। এরপরও ভবন সরিয়ে না নেওয়ায় গত মঙ্গলবার রাজউক ভবনটি সিলগালা করে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করে উচ্চ আদালত। এ ভবনটি বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় পরিবেশের ক্ষতি করে বেআইনিভাবে প্রায় ২০ বছর আগে বহুতলবিশিষ্ট বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়।
হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে জলাধার রক্ষা আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বহুতল এ ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেয়। রায়ে বলা হয়, বিজিএমইএ ভবনটি সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ৬৯ পৃষ্ঠায় রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে আপিল করে বিজিএমইএ।
ইত্তেফাক/এমআই
(ittefaq)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন