মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে অপহৃত বাংলাদেশি জেলেরা এক দিন পর ফিরেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ায় ট্রলারসহ তারা ফিরে আসেন। তবে মুক্তিপন দিয়ে তারা ফিরেছন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমার বিজিপির পক্ষ থেকে অস্বীকার করে আসছিল বলে জানিয়েছিলেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার।
তিনি জানান, জেলেদের ফেরত আসার বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
ফিরে আসা জেলেরা হলেন- আজিম উল্লাহ মাঝি, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, আবুল কালাম ও মোহাম্মদ হাসান। তারা সবাই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে মোহাম্মদ হাসান পুরানো রোহিঙ্গা। তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফে আশ্রয় নেন।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের বিজিপির হাতে আটক জেলেরা রাতে ফিরেছে বলে স্থানীয়দের কাছ শুনেছি। হয়তো টাকা বিনিময়ে তারা ফিরেছেন। তবে তিনি বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখছেন।
ট্রলারের মালিক আমান উল্লাহ বলেন, নাফনদী থেকে তার ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা ফিরেছেন। অপহৃত জেলেদের ছাড়তে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছিল বলে অভিযোগ তার।
স্থানীয়রা জানায়, নাফনদীতে মাছ শিকারের সময় ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরার রাতে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার সকালে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আমান উল্লাহ মালিকাধীন একটি ট্রলারে করে চার মাঝিমাল্লাহ নাফনদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় মিয়ানমার থেকে একটি স্পিড বোর্ট যোগে এসে বিজিপি অস্ত্রের মুখে তাদের নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা ও মাদক ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখে স্থানীয় প্রশাসন। তবুও পেটের তাগিদের জেলেরা মাঝে মধ্যে মাছ শিকারে যান।
(samakal)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন