ইউক্রেন যুদ্ধের ১১তম দিনে যা ঘটেছে

 ইউক্রেন যুদ্ধের ১১তম দিনে যা ঘটেছে 


What happened on the 11th day of the Ukraine war


ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। রোববার (৬ মার্চ) ১১তম দিনে যুদ্ধ গড়িয়েছে।

যুদ্ধে দুই পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অন্তত ১৫ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।  

যুদ্ধের ১১তম দিনে কী ঘটেছে, বিবিসির প্রতিবেদন অবলম্বনে নিচে দেওয়া হলো:


*ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অবরুদ্ধ শহর মারিওপোল থেকে আটকে পড়া বেসামরিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো চেষ্টা চলছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন রুট ঠিক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় এটি খোলার কথা। তবে বাস্তবে সেখানে কী ঘটছে তা পরিস্কার নয়।


*শনিবার রুশ বাহিনীর হামলার মুখে এরকম একটি উদ্ধার অভিযানের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছিল।


*ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, রুশ বাহিনী এখন বন্দর শহর ওডেসায় গোলাবর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আশঙ্কা করছেন সেখানে এক ‘ঐতিহাসিক অপরাধ’ সংঘটিত হতে যাচ্ছে।


*রাশিয়ার যুদ্ধ কমান্ড যে এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশদের লক্ষ্য ইউক্রেনকে কৃষ্ণসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।


রাজধানী কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমেও তীব্র লড়াই চলছে। ইরপিন নামের একটি ছোট শহর তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছে। রাশিয়ার যে বিশাল সামরিক কনভয় কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সেটির সামনের অংশ এই শহরের কাছে। শহরটির ওপর তীব্র গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে, বিমান হামলা চলছে।


*পূর্বদিকে খারকিভ এবং সুমি শহরেও নতুন করে বোমা হামলা চলছে।


*ইউক্রেন থেকে এপর্যন্ত পনের লাখের বেশি মানুষ পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত দশ দিনে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।


*প্রায় ৩ হাজার আমেরিকান ইউক্রেনের পক্ষ হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।  


*যুক্তরাজ্যের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, এই সংঘাত বহু বছর ধরে না হলেও বহু মাস ধরে চলতে পারে বলে আশঙ্কা আছে।


*যুদ্ধ থামাতে রোববার ‘দুটি শর্ত’ জুড়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা জানান তিনি। ক্রেমলিন জানায়, মস্কোর দাবি মেনে নিলে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করলেই কেবল রাশিয়া পিছু হটতে পারে। এছাড়া এই যুদ্ধ থামবে না।


রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় অন্তত ১ হাজার ১০০ রুশকে আটক করা হয়েছে।  


*রাশিয়ায় সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের মাধ্যম ভিসা ও মাস্টারকার্ড। এই সিদ্ধান্তের পর রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংক চীনা প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিয়নপে’ কার্ড অপারেটর সিস্টেম ব্যবহার করে অর্থ লেনদেনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget