অবশেষে ইউক্রেন থেকে রওনা দিলেন আটকে পড়া বাংলাদেশি নাবিকরা
The stranded Bangladeshi sailors finally left Ukraine
তিনবার চেষ্টার পর অবশেষে আজ শনিবার ইউক্রেন থেকে রওনা দিয়েছেন ২৮ বাংলাদেশি নাবিক। তাদের সঙ্গে আছে যুদ্ধের গোলায় নিহত এক নাবিকের মরদেহ। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় তারা রওনা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গন্তব্য ইউক্রেনের পাশের মলদোভা।
গতকাল শুক্রবার থেকে তিন দফা গাড়িতে উঠলেও রওনা দিতে পারেননি যুদ্ধে আতঙ্কগ্রস্ত নাবিকরা। এর মূল কারণ শুক্রবার থেকে স্থলভাগে বোমা হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযাগের পর আজ সকালে বোমা হামলা একটু কমলে যাত্রা শুরু করেন নাবিকরা। আজ সকাল পর্যন্ত তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি দুপুর ১টায় কথা বলে কনফার্ম হয়েছি, তারা ইউক্রেনের বাংকার থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবার থেকে ব্যাপক বোমা হামলা শুরু হয় স্থলভাগে। এর ফলে যাত্রা শুরুর ঝুঁকি নিতে পারেনি নাবিক এবং তাদের উদ্ধারকারী টিম।
তিনি বলেন, তিনটি গন্তব্য সামনে রেখে তারা রওনা দেন। প্রথমটি পাশের দেশ মলদোভা, দ্বিতীয়টি পোল্যান্ড, তৃতীয় রোমানিয়া। যেখানে নিরাপদে যাওয়া যাবে সেখানেই নাবিকরা যাবেন। তবে কোথায় যাবেন নিরাপত্তার খাতিরে সেটি প্রকাশ করা হচ্ছে না। আল্লাহর রহমতে আশা করছি, নিরাপদেই পৌঁছবেন তারা।
জানা গেছে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর থেকে মলদোভার সড়কপথের দূরত্ব ৮১২ কিলোমিটার। আর অলভিয়া থেকে পোল্যান্ডের সড়কপথের দূরত্ব ১৪০০ কিলোমিটার। আর পোল্যান্ড যেতে হলে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দিয়েই যেতে হবে। সে জন্য প্রথমে মলদোভায় গিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বোমা হামলায় অচল 'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজ থেকে ২৮ জীবিত নাবিক এবং একজন নিহতকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই ইউক্রেন বন্দরের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে বিশেষ বাংকারে রাখা হয়। সেখানে তারা রাত পার করেন। শুক্রবার থেকে তাদের স্থানান্তর করার কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন