ফরিদপুরে ১২ বাস পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

 বাস পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের  ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন 


Police formed a three-member investigation committee into the burning of the bus


ফরিদপুরে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে ২ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলায় জব্দকৃত ১২টি বাস পোড়ানোর ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং  ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের রির্পোট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।


আদালতের নির্দেশে ঢাকার সিআইডি এসব বাস জব্দ করে ফরিদপুরের পুলিশের হেফাজতে রাখা ছিল।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে শহরের গোয়ালচামটে নতুন বাস টার্মিনালের পাশে রেখে দেওয়া এ বাসগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাউথ লাইন পরিবহনের ব্যানারে থাকা বাসগুলোর মালিক ২ হাজার টাকা অর্থপাচার মামলায় গ্রেফতার শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতের মালিকানাধীন। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এম এ জলিল জানান, এ ঘটনায় কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর মো. গাফফার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ৪০।


ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমদাদ হোসেনকে প্রধান করে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

জানা গেছে, চারটি বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশের তদন্ত চলছে। ব্যাংক ঋণের টাকায় কেনা বাসগুলো পুড়িয়ে ঋণ থেকে বাচঁতে কোন চেষ্টা চলছে কিনা কিংবা বীমার টাকা পেতে এ কাজ করা হয়েছে কিনা সেটি দেখা হবে। এছাড়া গাড়িগুলো পুড়িয়ে অর্থপাচার মামলা হতে বাঁচতে কিংবা ফায়দা পেতে আগুন দেয়া হয়েছে কিনা কিংবা আসামীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ কোন পক্ষ নাশকতার জন্য এ কাজ করেছে কিনা সেটিও দেখা হবে তদন্তে। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো  সনাক্ত করা যায়নি। 


প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ওই বছরের ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হন বরকত ও রুবেল সহ তাদের ৯ সহযোগী। এরপর ঢাকার সিআইডি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলা করে কাফরুল থানায়। আদালতের নির্দেশে বাসগুলো জব্দ করে সেগুলো এখানে রাখা ছিলো।  আলোচিত অর্থপাচারের এ মামলায় বরকত ও রুবেল এখন কারাগারে। এই মামলায় গত ৫ মার্চ শুক্রবার রাতে ঢাকা হতে গ্রেফতার হন সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর।



আরো পড়ুন:


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget