মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন ২১ ভর্তিচ্ছু। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথমবর্ষে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নিতে নির্দেশনা দেওয়া ছিল। তবে চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে তাদের ১৫ মিনিট দেরি হয়ে যায়। তারা পৌঁছান দুপুর সোয়া ১২টায়। এতেই স্বপ্নভঙ্গ হয় ২১ জনের।
ভুক্তভোগী ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগ, বাসচালক ও সুপারভাইজারের (শ্যামলী পরিবহন) গাফিলতির কারণে তারা নির্ধারিত সময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারেননি।
অপেক্ষমাণ তালিকায় ১০১ নম্বর সিরিয়ালে থাকা মোস্তফা গালিব বলেন, ‘হাবিপ্রবিতে ভর্তি হওয়ার জন্য খুবি, ইবি ও শাবিপ্রবিতে ভর্তি হইনি। হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদ আমার লক্ষ্য ছিল। বাসচালক যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো করায় অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য হাবিপ্রবি প্রশাসন আমাদের মানবিক বিষয়টি বিবেচনায় নিলো না। আমি কোনোভাবেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না।’
অপেক্ষমাণ তালিকায় ৮৮২ নম্বর সিরিয়ালে থাকা মারুফ ইসলাম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাসে ওঠার পরও সঠিক সময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারলাম না। বাসায় গিয়ে বাবা-মাকে কী বলবো? যেহেতু আমাদের দোষ ছিল না তাই কর্তৃপক্ষ চাইলেই বিষয়টি মানবিকতার খাতিরে আমলে নিতে পারতো। আমরা সত্যিই জিএসটি (গুচ্ছ) ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে হতাশ। এখন পর্যন্ত অনেক টাকাই নষ্ট হলো কিন্তু কোথাও ভর্তি হতে পারলাম না।’সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় রিপোর্টিং কার্যক্রম। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রিপোর্টিং কার্যক্রম চলে। এতে অংশ নেন ৮৬২ জন ভর্তিচ্ছু।
রিপোর্টিং কার্যক্রম শেষে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয় (৭৮৭ জনের)। ফলাফল প্রকাশের পরপরই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় ছয়টি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে সবকিছু একটা নিয়মের মধ্য দিয়েই চলে। আমরা বেশ কয়েকদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি, মেসেজ কিংবা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমেও বিষয়গুলো ভর্তিচ্ছুদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে এসেছি। তারপরও এমন ঘটনা সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক। আমরা চাই না এমন ঘটনা পরবর্তী সময়ে আবারও ঘটুক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন