পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কোনো সূত্র। কেউ বলছেন, কানাডার টরন্টো বিমানবন্দরেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। কভিড নেগেটিভের সাম্প্রতিক সনদ তার সঙ্গে না থাকায় কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
আরেকটি সূত্র বলছে, কানাডায় তাকে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি দেশে না ফিরে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। দুবাই থেকে শিগগির তিনি দেশেও ফিরতে পারেন। একটি সূত্র বলছে, দুবাইয়ে অবস্থান করে তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময়ে তিনি দেশে-বিদেশে তার ঘনিষ্ঠ এবং সরকারের সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
তবে কোনো সূত্রই নিশ্চিত করে ডা. মুরাদের অবস্থান সম্পর্কে বলতে পারছে না। এদিকে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে সরকার সংক্ষুব্ধ নয়। রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মামলা করবে কেন? তবে কেউ নিজেকে সংক্ষুব্ধ মনে করলে তিনি মামলা করতেই পারেন।
কানাডার একটি বাংলা অনলাইন পত্রিকায় বলা হয়েছে, ডা. মুরাদ আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১টা ৪১ মিনিট) টরন্টো পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
বিপুলসংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিকও তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আপত্তি জানান।
ওই অনলাইন পোর্টালে বলা হয়, কানাডায় বসবাসরত তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কানাডা বর্ডার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো তথ্য মেলেনি।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, করোনার সময় যথাযথ কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পাননি ডা. মুরাদ। তিনি কানাডার এয়ারপোর্টে আটকে আছেন এবং দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে আরেকটি সূত্র বলছে, তিনি কানাডায় ঢুকেছেন। তিনি টরন্টো থেকে মন্ট্রিয়লে তার আত্মীয়ের বাসায় গেছেন এবং সেখানেই অবস্থান করছেন। অন্য একটি সূত্র বলছে, কানাডা থেকে ফিরতি ফ্লাইটে দুবাই নেমে তিনি তার এক ঘনিষ্ঠের বাসায় উঠেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন