কাজাখস্তানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট। গত কয়েকদিন ধরে চলা আন্দোলনে বিপর্য়স্ত হয়ে পড়েছে মধ্য এশিয়ার দেশটি।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে।
বিবিসি ও আল-জাজির প্রতিবেদনে বল হয়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১৮ জন পুলিশ ও ২৬ জন বিক্ষোভকারী। আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০০ জন। এ ঘটনায় ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে নিহত বিক্ষোভকারীদের ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ-সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কী ঘটছে কাজাখস্তান?
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে কাজাখস্তানের বৃহত্তম শহর আলমাতির কেন্দ্রীয় স্কোয়ারের কাছে গুলির শব্দ শোনা যায়, যেখানে আগের দিনের বেশিরভাগ সময় সৈন্য ও বিক্ষোভকারীরা লড়াই করেছিলেন।
তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে অন্তত এক সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভ এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। চলমান সহিংস অবস্থার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজাখস্তানে আকস্মিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তবে সরকারের পদত্যাগের পরও বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা অব্যাহত রেখেছে।
দাঙ্গা থামানোর জন্য কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দাঙ্গাকারীরা শহরে মেয়রের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং অন্য দপ্তরে হামলা চালায়।
এই বিক্ষোভের পেছনে বিদেশিদের মদদ থাকতে পারে বলে স্থানীয় ও আঞ্চলিকভাবে অনেকেই মনে করছেন। তারা বলছেন, বিভিন্ন ইঙ্গিত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, এই বিক্ষোভ নিছক জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নয়, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
এই বিক্ষোভ থামাকে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের অনুরোধে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ‘শান্তি রক্ষা বাহিনী’ পাঠিয়েছে রাশিয়া।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন