রাণীশংকৈলে ভোজ্যতেলের পাঁচ লিটারের বোতল উধাও !
Ranishankaile five-liter bottle of edible oil disappeared!
রমজান মাস শুরুর আগেই সয়াবিন আর পেঁয়াজের বাজারে ‘সংযম’ ভেঙে পড়েছে। সয়াবিনের সঙ্গে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। ‘সরবরাহ নেই’ অজুহাত তুলে বাজার থেকে ভোজ্যতেলের পাঁচ ও তিন লিটারের বোতল উধাও হয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটি দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, তারা পাঁচ লিটার সয়াবিন কিনতে গেলে দুটি দুই লিটার এবং একটি এক লিটার বোতল ধরে দিচ্ছেন দোকানিরা। এতে তাঁদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। এদিকে রোজার আগেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলছেন ক্রেতারা।
পৌরসভার পাইকারি বাজারে গিয়ে যায়, প্রত্যেক দোকানে এক লিটার ও দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া গেলেও তিন লিটার ও পাঁচ লিটার বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। দু’একটি দোকানে একটি কিংবা দুটি বোতল পাওয়া গেলেও তারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি বোতলে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দাবি করছেন।
নেকমরদ বাজারের মুদি দোকানদার বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমার কিছু করার নাই। আমি নিজে বেশি দামে কিনেছি। কোম্পানি বেশি দাম নিলে আমি কী করব। সরবরাহ না থাকলেও ক্রেতা ধরে রাখার জন্য আমাকে ম্যানেজ করে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
আলতাফ নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি প্রতি মাসে ৫ লিটার সয়াবিন কিনলেও আজ কোথাও ৫ লিটার আর তিন লিটার বোতল পাচ্ছেন না। একাধিক বোতল নিলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
রাণীশংকৈল উপজেলার তীর সয়াবিন তেলের ডিলার নিশারউদ্দীন জানান, তারা কোম্পানির অনুকূলে টাকা পাঠিয়েও চাহিদা অনুযায়ী পাঁচ লিটার ও তিন লিটার বোতলের সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না। দুই দিন ধরে তাঁদের স্টকে এই পরিমাপের সয়াবিন বোতল নেই। ফলে তারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছেন না।
এদিকে সয়াবিনের সঙ্গে তাল রেখে পেঁয়াজের বাজারও অস্থির হয়ে উঠছে। পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম এক দিনে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার অজুহাত তুলে কেজিতে ৮/৯ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজার আরও চড়া। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং এলসি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি আড়তদার আমিনুল ইসলাম বলছেন, ‘ঠাকুরগাঁও মোকামে দাম বেড়েছে। আমরা যেমন দামে কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। আর বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের খেতে ক্ষতি হয়েছে। ফলে সরবরাহ কমে গেছে, এ জন্য দাম বাড়ছে।’
কৃত্রিম সংকট নিরসন ও রমজানকে সামনে রেখে বাজার তদারকি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শেখ শাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বাজার তদারকি বাড়িয়েছি।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন