Latest Post


ঢাকা, ১৪ এপ্রিল – ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’ বিজয়ী হয়েছেন মডেল-অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। বিজয়ের মুকুট পরার পর থেকে পুরোনো বিতর্ক ঘিরে ধরেছে তাকে। জাতীয় ক্রিকেট দলের অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মিথিলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল—এ গুঞ্জন অনেক দিন উড়েছে। নতুন করে সামনে এসেছে পুরোনো সেই গুঞ্জন। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন মিথিলা। এ বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন—‘হ‌্যাঁ, অনেক বছর আগে আমাদের রিলেশন ছিল। কিন্তু এখন এসব বিষয় নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। কারণ সবার একটা ব‌্যক্তিগত জীবন আছে। সম্পর্ক ছিল, কিন্তু সে এখন বিয়ে করেছে, সংসার আছে। কিন্তু তারপরও এই বিষয় নিয়ে মানুষ ট্রল করছে। এতে করে ওর ঝামেলা হচ্ছে, আমারও ঝামেলা হচ্ছে। কারণ আমারো একটি ব‌্যক্তিগত জীবন আছে। আমি একটি সম্পর্কে রয়েছি। আমার পরিবার আছে, বন্ধু-বান্ধব আছে।’

এসব বিষয় নিয়ে ট্রল বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন মিথিলা। তিনি বলেন—‘প্রত‌্যেকটি মানুষের জীবনে অতীত থাকে। সবাই কারো না কারো সঙ্গে রিলেশনে থাকে। কিন্তু সেই পুরোনো বিষয়টি নিয়ে এত বছর ধরে ট্রল করা, উত্ত্যক্ত করার কোনো মানে হয় না। সাকিব ন‌্যাশনাল ফিগার। তাকে মানুষ সম্মান করেন। সবাইকে সাবারই শ্রদ্ধা করা উচিত। সেই জায়গা থেকে বলব, এগুলো আসলেই করা উচিত নয়। এগুলো মেন্টাল টর্চার। আমিও কিন্তু মানুষ। আমারো আবেগ আছে, খারাপ লাগা আছে। সবাইকে বলব, প্লিজ আপনারা এগুলো বন্ধ করুন।’

গত ৩ এপ্রিল রাতে নগরীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের বলরুমে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ের মুকুট পরেন মিথিলা। আগামী ১৬ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হলিউডে অনুষ্ঠিতব্য ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসর। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মিথিলা।

এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে থেকেই শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ মিথিলা। দেশের বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বলিউড সিনেমায় নাম লেখান এই অভিনেত্রী।‘রোহিঙ্গা’ নামে এ সিনেমা পরিচালনা করছেন ভারতের হায়দার খান। তিনি বলিউডের ‘দাবাং’, ‘কমান্ডো’, ‘দঙ্গল’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এতে মিথিলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ‘মিস্টার ভুটান’ স্যাঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো—এ সিনেমার চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে মিথিলাকে কেন্দ্র করে। সিনেমাটি এখন মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে।

সূত্র : রাইজিংবিডি

১:৩৭ AM


ইনস্টাগ্রামের ক্যামেরা চালু করে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পাওলি দাম। কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ জানিয়েছেন অনুরাগীদের কাছে। তার অভিযোগ, জনৈক ভিকি রাইয়ের বিরুদ্ধে। 

তিনি নাকি এমন অপরাধ করেছেন, যা ক্ষমার যোগ্য নয়। এ অপরাধ তিনি অন্যদের সঙ্গেও করেছেন। অভিনেত্রীর সঙ্গেও। তাই তিনি অপরাধীর যেনতেন প্রকারে মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ভিকি রাই কী করেছেন পাওলির সঙ্গে? কেন বা তিনি এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়ে সুবিচার চাইছেন?

তার আগে জানতে হবে, এই ভিকি রাই কে? জাতীয় স্তরের ওয়েব প্ল্যাটফরম একটি নতুন সিরিজ আনতে চলেছে। নাম ‘অখণ্ড’। তার প্রধান চরিত্র ভিকি রাই। সিরিজের প্রচারে প্ল্যাটফরমটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় হেঁটেছে। প্ল্যাটফরমের টুইটার থেকে মুক্তির দিন ঘোষণা হয়নি। বরং এক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই যেন সিরিজ-মুক্তির কথা প্রকাশ্যে এসেছে। 

এবার একটি ছোট্ট ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে। সিরিজের নাম বা প্রচার ঝলক হিসেবে নয়। বদলে সংবাদমাধ্যম বিচারকের আসনে বসে। সেখানে রায় ঘোষিত হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে জানিয়েছে, সেই ভিকি রাইকে জেলে পাঠাতে চায়। তাদের দাবি, এ ব্যক্তি অত্যন্ত নির্লজ্জ ও হিংসাত্মক। সমাজের রীতিনীতি নিয়ে অকারণ মজা করেন। তিন বছর আগে তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছিল। তার পর জনসাধারণ ধরে নিয়েছে, তিনি অপরাধী। এ জন্য সবাই মিডিয়া ট্রায়ালকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

পাওলিও কি চলতি হাওয়ার পন্থি? তিনিও কি তাই চোখের জলে ভিজে মুখ খুলেছেন ভিকির বিরুদ্ধে?

কিছু দিন আগে পাওলি শুধু স্বচ্ছ, সাদা শার্টে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল। তার প্রায় উন্মুক্ত বক্ষ দেশ এবং বক্ষ ভাঁজ ঢেকেছিল বহুমূল্য নেকলেসে। এবার জাতীয় স্তরের সিরিজের প্রচারের সঙ্গে যেন জড়িয়ে গেলেন তিনি।

পাওলিও কি এ সিরিজের অন্যতম অভিনেত্রী? জানা যায়নি। কারণ সিরিজ নির্মাতা, ওয়েব প্ল্যাটফরম এবং অভিনেত্রী-কেউই প্রচারের স্বার্থে অভিনেতাদের নাম ঘোষণা করতে চাননি।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি। এ নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে এফডিসিতে। দুই প্যানেলের প্রার্থী, ভোটার, সাংবাদিকদের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া এফডিসি।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জন ভোটারের কয়েকজনের সঙ্গে সেখানে দেখা হয় নায়ক রিয়াজের। যিনি এবারের নির্বাচনে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন। এ সময় ভোটাধিকার হারানো এক বৃদ্ধ শিল্পী রিয়াজকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন!

তখন সেই বৃদ্ধ শিল্পীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী রিয়াজও। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে জনপ্রিয় এ নায়ক তখন বলতে থাকেন, ‘ভোটাধিকার হারানো এই মানুষগুলোর কান্না থামিয়ে মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে চাই। এই মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকান। তাদের সাথে অন্যায় হয়েছে।’ এ সময় ভোটাধিকার হারানো প্রায় ৫০ জন শিল্পী রিয়াজের সঙ্গে চিৎকার করে কান্না শুরু করেন।

শুধু তাই নয়, রতন নামে ভোটাধিকার হারানো একজন সদস্য কান্নায় ভেঙে পড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে রিয়াজসহ কয়েকজন তাকে কাধে করে পরিচালক সমিতির কক্ষে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।


রিয়াজ বলেন, ‘নোট দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’ নামে একটি নির্বাচনী গান করেছি। এই গানটি যখন বাজছিল, তখন ৭০ বছরের বেশি বয়সী একজন ভোটাধিকার হারানো বৃদ্ধ শিল্পী শুনছিলেন। আর কষ্ট পাচ্ছিলেন। তার সেই কষ্ট আমাকে আবেগতাড়িত করেছে। সেজন্য কান্না থামাতে পারিনি।’

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে লড়ছে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল। এ নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকবেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।

১:১৪ AM


লাখ লাখ ভক্তের মন ভেঙে বিয়ের ১৮ বছর পর বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তামিল সুপারস্টার ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। ২০০৪ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা কাস্থুরি রাজার পুত্র ধানুশ এবং মেগাস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। এরপর প্রায় ২ দশক পরে তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত দু'জনই দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবার থেকে এসেছেন। ধানুশ অভিনয় দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু করছিলেন। তার কাধল কোনদেইন সিনেমা মুক্তির পর ঐশ্বরিয়া তার সঙ্গে দেখা করেন। জানা যায়, ঐশ্বরিয়া তখন ধানুশের অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন এবং এমনকি তাকে একটি ফুলের তোড়া পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সুতরাং বলা যায়, তাদের পরিচয় পর্ব চমৎকার ছিল।

এরপর তারা প্রায় দেখা করতেন, ঘুরতে যেতেন কিংবা একসঙ্গে আড্ডা দিতেন। এ নিয়ে তাদের প্রেমের গুঞ্জন শুরুও হয়। কিন্তু, ধানুশ তখন সেই গুঞ্জন অস্বীকার করে বলেছিলেন, ঐশ্বরিয়া শুধু তার বোনের বান্ধবী। পরে দুই পরিবারের ইচ্ছাতেই তাদের বিয়ের আলোচনা শুরু হয় এবং ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর ছয় মাসের প্রেম শেষে ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন ধানুশের বয়স ছিল ২১ এবং ঐশ্বরিয়ার ২৩ বছর। তবে, দুই বছরের বয়সের ব্যবধান কখনোই এই জুটির জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি।


বিয়ের ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ধানুশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছিলেন ঐশ্বরিয়া। তিনি বলেছিলেন, আমাদের সম্পর্কের সর্বোত্তম জিনিসটি হলো- আমরা একে অপরকে প্রচুর ছাড় দিই। আমরা কেউ অন্যের পরিবর্তনে বিশ্বাস করি না। কারণ আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। কারো বয়স ২০-এর দশকের মাঝামাঝি হয় তখন যে কারো মন একটি নির্দিষ্ট কিছুতে স্থির হয়ে যায়। যেখান থেকে নিজেকে পরিবর্তন করা খুব কঠিন।

যাই হোক ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়ার প্রেমের গল্প অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে ছিল। কিন্তু, ১৮ বছর পরে এসে দু'জনে বুঝতে পেরেছেন এখন তাদের পৃথক হওয়ার সময় এসেছে। 'মারি' অভিনেতা ধানুশ টুইটারে ঘোষণা দিয়েছেন- বন্ধু, দম্পতি, পিতা-মাতা এবং একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে ১৮ বছর একসঙ্গে থাকা। কিন্তু, আজ আমরা এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমাদের পথ আলাদা... ঐশ্বরিয়া এবং আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও লিখেছেন, দয়া করে আমাদের সিদ্ধান্ত ও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রয়োজনীয় গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় সেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আসামি। আসামিকে দিয়ে গাড়ি চালানোয় সে কৌশলে গাড়ি খাদে ফেলে নিজে পালিয়ে যায়।

এতে দুই এসআইয়ের মৃত্যু ঘটলেও পালিয়ে যায় আসামি।
নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁ থানায় কর্মরত। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

এ দুর্ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। তাকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং শেষে সোনারগাঁ থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী সালেহ আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম মাইক্রোবাসে থানায় ফিরছিলেন। পথে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

প্রত্যক্ষদর্শী টমটম চালক মোক্তার হোসেন জানায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দত্তপাড়া বাদশা গ্যারেজের একটু সামনে একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে এসে পুকুরে পড়ে যায়। গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সোনারগাঁ থানার দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর থেকে পুলিশের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে আমার টমটমে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী বলেন, গাড়িটি পুকুরে পড়ার পর রশি বেঁধে উল্টে ইট দিয়ে গ্লাস ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত এএসআইকে আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি।


পিয়ংইয়ং বিমানবন্দর থেকে সোমবার ভোরে সমুদ্রে দুইটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি সাধারণত এই সময়ে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় না। তবে কী কারণে দুই সপ্তাহের মধ্যে চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে বিবিসি।


জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়াকে সব ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে নিষেধ করেছে। এজন্য দেশটির উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।


বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন পূর্ব এশিয়ার দেশটি বারবার সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নিজে দেশের সুরক্ষার কথা বলে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের কাজ বন্ধ না করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। যা নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।


উত্তর কোরিয়া কেন এ সময়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল?

এ বছর জানুয়ারিতে যেভাবে কয়েক দিনের ব্যবধানে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো সেটি সাধারণত হতে দেখা যায় না। উত্তর কোরিয়া সাধারণত সে দেশে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিন উপলক্ষে বা যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়ার সময় নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।


এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত পান্ডা বিবিসি-কে বলেন,উত্তর কোরিয়া সাধারণত নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা দেখতে এবং যুদ্ধের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকার জানান দিতে নানা ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষায় চালায়। সর্বশেষ পরীক্ষা তাদের এই উদ্দেশ কে আরও নিশ্চিত করল।


“তবে একইসঙ্গে ‍অভ্যন্তরীন কিছু বিষয় বিবেচনা করে কিম জং উন এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে থাকতে পারেন। অর্থনৈতিকভাবে কঠিন সময় পার করছে উত্তর কোরিয়া।এই সময়ও তিনি যে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন সেটা প্রমাণ করতেই হয়ত তিনি এবারের পরীক্ষা চালিয়েছেন।”


উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। দেশটিকে খাদ্য সংকটের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণ রুখতে উত্তর কোরিয়া নিজেদের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।ফলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তাদের সবচেয়ে বড় মিত্র চীনের সঙ্গে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। যদিও শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত পুনরায় খুলে দেওয়া হবে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।



সম্প্রতি কিম জং উন স্বীকার করেছেন, তার দেশ জীবন-মরণ সংকটে পড়েছে। তারপরও তিনি সামরিক শক্তি বাড়ানো এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তা স্থবির হয়ে পড়েছে। উপরন্তু,এ মাসের শুরুতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরে বাইডেন প্রশাসন গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার উপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সোমবারের পরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।


উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণ কী চীন?


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবির) ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের সহিংসতার পথে না যেতে অনুরোধ করেছেন।  
 

জানা গেছে, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লোগো সম্বলিত গাড়ি নিয়ে ড্রাইভারসহ তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদেরকে ক্যাম্পাসে যেতে দেন। তখন একজন নিজেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএ পরিচয় দিয়ে বলেন, শাবির ঘটনায় তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন) দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক এবং সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে ব্যবস্থা নেবেন।
 

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ও জলকামান সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাও নিবেন তিনি। এছাড়া, শাবি শিক্ষার্থীদের সহিংসতার পথে না যাওয়া আহ্বান জানান।


আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিবেন বলে ঐ মুখপাত্র জানান।

 
তিনি বলেন, সোমবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা থেকে ছুটে এসেই তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহত ছাত্রদের খোঁজখবর নেন। এরপর শাবিতে আসেন।
 
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সহিংস পথে না যাওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তারা, শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে  ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে রাত পৌনে একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ও জলকামান সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

তবে শিক্ষার্থীরা তখনও ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করছিলেন।


চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে র‌্যাব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক দুজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। প্রাইভেট কারটির ব্যাকডালায় রক্ত পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে এ প্রতিবেদন লেখার সময় তাদের নিয়ে অভিযানে পরিচালনা করছে র‌্যাব ও পুলিশ।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে র‌্যাবের কাছে সে কিছু তথ্য দেয়। সেই তথ্যানুযায়ী তাদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) রাখা হয়েছে। সেখানে শিমুর স্বামী ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে তাদের আটক করে র‌্যাব।


এ ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি, তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) কলাবাগানের বাসা থেকে নিখোঁজ হন শিমু। এই ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর দিন শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বোন জামাই নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। সে মাদকাসক্ত। র‌্যাব ও পুলিশের কাছে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

৩:১১ AM


দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পের ‌‘কর্ণাটক ক্রাশ’ ভারতের দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মন্দানার বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। ‘পুষ্পা’ সিনেমাটি বক্স অফিসে এখনও গুছিয়ে ব্যবসা করছে। ‘পুষ্পা’ সিনেমার সাফল্যে অভিনেত্রী রাশমিকা মন্দানা এক লাফে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে নিয়েছেন । 


তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড়ের পাশাপাশি হিন্দিতেও মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি বলিউড-হলিউডকে টক্কর দিয়েছে অনায়াসে।

‘পুষ্পা’-র জয়যাত্রা এখানেই শেষ নয়। পরিচালক সুকুমার সিক্যুয়েলের কথা ঘোষণা করেছেন আগেই। নাম ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছেন রাশমিকা।


‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম কিস্তিতে অভিনয়ের জন্য ২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। বক্স অফিসে ছবির তুমুল সাফল্যের পর ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন মন্দনা।


ছবিতে নায়ক অল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন রাশমিকা। তার চরিত্রের নাম শ্রীবল্লী। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’-এর শ্যুট।


রাশমিকার ছবির মধ্যে অন্যতম কিরিক পার্টি (২০১৬), আঞ্জানী পুত্রা (২০১৭), চমক (২০১৭), চালো (২০১৮), গীতা গোবিন্দম (২০১৮), ডিয়ার কমরেড (২০১৯) যাজামানা (২০১৯), সারিলেরু নিকেভ্যারু (২০২০) এবং ভীষ্ম (২০২০)।

২:৫৮ AM


বিয়ে ও মাতৃত্বের জোড়া খবর দিয়ে যেমন চমকে দিলেন পরী, একইভাবে প্রযোজক-পরিচালকদেরও হতাশায় ডোবালেন। ঘোষণা দিলেন, আগামী দেড় বছর তিনি শুটিংয়ের বাইরে থাকছেন!

১০ জানুয়ারি এমন ঘোষণার পর বিপাকে পড়ে যান তাকে নিয়ে নির্মাণ চলতি সিনেমার নির্মাতা-প্রযোজকরা। যার মধ্যে অন্যতম দুটি ছবি, অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ এবং রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। এই দুটি ছবি নিয়ে খোদ পরীমণির মধ্যেও ছিল অনেক উচ্ছ্বাস। কিন্তু হঠাৎ প্রেম-বিয়ে-বাচ্চার ঘটনায় রাতারাতি পাল্টে দেয় পরিস্থিতি। সেই বিপদ আরও ঘনীভূত হলো, যখন অসুস্থতার কথা বলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকেও নিজের নামটি প্রত্যাহার করে নেন পরী।

তবে নির্মাতাদের এসব দুশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তাকে উড়িয়ে দিয়ে আবারও আশ্বাসের আকাশে ডানা মেললেন পরী। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নির্মাতাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন শুটিংয়ে ফেরার। বিশেষ করে অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ সিনেমার শুটিং শেষ করে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।


নির্মাতা জানান, ২২ জানুয়ারি থেকে ‘মা’ ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন পরীমণি।

অরণ্য আনোয়ার বলেন, ‘২০ জানুয়ারি থেকে আমরা দ্বিতীয় লটের শুট শুরু করতে যাচ্ছি। পরী যোগ দেবেন ২২ তারিখ। তার বাসায় আমরা স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা করেছি, মোটকথা আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

এদিকে ‘প্রীতিলতা’ টিমের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, পরীমণি এই ছবিটির শুটিংও শেষ করে দিতে চান। কারণ, এরমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে ছবিটির। বাকি অংশটি আটকে আছে পরীর অপেক্ষায়। জানা গেছে, দুই মাস পর এই ছবিটির জন্যেও শিডিউল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরী। 


ছবিটির শেষ লটের শুট শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে। চিত্রনাট্যকার গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বসেছি শনিবার রাতে। এখানে তো আসলে সিনেমা দেখলেই হবে না, পরীমণিকেও দেখতে হবে। তো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে মার্চ মাসে বাকি অংশের শুট করবো।’

পরীমণি বিয়ে-বাচ্চার চমক এবং শুটিং না করার ঘোষণার আগেই করোনাকালজুড়ে টানা শেষ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’, ‘চয়নিকা চৌধুরীর ‌‘কাগজের বউ’, রায়হান জুয়েলের ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ও ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’-এর কাজ।

২:৪১ AM


অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। গতকাল দেশের পাঁচটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ছিটমহল’। এইচ আর হাবিব পরিচালিত এ সিনেমায় প্রীতিবালা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহলের নাগরিকদের দুঃখ-দুর্দশা, জীবনপ্রবাহের টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। এটি মূলত একটি দেশপ্রেমের ছবি। ছিটমহলে বসবাসকারী একটি হিন্দু পরিবারের জীবনপ্রবাহ দেখানো হয়েছে ছবিটি।

সিনেমাটি মুক্তির পরেই অনেকেই প্রশংসা করেছেন মৌসুমী হামিদের অভিনয়। এ ব্যাপারে দেশীয় গণমাধ্যমে মৌসুমী হামিদ বলন, এখনো সেভাবে সরাসরি দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ হয়নি। তবে এরই মধ্যে আমার পরিচিত যারা দেখেছেন, তারা প্রশংসা করেছেন।

নিজের অভিনয় আর রূপ দিয়ে জয় করে নিয়েছেন সবার মন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এখনো ব্যাচলর এই অভিনেত্রী। এদিকে গেলো কয়েকদিনে শোবিজের অনেকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। কিন্তু নিজের বিয়ে নিয়ে এই অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন মত।

মৌসুমী হামিদ বলেন, এ বছরের যে কোনো সময় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারি। পরিবার থেকেও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে আমার উচ্চতা নিয়ে। আমার সমান উচ্চতার ছেলে মিলছে না। লম্বা ছেলে তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আমার উচ্চতা পাঁচ ফুট সাড়ে ৯ ইঞ্চি। এই উচ্চতার ছেলে মেলানোর চেষ্টা করছি। আমার উচ্চতার সমান ছেলে পেলে যে কোনো মুহূর্তে বিয়ে করব।


১:৫৬ AM


দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’। এই ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় শাফিন আহমেদ। বহু গান তিনি উপহার দিয়েছেন ব্যান্ডপ্রিয় শ্রোতাদের। সম্প্রতি দলটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সক্রিয় হয়েছেন রাজনীতিতে।

সেই শাফিনকে দেখা যাবে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভির সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ড্যানিশ প্রেজেন্টস ‘ইয়াং স্টার’- এর বিচারকের আসনে। তার সঙ্গে অতিথি বিচারক হিসেবে আরও থাকবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন।

এ দুই অতিথি বিচারকের সঙ্গে থাকবেন আয়োজনের প্রধান তিন বিচারক ইবরার টিপু, প্রতীক হাসান ও পড়শী।

এ আয়োজনে বিচারক হওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে শাফিন আহমেদ বলেন, ‘তরুণদের নিয়ে এমন একটি আয়োজন করার জন্য আরটিভিকে ধন্যবাদ। ব্যান্ড নিয়ে সাজানো পর্বে আমি থাকছি। বেশ মজার অভিজ্ঞতা। আশা করি এই আয়োজনের মাধ্যমে ভালো কিছু শিল্পী উঠে আসবে।’

শওকত আলী ইমন বলেন, ‘শুধু সিনেমার গান দিয়ে বিশেষ পর্বে অতিথি হতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা বেশ দারুণ। প্রতিযোগিরাও অসাধারণ গায়। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতে তারা অনেক ভালো করবে।’

আগামীকাল মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় আরটিভিতে ব্যান্ডের গানের পর্ব প্রচার হবে। সিনেমার গানের পর্বটি আগামী বুধবার ১৯ জানুয়ারি একই সময়ে একই চ্যানেলে প্রচার হবে।

সোহাগ মাসুদের প্রযোজনায় মিউজিক্যাল এই রিয়েলিটি শো আরটিভি ছাড়াও আরটিভি প্লাস ও আরটিভি রিয়েলিটি শো-এর ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে বলে জানান আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব।

এই রিয়েলিটি শো-এর উপস্থাপনা করছেন জনপ্রিয় মডেল, অভিনেতা ও উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ও নৃত্যশিল্পী, উপস্থাপিকা রুহানী সালসাবিল লাবণ্য।

১:৫০ AM


কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (১৭ জানুয়ারি)। মহানায়িকার জীবন ছিল রহস্যে ভরপুর।

পর্দায় শীর্ষ স্থান দখল করেও ৩৬ বছর তিনি ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। আমৃত্যু স্বেচ্ছায় নির্বাসনেই ছিলেন এই রহস্যময়ী।

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুচিত্রা সেন।

তার প্রকৃত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ মহকুমার ভাঙাবাড়ি গ্রামে নানাবাড়িতে তার জন্ম। পাবনা শহরের বাড়িতে কেটেছে শৈশব-কৈশোর।

বড় পর্দায় সুচিত্রার যাত্রা শুরু হয় ১৯৫২ সালে। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘শেষ কোথায়’ হলেও মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা সিনেমা ‘সাত নম্বর কয়েদি’। আর প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘দেবদাস’ মুক্তি পায় ১৯৫৫ সালে। সব মিলিয়ে ৬০টি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে বাংলা ৫৩টি এবং হিন্দি ভাষার ৭টি সিনেমায় তাকে দেখা গেছে।


সুচিত্রা সেনের জীবনের অনেক ঘটনাই রয়ে গেছে আড়ালে। তবে কিছু ঘটনা হয়তো সবারই জানা আবার কিছু ঘটনা অনেকের অজানা। মহানায়িকার জীবনের এমনই কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরা হলো-

* বলিউডে ‘দেবদাস’ই ছিল সুচিত্রা সেনের প্রথম সিনেমা। এতে পার্বতী চরিত্রে স্মরণীয় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি।

* সুচিত্রা সেনের ‘আন্ধি’ গুজরাটে মুক্তির পর ২০ সপ্তাহ নিষিদ্ধ ছিল। কারণ তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া থাকার কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।  

* আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারজয়ী প্রথম বাঙালি অভিনেত্রী ছিলেন সুচিত্রা সেন। ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাত পাকে বাঁধা’ সিনেমার জন্য তিনি এই স্বীকৃতি পান।


* সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর স্বেচ্ছায় অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা সেন। এরপর থেকে বেশিরভাগ সময় রামকৃষ্ণ মিশনে কেটেছে তার। নির্জন ও নিভৃত জীবনযাপন করায় হলিউড কিংবদন্তি গ্রেটা গার্বোর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তার মিল খুঁজেছেন অনেকে।

* উত্তম কুমারের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের জুটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে প্রথমবার একফ্রেমে দেখা যায় তাদেরকে। তারা একসঙ্গে প্রায় ৩০টি ছবিতে অভিনয় করেন।

* সময় ফাঁকা না থাকার কারণে সত্যজিৎ রায়ের ‘চৌধুরানী’ সিনেমাতে কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন সুচিত্রা সেন। এ কারণে অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ সিনেমাটি আর বানাননি।

* সুচিত্রা সেনই একমাত্র ভারতীয় অভিনয়শিল্পী যিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পুরস্কারটি পাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী নয়াদিল্লীতে যেতে হতো তাকে। কিন্তু তিনি জনসমক্ষে আসতে চাননি।

* ১৯৫২ সালে নির্মিত সুচিত্রা সেনের প্রথম বাংলা সিনেমা ‘শেষ কোথায়’ কখনও মুক্তি পায়নি।  


ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

সোমবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৫ জনের। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫১।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২ লাখ ৭১ হাজার ২০২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে ভারতে নতুন রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ২৫৩ জনে। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬১ জন।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণও বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনার এই ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২০৯ জনে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভারতের ২৯টি প্রদেশে করোনার ওমিক্রন ধরনটি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও দিল্লিতেই ওমিক্রনের সংক্রমণ বেশি।


দেশে নতুন করে আরও ২২ ব্যক্তি করোনার অমিক্রন ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা। এ নিয়ে দেশে ৫৫ জন অমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দেশে আরও ২২ জনের দেহে করোনার আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৫৫ জন ওমিক্রনে আক্রাক্ত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) নতুন এই ২২ রোগীর ওমিক্রনে আক্রান্তের খবর দিয়েছে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি)। 

নতুন আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে ১২ জনই রাজধানীর মহাখালী এলাকার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে উত্তরার চার জন, বাসাবোর দুই জন এবং চাঁনখারপুল এলাকার বাসিন্দা চার জন।

জানা গেছে, নতুন করে ওমিক্রন শনাক্তদের ১২ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এদের মধ্যে ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরীও রয়েছেন।

এর আগে ১০ জানুয়ারি দেশে তিনজন নতুন ওমিক্রন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।



সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিচারক তাফাজ্জাল হোসেন (টি এইচ) খান (১০২) আর নেই। আজ রবিবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার কল্যাণপুরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। 

আগামীকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল। 

কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'টিএইচ খান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম আইনজীবী। গত ২১ অক্টোবর ছিল তাঁর ১০২তম জন্মদিন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পারিবারিকভাবেই জন্মদিনটা পালন করা হয়েছিল।'

কাজল বলেন, 'আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টায় প্রবীণ এই আইনজ্ঞের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরহুমের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে গ্রামের বাড়িতে তাঁর লাশ দাফন সম্পন্ন হবে।' 

তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন টি এইচ খান। তাঁর বড় ছেলে আফজাল এইচ খান সাংবাদিকতা ছেড়ে এখন আইন পেশায় আছেন। মেজো ছেলের নাম ফজলে এলাহী খান, ছোট ছেলের নাম ফায়সাল এইচ খান। মেয়ে চিকিৎসক মাহমুদা ফাতেমা খান। ২০১১ সালে মারা যান টি এইচ খানের স্ত্রী বেগম রওশন আরা জোবায়দা খানম।

টি এইচ খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এক শোক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি টি এইচ খানের আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। 

এ ছাড়া টি এইচ খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।  টি এইচ খানের মৃত্যুতে আইন অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে শোক সমিতির শোক বার্তায়। 

টি এইচ খানের ছেলে আফজাল এইচ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রবিবার ভোরে কল্যাণপুরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আব্বাকে। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতাসহ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।  বিকেল ৫টার দিকে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।'  

এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর ভর্তি করানো হলে ৬ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাসায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান আফজাল এইচ খান।    

১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন টি এইচ খান।  ১৯৪০ সালে  ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর  ১৯৪২ সালে তৎকালীন কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ অনার্সে ভর্তি হন।

১৯৪৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স এবং ১৯৪৬ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৫১ সালের ১৪ মার্চ তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হন। পরে ১৯৬৮ সালে  পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে  বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি হন। 

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস থেকে আইন পেশায় ফিরে আসার পরের বছর সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতায় এলে রাজনীতির পাশাপাশি  আইন পেশা চালিয়ে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

টিএইচ খান ১৯৯২ সালে জাতিয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান।


করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আমরা এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছি না। আজ রোববার দুপুরে সাভারের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (পিএটিসি) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকাদান কর্মসূচিটাও খুব জোরদারভাবে চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে সেই টিকাদান কর্মসূচিতে ভাটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করছি, পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এখনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের সংক্রমণের খবর পাইনি। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এ বিষয়ে নজর রাখছে। আমরা জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগে আছি, আমরা এখনো ভাবছি না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কথা।


তিনি আরও বলেন, যতদূর সম্ভব জীবন স্বাভাবিক রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই করোনা মোকাবিলা করতে হবে। সেটাই সিদ্ধান্ত। অতএব আমরা এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছি না। তবে যদি তেমন বড় প্রয়োজন দেখা দেয় তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব।


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আজ রোববার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষা। তবে ভোট চলাকালে দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

দুপুর পৌনে ১২টায় পুরুষ কেন্দ্রটির ২ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা যায় কক্ষটির গোপন বুথে একই সঙ্গে দুজন প্রবেশ করেছেন। সংবাদকর্মীরা পরিচয় দিয়ে সেখানে তাদের প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে বুথে থাকা দুজন বের হয়ে আসেন। তাদের একজন নিজেকে কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মানুষ ভোট দিতে পারছে না। দেখিয়ে দিতে হচ্ছে। ভোটারেরা লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্ত।’

গোপন বুথে প্রবেশ উচিত কি-না জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, ‘মানুষের সাহায্য করলেও দোষ নাকি?’

এ ওয়ার্ডের ঠেলাগাড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাউসার কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ইভিএমে ধীরগতির কারণে শেষ পর্যন্ত ভোটারদের ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সবগুলো কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি ভালো। কিন্তু সে অনুযায়ী ভোট কাস্ট হচ্ছে না। কারো আঙ্গুলের ছাপ মেলে না, কেউ চোখে দেখে না আবার অনেক বয়স্ক মানুষ পদ্ধতিটাই বুঝে উঠতে পারছে না।’ এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে আঙ্গুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ করেছেন অনেক ভোটার।

পুরো সিটির নির্বাচনই এবার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

রোববার বিকেলে ৪টা ২৩ মিনিটে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার ভোটগ্রহণ শেষ এবং ভোট গণনা শুরুর তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে বিকেল ৪টায়। তারপর থেকে অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রার্থী ও ভোটাররা ফলাফল জানতে পারবেন।’

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে তৈমুর আলমের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নির্বাচনে মেয়রপদে আওয়ামী লীগ দলীয় গত দুবারের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে। মেয়রপদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ্ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক)।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget