ইউক্রেন বাহিনীকে নিয়ে রুশ কমান্ডারের বিরল স্বীকারোক্তি

 


ইউক্রেন বাহিনীকে নিয়ে রুশ কমান্ডারের বিরল স্বীকারোক্তি

ইউক্রেনে নিযুক্ত রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নতুন কমান্ডার বিরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের এলাকা পুনর্দখলে নিতে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের প্রতিরোধের চাপে রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে মস্কো এই এলাকা অধিগ্রহণ করার দাবি করেছে। খবর রয়টার্সের

রাশিয়া আরেকটি উদ্বেগের বিষয় জানিয়েছে। খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে ক্রেমলিনভিত্তিক কৌশলগত প্রধান গত মঙ্গলবার এক ঘোষণায় বলেন, নিপ্রো নদীতীরবর্তী চারটি শহর থেকে নাগরিকদের পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার বিমানবাহিনীর জেনারেল সের্গেই সারোভিকিন সরকারি রাশিয়া টোয়েন্টি ফোর সংবাদ চ্যানেলকে বলেছেন, ‘যে এলাকায় বিশেষ সেনা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাকর।’ সারোভিকিন এখন ইউক্রেনে অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।

খেরসন এলাকায় সারোভিকিন আরও বলেছেন, ‘এই এলাকার পরিস্থিতি কঠিন। শত্রুরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে খেরসনের বিভিন্ন অবকাঠামো ও আবাসিক ভবনে হামলা চালাচ্ছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে খেরসন থেকে ২০–৩০ কিলোমিটার পিছু হটানো হয়েছে রাশিয়ার বাহিনীকে। দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে রুশ বাহিনীকে আটকে রাখার আশঙ্কা রয়েছে। জাপোরিঝঝিয়ার রুশ কাউন্সিলের সদস্য ভ্লাদিমির রগোভ বলেছেন, রুশ–নিয়ন্ত্রিত এনেরগোদার শহরে ইউক্রেনের বাহিনী সারা রাত গোলা হামলা চালিয়েছে। ওই শহরে জাপোরিঝঝিয়া কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন কর্মী বসবাস করেন।

ইউক্রেনে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম অ্যাপে ভ্লাদিমির রগোভ বলেন, এনারহোদার শহরের প্রান্তে বেশ কয়েকটি গোলা হামলা হয়েছে। সেখানে একটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে রয়টার্স হামলার তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

ইউক্রেন ও রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেছে। ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।

ইউরোপের সর্বোচ্চ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝঝিয়ায় নিরাপত্তা সুরক্ষা জোন নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে ফেরার আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি।
ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। শহরটি এখনো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে শিগগিরই এখানে ইউক্রেনের পাল্টা জবাব আসছে বলছে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেনের অভিযোগ ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। তবে ইরান এ ধরনের ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া হামলা চালিয়ে দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করেছে।

আরো পড়ুন:


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget