সালেহ্ বিপ্লব : ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় আছেন মার্ক জাকারবার্গ। বিশ্বাসযোগ্যতা যতোটা হারিয়েছে ফেসবুক, তা ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় লাগবে, নিজেই বুঝতে পারছেন। আর আস্থায় আসতে হলে বেশ কিছু কাজও করতে হবে, এমনটাই বললেন ওয়েব ডেভেলপারদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায়। জানালেন, সবার আগে প্রাইভেসিকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি ফেসবুককে নতুন করে সুরক্ষিত করতে চান। বেশ কিছু ধারাবাহিক পরিবর্তন আসবে ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপেও। বিবিসি
মার্ক যে সব পরিবর্তন আনতে চাইছেন, সেগুলোর মধ্যে শুরুতেই থাকছে মেসেঞ্জারের নিরাপত্তা। ওয়ান টু ওয়ান মেসেজ এখন থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও দেখতে পারবে না, আর এই বার্তাবিনিময়কে সমন্বিত করা হবে হোয়াটসঅ্যাপের সাথে।
এরপর থাকছে ইন্সটাগ্রামের প্রাইভেসি। ইন্সটাগ্রামের কনটেন্টে যেসব লাইক পড়বে, তা একমাত্র আইডির মালিকই দেখতে পারবেন।‘ প্রাইভেট লাইক কাউন্টস’ নামক এই পদ্ধতিটির এখন ট্রায়াল চলছে।
এরপর আসছে মেসেজ বক্সে শেয়ার করা কনটেন্টের স্থায়ীত্ব কমানোর বিষয়টি। শেয়ার করা কোন কনটেন্ট স্থায়ীভাবে ইনবক্সে সংরক্ষিত না থাকার অপশন নিয়ে কাজ করছেন মার্ক জুকারবার্গ।
হোয়াটস অ্যাপে একটা সিকিউরড পেমেন্ট সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিলো, তার পরীক্ষামূলক ব্যবহার এরই মধ্যে ভারতে করা হচ্ছে। এ বছরের শেষদিকে অন্যান্য দেশেও এই সুবিধা দেয়া হবে বলে জাকারবার্গ জানান।
নীল রঙে বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত ফেসবুক ওয়ালের ডিজাইন নতুন করে করা হচ্ছে। ইউজারদের নিউজ ফিডে কেন্দ্রীভূত করতে এই রিডিজাইনিং এরই মধ্যে আমেরিকায় শুরু হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে সব দেশের জন্যেই করা হবে।
আর একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন যেটি আসতে যাচ্ছে, তা হলো, ইন্সটাগ্রামের আসতে হলে ছবি বা ভিডিও দিতে হবে, এই নিয়মটি থাকবে না। টেক্সট, স্টিকার বা ড্রইংস দিয়েই ইন্সটাগ্রামে সক্রিয় থাকা যাবে।
এমন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন মার্ক জাকারবার্গ। আসলেই অনেক কাজ করতে হবে ফেসবুককে, আর এসব করতে হবে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য। প্রাইভেসি নষ্ট হবে না, এই গ্যারান্টি দিতে পারাটাই জাকারবার্গের জন্য বড়ো চ্যালেঞ্জ।
(amadershomoy)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন