কয়দিনের টানা গরমে সারাদেশে বেড়েছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। সব চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। সারাদেশ থেকে প্রতিদিন শত শত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি)। ফলে ৩৫০ আসনের হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী। রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে হচ্ছে না স্থান সংকুলান।
আইসিডিডিআরবিতে ছুটে আসা অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে টাঙানো তাঁবুতে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েকদিনের গরমে রোগীর চাপ বেড়েই চলছে। প্রতিদিন গড়ে সাতশ’র মতো নতুন রোগী ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআরবিতে। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। ফলে পার্কিং এলাকায় তাঁবু টাঙিয়ে রোগী ভর্তি করেও সব রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৮৪ জন। সারাদিনে এ সংখ্যা সাতশ’র কোটায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘কিছুতেই সুস্থ না হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ডায়রিয়া রোগীরা। এখানে আসার পর সবাই সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।’
আইসিডিডিআরবির তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন এখানে আসা অর্ধেকের মতো শিশু। বাকিরা বিভিন্ন বয়সের।
হাসপাতালে ভর্তি রাজধানীর অদূরের কাঁচপুর এলাকা থেকে এসেছেন সোহাগ আলমগীর। তিনি সিনহা টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তিনি বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে বিছানা থেকে মাথা উঠাতে না পেরে এক প্রতিবেশীর সহায়তায় আইসিডিডিআরবিতে এসে ভর্তি হন। এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। মাত্র দুই ঘণ্টায় তার অবস্থার অনেকটা উন্নতিও হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় আইসিডিডিআরবির তাঁবুর নিচে চিকিৎসাধীন সোহাগ আলমগীর জাগো নিউজকে জানান, এতক্ষণ বাসায় থাকলে মারাই যেতাম।
লক্ষ্মীপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রুবেল ১৪ দিন আগে একবার আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হন। তখন টানা তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বৃহস্পতিবার তিনি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ আবারও আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে আসার পরপরই তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলেও জানান রুবেল।
(jagonews24)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন