বিষয়টা ভীষণ দৃষ্টিকটু লেগেছে। সারেগামাপায় আজ নোবেলকে এক বিচারকের কমন নম্বর দেয়া আমার ভীষণ দৃষ্টিকটু লেগেছে। মাথার ভেতর খচখচ করছে। এমন হলে না লেখা পর্যন্ত আমার স্বস্তি হয় না। তাই লিখছি। পাশাপাশি সারেগামাপা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।প্রথমেই বলি আমি টিভি দেখা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি। একসময় কলকাতার দর্শকরা বাংলাদেশের অনুষ্ঠান দেখতো, এখন বাংলাদেশের দর্শকরা ভারত বা কলকাতার অনুষ্ঠান দেখে। টিভি না দেখলেও আমি গান শুনি। আর সেই কারণে অনিয়মিত হলেও প্রতি শনিবার ও রোববার রাতে সারেগামাপা দেখার চেষ্টা করি। অনেক সময় পারি না। অনেক সময় পারি। যখন পারি তখন আমার কাছে গানের এই অনুষ্ঠানটাকে মনে হয়, সপ্তায় ঘন্টাখানেকের স্বস্তি বা রিল্যাক্সেশন। আর তাই সেখানে কোনো অসামঞ্জস্য দেখলে ব্যথিত হই। আজ যেমন হয়েছি।
বাংলাদেশের যারা সারেগামাপা দেখেন তাদের সবার নিশ্চয়ই বাংলাদেশি শিল্পি নোবেলের গান ভালো লাগে। তবে বলতে দ্বিধা নেই সারেগামার চূড়ান্ত পর্বে এখন যারা আছেন তাদের সবার গান অসাধারণ। যে কেউ প্রথম দ্বিতীয় হতে পারেন। কিন্তু বিচারকদের যেন কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব না থাকে যেমনটা আজকে দেখলাম।
নোবেল বরাবরের মতোই অসাধারণ গান গাইলো। মহীন ঘোড়াগুলির তারারাও যতো আলোকবর্ষ দূরে গানটা এমনিতেই ভালো গাইলো পাশাপাশি সুমনের সাথে মাঝি দে পাল তুলিয়া গানটাও অসাধারণ গাইলো। অনুষ্ঠানের তিনজন বিচারকই নোবেলের গানের প্রশংসা করলেন। অন্যদিকে সুমনের কিছুটা সমালোচনা করলেন। অথচ কী অবাক কাণ্ড সুমন আর নোবেলকে একই পাল্লায় মেপে দুজনেকই ১০ এ ৯ দিলেন সম্মানিত বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য।
(jugantor)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন