স্কুলে শিশুকে ‘যৌন নিপীড়ন’, দপ্তরির নামে মামলা !

 স্কুলে শিশুকে ‘যৌন নিপীড়ন’, দপ্তরির নামে মামলা ! 
'Sexual harassment' of a child in school, case filed in the office!


‘যৌন নিপীড়নের’ শিকার ওই ছাত্রীর বাবা রোববার বলেন, ‘১৬ মার্চ বিদ্যালয়ে যায় আমার মেয়ে। সেদিন টিফিনের সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার মেয়েকে বিদ্যালয়ের দোতলায় নিয়ে যৌন নির্যাতন করে দপ্তরি রানা চৌধুরী। আমি এর বিচার চাই।’

 

ঠাকুরগাঁওয়ের সদরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের এক দপ্তরির নামে মামলা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ ওঠার পর তাকে অপসারণ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।


ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রুহিয়া থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। রোববার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, অভিযোগটি পরে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।


অভিযুক্ত ৩০ বছর বয়সী রানা চৌধুরীর বাড়ি মহেষপুর কালীবাড়ি এলাকায়।

‘যৌন নিপীড়নের’ শিকার ওই ছাত্রীর বাবা রোববার বলেন, ‘১৬ মার্চ বিদ্যালয়ে যায় আমার মেয়ে। সেদিন টিফিনের সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার মেয়েকে বিদ্যালয়ের দোতলায় নিয়ে যৌন নির্যাতন করে দপ্তরি রানা চৌধুরী। আমি এর বিচার চাই।’


অভিযোগের বিষয়ে জানতে রানার বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তা ধরেননি।

এদিকে এ ঘটনার পর সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা।

 অভিভাবক আব্দুল মালেক বলেন, ‘এটাই এই দাপ্তরিকের প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা রকম কথা শোনা গেছে। স্কুলে বসে সে মাদক সেবন করে, এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে একাধিকবার। সেই সঙ্গে কোমলমতি শিশুদের ওপর কুনজর তো আছেই। তাই এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও তার বিচার চাই।’

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

আরেক অভিভাবক জাহানারা আক্তার বলেন, ‘ঘটনাটি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমার মেয়েও বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু এমন ঘটনার পর থেকে কিছুতেই আর মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে মন চায় না, ভয় লাগে। এমন ঘৃণ্য কাজের জন্য তার শাস্তি চাই।’


এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি স্কুলের কাজে সদর উপজেলার একটি মিটিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি জানার পর ম্যানেজিং কমিটিকে জানিয়েছি। কমিটি তাকে অপসারণ করেছে।’ এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিচার চান তিনিও।


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘যেহেতু সে (রানা) সরকারি কর্মচারী না এবং চুক্তিভিত্তিক কাজ করে তাই তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাকে অপসারণ করেছে।’


অভিযোগের তদন্ত চলছে জানিয়ে রুহিয়া থানা পরিদর্শক (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’


আরো পড়ুন:



আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget