নব নিযুক্ত বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে সংবর্ধনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।
রোববার (২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির এক নং বিচার কক্ষে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে নো কম্প্রোমাইজ। আঙ্গুলে ক্যান্সার হলে যেমন কেটে ফেলতে হয়, দুর্নীতিও তেমনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সংবর্ধনা দেন।
সংবর্ধনার জবাবে প্রধান বিচারপতি বক্তব্য দেন।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ৪৭ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যান তিনি। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আইন উপদেষ্টা ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল।
২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন