বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়ালের ইন্টেলিজেন্স) ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষায় এই দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব বলেন। ব্যবসা মধ্যাহ্নভোজন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করার জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে এবং জনগণ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং চেইন নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকছে। আমাদের সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ককে গ্রহণ এবং মডেল করা দরকার।’
আগামীতে বিশ্বে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত কঠিন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষায় এ ধরনের দক্ষতার শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আমির ফরিদ আবু হাসান বলেন, ‘আগামীতে আমাদের প্রথম কাজ হবে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা।’
তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশে শিল্প অটোমেশনয়ের কারণে, বর্তমানে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি ঐতিহ্যগত পেশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’ ইতোমধ্যে, আসিয়ান দেশগুলোতে অটোমেশনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে; ফলস্বরূপ, বিপুল সংখ্যক লোক বেকার হয়েছে। তিনি সমস্ত গবেষক, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিকদের সুস্পষ্টভাবে জ্ঞান অর্জন করার পরামর্শ দেন, যাতে আমরা একটি ভালো ভবিষ্যত তৈরি করতে পারি এবং তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষিত হতে পারি।’
বিএমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নতির যুগ চলছে। যা দ্রুত বিশ্বের ক্রম পরিবর্তন করবে। এগুলো সময় সংবেদনশীল এবং দ্রুতগতিতে বিকশিত হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাই বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দ্রুত কার্যকর করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন বেসিস-এর সভাপতি ও বিএমসি-এর সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। প্রতিবেদনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানসিক দক্ষতা ও উন্নয়নের সময় এসেছে। চাকরিগুলো অটোমেশন ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৫ শতাংশ কাজের মূল দক্ষতা পরবর্তী ৫ বছরে পরিবর্তিত হবে।’ অনুষ্ঠানে বিএমসিসিআই সদস্য, দেশের বিভিন্ন চেম্বারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ব্যাংকারা অংশ নেন।
(jagonews24)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন