মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত কাজ শুরু হচ্ছে আগামী রোববার (১২ মে)। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ও তদন্ত কমিটির প্রধান সিনিয়র ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রোববার থেকে আমরা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করব।’
তদন্ত কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন-কোয়ালিটি এসিউরেন্স- সিএসও ম্যানেজার নিরঞ্জন রায়, ড্যাস-৮ এর ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাইয়েদ এম মুনিম, লাইন মেইনটেইন্যান্সের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ, ম্যানেজার ফ্লাইট সেফটি মো. মজিবুর রহমান ও বাপার মনোনীত একজন প্রতিনিধি।
ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিশেষ ফ্লাইট নিয়ে আমরা প্রাথমিক অবস্থা দেখে এসেছি। যেভাবে এয়ারক্রাপ্টটির বডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটিকে বহরে আর আনা যাবে না।’ তবে তদন্ত শেষ না করে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেননি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণ করতে গিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা হলেও পাইলটসহ ১৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সবাই শঙ্কামুক্ত। এতে ফ্লাইটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এদিকে ইয়াঙ্গুন থেকে ১৭ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট ড্যাশ-৮ কিউট-৪০০। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আর রানওয়েতে ছিটকে পড়া বিমানে আহত ১৪ যাত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি আহত চার যাত্রী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে দুর্ঘটনাকবলিত কোনো যাত্রীকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
(jagonews24)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন