নির্বাচনে প্রথমবারের মতো স্কুল শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে ভারত

লিউনা হক: জীবনে প্রথম বেতন পাওয়ার খুশিতে তিনটি ১০০ রুপীর নোট উড়িয়ে দুরন্ত বেগে ছুটে চলছে ১৬ বছর বয়সী নিশা। তীব্র তাপদাহের কারণে ভারতের নির্বাচনে এই প্রথমবারের মতো অসমর্থ ও বয়স্ক ভোটারদের ভোটদানে সহযোগিতা করার কাজে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘন্টা কাজ করে ৩০০ রুপী আয় করছে ভারতের স্কুল শিক্ষার্থীরা। হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি

নতুন দিল্লির নির্বাচনকেন্দ্রের নির্মান ভবনের দুইটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য অপেক্ষার সময় নিশা বলেন, ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে শুরু করে গাড়িতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত কিছু দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহযোগিতার কাজে নিয়োজিত আমি। অনেক বয়স্ক নাগরিক এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে আমাকে আশীর্বাদ করেন।এই প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন দিল্লীর সকল সরকারি স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ভলান্টিয়ার হিসেবে সহযোগিতা করার তালিকা করেছে।
গত ২ মে আমাদেরকে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমরা কিভাবে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করব, চলাচলে অক্ষম ভোটারদের কিভাবে হুইল চেয়ার থেকে তুলে ভোট দেওয়াব সবকিছুই খুব সুন্দর করে আমাদের বলা হয়েছে, বলে জানায় নিঘাত নামের আরেক শিক্ষার্থী।
পাওয়ান সিং নামে নেহেরু যুব কেন্দ্রের ভোটকেন্দ্রে এক ক্ষুদে ভলান্টিয়ার নির্বাচন কমিশনের তালিকাবদ্ধ অসমর্থ ও চলাচলে অক্ষম ভোটারদের ফোন দিয়ে জানতে চায় ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য তাদের কোন সহযোগিতা দরকার কিনা। সে আরো বলে, আমরা প্রায় ৫৭ জন ভোটারকে ফোন দিয়ে এই সুবিধার কথা বলেছি। আমরা তাদের বাড়িতে ভলান্টিয়ার পাঠাই। যাদের হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসতে হয় তাদের যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করি। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটারকে আমরা ফোন দিয়েছি ভোট দিতে আসার জন্য।
(amadershomoy)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget