এ ম্যাচ থেকে কারও কিছু পাওয়ার ছিল না। বার্সেলোনা লিগ জিতে গিয়েছে বেশ আগেই। আর দ্বাদশ স্থানে থাকা এইবার এ ম্যাচ জিতলেও লিগে একাদশ স্থানে আসতে পারত না। হারলেও নিচে নামার ভয় ছিল না। শুধু কোপা দেল রে ফাইনালের আগে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে ম্যাচটিকে নিয়েছিল বার্সেলোনা। জোড়া গোল করে লিওনেল মেসি জানিয়ে দিয়েছেন ফাইনালের জন্য প্রস্তুত বার্সা অধিনায়ক।
বার্সেলোনার জন্য চিন্তার বিষয় হলো মেসি প্রস্তুত হলেও দলের প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি। নিজেদের মাঠে এইবার প্রায় পূর্ণ শক্তির বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছে। এক মিনিটের মধ্যে মেসির জোড়া গোল আগে ও পরে শোধ করে দিয়েছে এইবার।
গুরুত্বহীন এই ম্যাচে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ আরনেস্তো ভালভার্দে। আক্রমণে লুইস সুয়ারেজও পেয়েছেন প্রয়োজনীয় ছুটি। ফিলিপে কুতিনহোর পরিবর্তে ম্যালকমের সুযোগ পাওয়াকে কুতিনহোর বিশ্রাম বলা যাবে কি না এ নিয়ে দ্বিধান্বিত হবেন বার্সেলোনা সমর্থকেরাও। তবে ভালভার্দের অন্য সব ম্যাচের মতো আজও সব দায়িত্ব মেসিকেই বুঝে নিতে হয়েছে। ৩১ মিনিটে গোলরক্ষকের শরীরের নিচ দিয়ে গোল করেছেন। পরের মিনিটেই করেছেন উল্টোটা। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে এবার চিপ করেছেন মেসি। এ চিপেই মৌসুমে গোলের ফিফটি করলেন মেসি।
তবে ম্যাচে মেসিই একমাত্র বার্সেলোনা খেলোয়াড় নন যিনি গোল করেছেন। ২০ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা মিলেছে। এইবারের হয়ে চমৎকার গোলটি করেছেন মার্ক কুকুরেয়া। বার্সেলোনার একাডেমির এই লেফট ব্যাক ধারে খেলতে এসে এইবারের হয়ে অসাধারণ এক মৌসুম কাটালেন। তারই পরিপূর্ণতা দিল মৌসুম শেষে নিজের মূল দলের বিপক্ষে করা এই গোল। ৪৫ মিনিটে বার্সেলোনা গোলরক্ষক চিলেসেনের ভুলে এইবারকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন পাবলো দি ব্লাসিস।
দ্বিতীয়ার্ধেও মেসি ও তাঁর দলবল গোলের জন্য হন্যে হয়ে ছুটেছে। কিন্তু এইবার বার্সেলোনাকে জয় নিয়ে লিগ মৌসুম শেষ করতে দেয়নি। আগামী শনিবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালের আগে তাই এটুকু অতৃপ্তি রয়েই গেল বার্সেলোনার।
(prothomalo)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন