ফেনীতে স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি
The catastrophic fire at the Star Line Food Factory in Feni caused huge damage
ফেনী সদর উপজেলার কাশিমপুরে অবস্থিত স্টার লাইন গ্রুপ’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটের দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস’র ১০ টি স্টেশনের ১৫ টি ইউনিট। দীর্ঘ ৪ ঘন্টাব্যাপী প্রচেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস থেকে ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা আসে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮টা) কারখানায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভর দুপুরে হঠাৎ কারখানার ডেলিভারী কক্ষে আগুন দেখতে পায় শ্রমিকরা। প্রাথমিক ভাবে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। শুরু দিকে ফেনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশানের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনের ভয়বহতা দেখতে পেয়ে ফেনীর অন্যান্য স্টেশান ও নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ১ টা ৫৫ মিনিট থেকে ৫ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১০ স্টেশনের ১৫টি ইউনিটি দীর্ঘ ৪ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে পুরোপুরি আগুন নেভানো এখনো সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা
স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির মেশিন অপারেটর হৃদয় জানান, হঠাৎ শুক্রবার দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটের দিকে কারখানায় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পুরো কারখানা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে আমরা আগুন নিভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতা দেখে আমরা সকল শ্রমিক বাহিরে চলে আসি। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিক আগুন নিভানোর কাজ শুরু করে।
স্টার লাইন গ্রুপ’র ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন জানান, হঠাৎ আমরা জানতে পারি ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক এসে দেখি ফ্যাক্টরির চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পবিত্র রমজান ও ঈদকে উপলক্ষে করে প্রচুর পরিমাণ পণ্য দ্রব্য ফ্যাক্টরির গোডাউনে মজুদ ছিল। তবে অগ্নিকাণ্ডে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এমুহূর্তে বলা যাচ্ছেনা।
আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ফেনীর উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। আগুনের তীব্রতা দেখে আমরা পাশবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোকে খবর দিই। এতে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার ১০ টি স্টেশনের ১৫ টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আগুন নেভাতে আরো সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো: জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় শতাধিক ফায়ার ফাইটার আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন নেভানো সম্পর্ণ হলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনে কাজ করা হবে। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা।
আরো পড়ুন:
জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন