রমজান আলী : ফলন ভাল হলেও রোদের উত্তাপে ফেটে যাচ্ছে লিচু। এত লোকসানের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ফরিদপুরের চাষিরা। যার কারণে ভাল ফলন হলেও হাসি নেই চাষিদের মনে।
মধুখালী উপজেলার জাহাপুর, বোয়ালমারীর কাদিরদী ও সদর উপজেলার চানপুর এলাকার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, বহু লিচু ফেটে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে। তাছাড়া লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিয়েছে।
জাহাপুর গ্রামের চাষি মো. রাশেদুল ইসলাম বাবু বলেন, বাগানে কীটনাশক, সার ও ওষুধ ব্যবহার করেও লিচু রক্ষা করা যাচ্ছে না। এছাড়া দুশ্চিন্তার কথা জানালেন একই এলাকার কলেজশিক্ষক লিচু চাষি সেলিম ভূঁইয়া।
বোয়ালমারীর কাদিরদী গ্রামের মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে লিচু চাষে বেশি লাভ হওয়ায় বেশি করে বাগান করেছি। তাছাড়া এ অঞ্চলে কৃষকের আয়ের অন্যতম উৎস লিচু। বেশ কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখলেও এবারে পুঁজি তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
সদর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু জানান, পাঁচ-ছয় বছর ধরে তার এলাকায় অনেক লিচুবাগান গড়ে উঠেছে।চলতি মৌসুমের শুরুতে বেশ ভাল ফলন ছিল। শেষ সময়ে এসে প্রচন্ড তাপদাহে লিচু ঝরে যাচ্ছে।বিষয়টি তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগকে অবহিত করেছেন বলে জানান।ফরিদপুরের কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তি চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “প্রচন্ড তাপদাহের কারণে লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিচ্ছে, ফেটে যাচ্ছে, ঝরে পড়ছে।
এ অবস্থায় ডায়বেন এন৪৫ অথবা টিল্ট পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে কমপক্ষে তিনবার। এছাড়া খরা বাড়লে গাছে সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে। তাপদাহের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই হয়। গাছে যত্ন নিতে হবে।
ফরিদপুরে এ বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ফরিদপুরে প্রতি হেক্টরে আট মেট্রিকটন লিচু উৎপাদিত হয়। এগুলো রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা কিনে নিয়ে যান । তবে ফরিদপুরে স্থানীয় জাতের লিচু আগে পাকে বলে এখানকার চাষিরা ভাল দাম পান বলে তিনি জানান।
(amadershomoy)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন