তিন বছর পর কারামুক্ত সৌদি রাজকুমারী | Saudi princess released from prison after three years
প্রায় তিন বছর জেল খাটার পর মুক্তি পেয়েছেন সৌদি আরবের রাজকুমারী বাসমা বিনতে সৌদ ও তার মেয়ে সুহৌদ। কেন তাকে বন্দি করা হয়েছিল তা জানানো হয়নি, এমনকি রাজকুমারী বাসমা ও তার মেয়ে সুহৌদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও আনা হয়নি।
২০১৯ সালের মার্চে চিকিৎসার জন্য সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সৌদি রাজকুমারী। তখন তাকে আটক করা হয়।
রাজকুমারী বাসমাকে ২০১৬ সাল থেকে দেশটির সংবিধান সংশোধনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে দেখা যায়। বিভিন্ন সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের খোলামেলা সমালোচনাও করেছেন।
মানবাধিকার ইস্যু এবং সংবিধান সংস্কারের পক্ষে তার জোরালো অবস্থানের সঙ্গে এই বন্দিত্বের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসমার পরিবার ২০২০ সালে জাতিসংঘকে এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছিল, বিভিন্ন অনিয়মের সমালোচনার কারণে তাকে কারাবন্দি করা হয়ে থাকতে পারে।
এছাড়া সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহামেদ বিন নায়েফ, যাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তার সঙ্গে প্রিন্সেস বাসমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেও তিনি সরকারের রোষানলে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে, ৫৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস বাসমা সৌদি বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহামেদ বিন সালমানের কাছে নিজের মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন। আর্জিতে তিনি লেখেন, তিনি অন্যায় কিছু করেননি এবং তার শরীর খুবই খারাপ।
তবে, ২০১৯ সালে কী ধরনের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করাতে তিনি বিদেশে যেতে চেয়েছিলেন তা জানা যায়নি।
মানবাধিকার সংস্থা এএলকিউএসটি টুইটারে তার মুক্তির খবর দিয়ে লিখেছে, রাজধানী রিয়াদের বাইরে আল-হাইর কারাগারে যখন ছিলেন তখন তাকে প্রাণ সংশয়ে থাকা অবস্থাতেও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
সৌদি আরবভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি আরও লিখেছে, বন্দি থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
বাদশাহ সৌদ, যিনি ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের শাসক ছিলেন, তার কনিষ্ঠ কন্যা রাজকুমারী বাসমা।
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন