প্রিয়.কম) রাজধানীর রমনার বটমূলে সূর্যকে আহ্বান, পুরানো সব জীর্ণতা মুছে যাবে, চেতনায় লালিত হবে বাঙালি সংস্কৃতি, উগ্রবাদকে দূরে ঠেলে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হবে মানুষ—এই প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হয়েছে বঙ্গাব্দ ১৪২৬-এর যাত্রা।
আজ পহেলা বৈশাখ। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’। রবিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রাগ ললিতের মধ্য দিয়ে সূর্য্যকে আহ্বান করা হয়। রাগ ললিতের পর সম্মিলিতভাবে গাওয়া হয় ‘মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্তদ্বারে তোমার বিশ্বের সভাতে/ আজি এ মঙ্গলপ্রভাতে…’ গানটি।
এরপর ‘আপনারে দিয়ে রচিলি রে কি এ আপনারই আবরণ!/খুলে দেখ দ্বার, অন্তরে তার আনন্দনিকেত…’সহ পরপর দুটি একক সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর আবার সম্মিলিত সংগীত। এভাবে চলতে থাকে ছায়ানটের অনুষ্ঠান। আবৃত্তি করা হয় কবিতা।
এদিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলতে থাকায় এ বছর বদলে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রার পথ। আজ সকাল ৯টায় অনুষদের সামনে থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড়, ঢাকা ক্লাব ঘুরে মঙ্গল শোভাযাত্রা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হবে শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রার পুরোভাগে থাকবে মহিষ, পাখি ও ছানা, হাতি, মাছ ও বক, জাল ও জেলে, টেপাপুতুল, মা ও শিশু এবং গরুর শিল্পকাঠামো। চারুকলা অনুষদ এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য করেছে ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’।
এ ছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজন রয়েছে বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমিতেও। বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র-চত্বরে সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা।
প্রিয় সংবাদ/রুহুল
(priyo)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন