চায়ের সঙ্গে ‘টা’ মানেই বিস্কুট। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, সারাদিনে নানা সময়েই অনেকেই বিস্কুট খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই বিস্কুট থেকে অস্বাভাবিক স্থুলতা, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগও হতে পারে!
ক্যান্সার এপিডেমিওলজি, বায়োমার্কাস অ্যান্ড প্রিভেনসন্স (Cancer Epidemiology, Biomarkers & Prevention) নামের একটি মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অতিরিক্ত বিস্কুট ডেকে আনতে পারে মারাক্তক বিপদ। মার্কিন চিকিত্সক ও গবেষকদের মতে, বিস্কুট ময়দা দিয়ে তৈরি হয়, আর ময়দা তৈরির সময় ভিছটামিনের তারতম্যের সৃষ্টি হয়।
ময়দা তৈরির সময় ফাইবার কমে যাওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বিস্কুট খাওয়ার ফলে ‘এন্ডমেট্রিয়াল ক্যান্সার’-এর ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সুইডেনে ৬০ হাজারেরও বেশি মহিলা পেটের নানা সমস্যায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের বেশির ভাগের মধ্যেই অতিরিক্ত পরিমাণে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিস্কুটে ট্রান্স ফ্যাটের আধিক্য রয়েছে যার প্রভাবে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা আর ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়াতে থাকে। এই ট্রান্স ফ্যাটের আধিক্যের ফলে ডায়াবেটিস ও হার্টের নানা রোগের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত বিস্কুট খাওয়ার কারণে শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
সুইডেনের কারোলিন্সকা ইনস্টিটিউটের গবেষকদের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বিস্কুট খাওয়ার ফলে মহিলাদের গর্ভাশয়ে ক্যান্সার বা টিউমার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
(breakingnews)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন