এই বছর নিয়ামতপুরে ক্ষীরার দামে খুশি কৃষকরা

 নিয়ামতপুরে ক্ষীরার দামে খুশি কৃষকরা  

Farmers are happy with the price of milk in Niamatpur


নওগাঁর নািয়ামতপুর উপজেলায় ক্ষীরা চাষের উপযোগী আবহাওয়া থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে তেমনই দাম পেয়ে চাষীদের মুখে স্বস্তির হাঁসি ফুটেছে। উপজেলার হাট বাজারগুলোতে প্রতিমণ ক্ষীরা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। যা উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতিবছরই ক্ষীরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন নতুন নতুন কৃষকরা।


উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন ক্ষীরার জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। পরিবারে ছোট থেকে বড় সবাই অবিরাম ক্ষীরার জমিতে নিড়ানি, সার, কীটনাশক ছিটানো আর পানি দেয়া নিয়ে মহাব্যস্ত। উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে মাঠে ক্ষীরার চাষাবাদ করা হয়েছে। সবুজ ডগার ক্ষীরা গাছে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিভিন্ন জাতের ক্ষীরা উঠতে শুরু করেছে। দামও আকাশছোঁয়া।


উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে চাষীদের নিয়ে আসা ক্ষীরা ক্রয় করে ব্যাপারীরা মিনি ট্রাকযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন। আগাম শীতকালীন ফসল হিসেবে ক্ষীরা চাষাবাদ করে কয়েক হাজার কৃষক এখন সচ্ছল স্বাবলম্বী।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

সরেজমিন উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে ক্ষীরার ক্ষেতে গিয়ে ক্ষীরা চাষীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ক্ষীরার ক্ষেতে তেমন কোন রোগ বালাই নাই। অন্য ফসলের চেয়ে ক্ষীরা চাষে কম খরচে বেশি টাকা পাওয়া যায়। একবিঘা(৩৩ শতাংশ) জমিতে ক্ষীরা চাষে যে টাকা খরচ হয়েছে, ক্ষীরা বিক্রি করে তার দ্বিগুন টাকা আয় হবে। ক্ষেত থেকে একদিন পরপর ক্ষীরা উঠাতে হয়। এক বিঘা জমি থেকে একদিন পরপর ৭ থেকে ৮ ক্ষীরা তোলা হয়। যা বর্তমান বাজার মূল্য সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা।


বর্গাচাষীরা জানান, আমরা প্রতিবিঘা জমি ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে আবাদ করছি। আমাদের খরচ একটু বেশি হয়েছে। তবে এরকম আবহাওয়া ও বাজারে দাম থাকলে লাভবান হওয়া যাবে।


আরো পড়ুন:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget