মরিচের ফলন ও দামে খুশি কৃষকরা
Farmers are happy with the yield and price of pepper
নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলতি মৌসুমে মরিচের দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় খুশিতে মরিচ চাষীরা। উপজেলা অন্যান্য ফসলের মতো বেশি জমিতে মরিচ চাষ না হলেও যেগুলো জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। এবার সেগুলো জমিতে মরিচের ভালো ফলন ও বাজারে বেশি দামে কাঁচা ও লাল মরিচ বিক্রি হচ্ছে।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর ২৪ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা
শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর দরগাপাড়া গ্রামের কৃষক শাহিন আলম জানান, আমি প্রতিবছর মরিচের আবাদ করি। গত বছর দেশি মরিচ চাষ করে ফলন ও দামে লোকসান হয়েছিল। এ বছর এক বিঘা জমিত মরিচ করছি। এবার আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় মরিচ গাছে পাতা ঝলসানোর মতো কোন রোগ বালাই না থাকায় কম কীটনাশক জমিতে স্প্রে করতে হয়েছে। তাতে এবার মরিচ চাষে খরচ একটু কম হয়েছে। ফলন ও দামও মোটামুটি ভালোই পাইছি। কৃষক আলমগীর মন্ডল জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মরিচে ফলন ও বাজারে দামও বেশি রয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় আশা করছি লাভবান হব। পাকা মরিচ জমি থেকে তুলে বাড়ির উঠানে শুকাতে দিয়েছেন।
নিয়ামতপুরে মরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা কাঁচা মরিচ কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। লাল মরিচ প্রতিমনে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং কাঁচা মরিচ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। শুরুর দিকে কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে একটু দাম কম ছিল। এখন আবার দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলায় মরিচ চাষে সাবলম্বী হচ্ছেন চাষীরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন