ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে হবে। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩৯ জন প্রার্থী। কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে না পারলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীকে নিয়ে ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন (রান অফ নির্বাচন) অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী বলা যায়, কমেডিয়ান ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও পেট্রো পোরোশেনকোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনি লড়াই হবে।
সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল নামে হাস্যরসাত্মক একটি টিভি শো করেছিলেন জেলেনস্কি। সেখানে দেখা গেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর সাধারণ এক নাগরিক দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এবার সে কল্পিত টিভি শো-ই হয়তো বাস্তব রূপে হাজির হচ্ছে জেলেনস্কির জীবনে। ৩ সপ্তাহ আগেই তিনি ৭০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন। তার প্রতিপক্ষ পেত্রো পোরোশেঙ্কো পরাজ মেনে নিয়েছেন।
রবিবার জেলেনস্কি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি কখনও আপনাদের হতাশ করবো না। আমি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হইনি। তারপরও ইউক্রেনের নাগরিক হিসেবে সোভিয়েত পরবর্তী দেশগুলোকে আমি বলতে চাই, আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। সবকিছুই সম্ভব।’
বুথফেরত জরিপ সঠিক হলে আগামী পাঁচবছরের জন্য তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে পাওয়া যাবে চূড়ান্ত ফলাফল
বিবিসির বর্ণনা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারার বাইরে ছিলেন জেলেনস্কি। তাকে কোনও সমাবেশ করতে দেখা যায়নি, হাতে গোনা কয়েকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে দেখে মনে হয়েছে তার শক্ত কোনও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। প্রচুর পরিমাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেছেন জেলেনস্কি। এর মধ্য দিয়ে তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। রুশ ও ইউক্রেনীয় দুই ভাষাতেই কথা বলতে সদা প্রস্তুত এ কমেডিয়ান। ইউক্রেনে যখন ভাষার অধিকার একটি প্রচণ্ডরকমের স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন নিজের এ অবস্থানের কারণে ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে সমর্থন পেয়েছেন জেলেনস্কি।
(banglatribune)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন