জাবের হোসেন : বারো মাসে তেরো পার্বণ উদযাপনকারী উৎসব প্রিয় বাঙালির দোড়গোড়ায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত নগরবাসী। উৎসব প্রস্তুতির বড় একটি অংশ জুড়ে থাকে পোশাক। বৈশাখ মানেই লাল-সাদা এই বৃত্তের বাইরে এসে ফ্যাশনপ্রেমিরা এবারে ঝুঁকেছেন নানা রঙের দিকে। অনলাইনে আর নামিদামি বুটিক হাউজের পাশাপাশি ফুটপাতেও চলছে বৈশাখি কেনাকাটা। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে যে যার পছন্দ মতো পরিকল্পনায় ব্যস্ত নতুন বর্ষবরণের। ডিবিসি
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে চাঙ্গা দেশি পোশাকের বাজার। ঈদসহ অন্যান্য উৎসবে বিদেশি পোশাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকলেও বৈশাখে বাজারটা একেবারেই দেশি কাপড়ের দখলে। বছরজুড়ে ক্রেতাদের এই আগ্রহ থাকলে দেশি পোশাক খাতের দৈন্য কাটবে বলে প্রত্যাশা ডিজাইনারদের।
ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, আমরা অনেক অর্ডার পাই, যেমন কোনো স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা একইরকম পোশাক পরবে। ফ্রেন্ড সার্কেল সবাই এক রকম পোশাকের অর্ডার করে। এখন মিক্স ম্যাচের সময় এসেছে।
দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি বৈশাখে উৎসব ভাতা চালু হওয়ায় অর্থনীতিতে গতি এসেছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি আজহারুল হক আজাদ বলেন, গত বছর ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মত বাজার ছিলো। এবার আমরা আশা করছি ১ হাজার ৭০০ সাড়ে সাতশ কোটি টাকার মতো বাজার হবে।
(amadershomoy)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন