একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
নিয়ম অনুযায়ী আজই ছিল শপথ নেয়ার শেষ দিন। এর আগে গতকাল বিএনপির চারজন শপথ নিলেও শপথ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন মির্জা ফখরুল।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ নেয়ার কথা। কিন্তু তিনি অসমর্থ হওয়ায় তার আসনটি শূন্য হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণের অসমর্থ হওয়ায় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮ (৩) অনুযায়ী বিষয়টি সংসদকে অবহিত করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী বিষয়টি সংসদকে অবহিত করা হলো।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।
নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।
এসবের মধ্যেই শপথ নিলেন গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান।
এরপর ২৫ এপ্রিল শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়া জাহিদুর রহমান। এর জেরে ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাহিদুরকে ২৭ এপ্রিল বহিষ্কার করা হলেও ২৯ এপ্রিল শপথ নেন বিএনপির আরও চারজন। তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।
এরপর আজ সকালে শপথ নেওয়ার সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে মির্জা ফখরুল স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়লেও সন্ধ্যায় অধিবেশন শুরুর আগে স্পিকার জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিবের এ-সংক্রান্ত কোনো অফিসিয়ালি চিঠি স্পিকারের দফতরে পৌঁছায়নি।
বগুড়ার এই আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। ফখরুল ইসলাম আলমগীর পেয়েছিলেন ২ লাখ ৫ হাজার ৯৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম ওমর পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৯৬১ ভোট।
(jagonews24)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন