প্রিয়.কম) দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ২১ এপ্রিল, রবিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’।
ওই দিন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দুই দিনের এই বিপিও সামিট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. বি. এম. আরশাদ হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, বাক্যের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকরি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ২২ এপ্রিল, সোমবার দুই দিনের জমজমাট এ আয়োজন শেষ হবে।
চতুর্থ বিপিও সামিটের যত আয়োজন
এবারের আয়োজনে দুই দিনে মোট ১৩টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ২১ এপ্রিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দুপুর ২টায় বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও অ্যাজ এ ক্যারিয়ার ফর ইয়ুথ অ্যান্ড লেভারাজিং বিপিও ফর ইমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার।
একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘গভর্নমেন্ট প্রসেস আউটসোর্সিং স্টেপস ফরওয়ার্ড’ সেমিনার। দুপুর ২টায় মেঘনা হলে অনুষ্ঠিত হবে বিপিও সামিটের ‘অন স্পট জব ইন্টারভিউ ফর নিউ ইন্টার্নস’ শিরোনামে নতুন চাকরির প্রার্থীদের জন্য একটি আয়োজন।
একই সময় বেলকনি হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘এক্সেস টু ফিন্যান্স ফর বিপিও ইন্ডাস্ট্রি ’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক। চিত্রা হলে দুপুর ২টায় শুরু হবে প্রথম দিনের প্রথম পর্বের শেষ সেমিনার ‘বি২বি নেটওয়ার্কিং সেশন’।
বিকেল ৪টা ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ডায়লগ উইথ দ্য স্টুডেন্টস অন লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল ক্যারিয়ার ইন দ্য অ্যারা অব ফোরআইআর’ শীর্ষক সেমিনার। বিকেল সাড়ে ৪টায় সুরমা হলে ‘অ্যাচিবিং সিঙ্গেল ডিজিট ইন্টারেস্ট রেট থ্রো আউটসোর্সিং’ শিরোনামে রাউন্ড টেবিল আলোচনা। একই সময় বেলকনি হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্রিজিং ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড বিপিও ইন্ডাস্ট্রি জব স্কিল রিকোয়েরমেন্ট’ নামে দিনের শেষ আয়োজন।
দ্বিতীয় দিন ২২ এপ্রিল, সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনিওর’ শিরোনামে দিনের প্রথম আয়োজন। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিপিও: ইমাজিং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেন্ডস’ শিরোনামে সেমিনার। বেলকনি হলে বেলা ১১টার ‘হেলথ্ কেয়ার আউটসোর্সিং’ শিরোনামে সেমিনার।
দুপুর ২টার সময় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। সুরমা হলে অনুষ্ঠেয় ‘রুরাল বিপিও: দ্য নিউ হরিজন অব ইমপ্লয়মেন্ট ফর ইয়ং ভিলেজার্স অব বাংলাদেশ’ সেমিনারটি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২টার সময় মেঘনা হলে শুরু হওয়া ‘অপোরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব উইমেন ওয়ার্কিং ইন বিপিও’ শিরোনামের সেমিনারটি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯-এর সর্বশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বেলকনি হলে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘আউটসোর্সিং টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’ সেমিনার এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বলরুমে শুরু হবে চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান।
আয়োজনের লক্ষ্য
বিপিও সামিট ২০১৯ সম্পর্কে আয়োজকরা জানান, দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন।
প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব-দরবারে ইতোমধ্যে পরিচয় পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতকে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে এবং সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে।
বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। এ ছাড়া আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা, পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে। সময়ের আলোচিত সেবা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গত তিন বারের সফল আয়োজনের পর এবার আরও বড় পরিসরে বিপিও সামিট আয়োজন করা হবে। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।
স্পিকার ও সেমিনার
এবারের আয়োজনে ৪০ জন স্থানীয় স্পিকার, ২০ জন আন্তর্জাতিক স্পিকার অংশগ্রহণ করবেন। এবারের বিপিও সামিটে ১৩টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনের মূল আয়োজনের আগে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজনে সহযোগী
সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে’র আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)-সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
প্রিয় প্রযুক্তি/আজাদ চৌধুরী
(priyo)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন