Latest Post

 ১১ মার্চ থেকে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৪

‘Bachelor Point’ season 4 from March 11


দেশের তরুণ প্রজন্মের লাইফস্টাইল, আবেগ ও তাদের হাসি-ঠাট্টায় ভরপুর সিরিয়াল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র সিজন ৪ প্রচারে আসছে।


আগামী ১১ মার্চ থেকে জনপ্রিয় নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ সিরিয়ালটি টিভি ও ইউটিউবে প্রচার হবে৷

রোববার সকালে গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন ডেকে কাজল আরেফিন অমি জানান, ১১ মার্চ থেকে সপ্তাহে ৩ দিন (শুক্র, শনি ও রোববার) ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৪ প্রচার হবে।


রাত ৮:২৫ মিনিটে টিভিতে প্রচারের পর ধ্রুব টিভির ইউটিউবে উন্মুক্ত হবে প্রতি এপিসোড।

‘দেশীয় সিরিয়াল দর্শক দেখে না, সিরিয়াল নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ নেই’ – এমন অভিযোগ চলমান, সেখানে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র পরপর ৩টি সিক্যুয়েলে বানিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেন পরিচালক অমি। তাই দর্শক চাহিদা প্রাধান্য নিয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সিরিয়ালটির নতুন সিজন বানিয়েছেন তিনি।

জনপ্রিয় ফ্রুট ড্রিংকস ফ্রুটিকা নিবেদিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন-৪ এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন আগের শিল্পীরা। যারা প্রত্যেকেই নাটকটির চরিত্রগুলো দিয়ে দর্শক মহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন।


সংবাদ সন্মেলনে প্রত্যেক শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। তাদের ছিলেন মিশু সাব্বির, পলাশ, চাষী আলম, মারজুক রাসেল, সাবিলা নূর, সানজানা সরকার রিয়া, ফারিয়া শাহরিন, শরাফ আহমেদ জীবন, সুমন পাটোয়ারী, মনিরা মিঠু, আবদুল্লাহ রানা, শিমুল শর্মা, পারসা ইভানা, পাভেল প্রমুখ।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের এমডি ও সিইও সৈয়দ আলমগীর, আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজের হেড অব বিজনেস আতিকুর রহমান, ব্যান্ড মার্কেটিং এজিম আশফাকুর রহমান, মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট হেড আরিফ উল হক, ধ্রুব টিভির কর্ণধার ও সংগীত শিল্পী ধ্রুব গুহ।

 করোনায় মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুণ, শনাক্ত কমে ৩৬৮


Deaths in Corona doubled, detection decreased to 368


রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন ও নারী ৬ জন। মৃত ১৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১ জন মারা যান।


এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭৭ জনে। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

আজ শনিবার (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।


একই সময়ে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩৬৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ।


 সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৭৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৪১৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ৪৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৭ জনে। আর মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৮০৯টি।


২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। ৫ মার্চ পর্যন্ত মোট মৃত ২৯ হাজার ৭৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫৬০ জন ও নারী ১০ হাজার ৫১৭ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৫ মার্চ পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ৪১ শতাংশ।


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ৪ হাজার ১৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জনে। রোগী সুুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।


২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, পঞ্চাশোর্ধ ৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২ জন এবং আশি বছরের বেশি বয়সী ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।


বিভাগীয় হিসেবে করোনায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, বরিশালে ২ জন, রংপুর এবং ময়মনসিংহে ১ জন করে মারা গেছেন।

 যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলা, কারণ জানাল রাশিয়া


The bomber struck shortly after noon in front of a Russian military base


ইউক্রেনের মারিউপোল শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা আবার শহরটির ওপর একের পর এক বোমা হামলা শুরু করে। রুশ বাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কড়া সমালোচনা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।

এর কারণস্বরূপ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাবি করেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতির অপব্যবহার করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এ কারণে ওই যুদ্ধবিরতি স্থগিত করে আবার সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কভ শনিবার রাতে এমনটি দাবি করেছেন বলে খবর দ্য মস্কো টাইমসের।  


তিনি দাবি করেন, ঘোষিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদী সশস্ত্র ব্যক্তিরা শনিবার রাশিয়ার সেনাদের ওপর হামলা অব্যাহত রাখে এবং তাদের হামলা করা থেকে বিরত রাখতে কিয়েভ ব্যর্থ হয়। এ কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাশিয়ার সেনাবাহিনী আবার অভিযান শুরু করেছে। 


তবে মারিউপোল শহরের ডেপুটি মেয়র সের্গেই অরলোভের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, রুশ সেনারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছেন, তারা সেখানে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে। রুশ গোলাবর্ষণের কারণে এখন সেখানে রাস্তায় বেরোনো মোটেই নিরাপদ নয়। যে পথ ধরে পাঁচ/ছয় হাজার বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, সেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গাতেও লড়াই চলছে।


এর আগে রাশিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের দুই শহরের জন্য মানবিক করিডর তৈরির ঘোষণা দেয় রাশিয়া। শনিবার সকাল ১০টায় ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভোলনোভাখা শহরের জন্য এই মানবিক করিডর চালু করা হয়।

অবশেষে ইউক্রেন থেকে রওনা দিলেন আটকে পড়া বাংলাদেশি নাবিকরা

The stranded Bangladeshi sailors finally left Ukraine


তিনবার চেষ্টার পর অবশেষে আজ শনিবার ইউক্রেন থেকে রওনা দিয়েছেন ২৮ বাংলাদেশি নাবিক। তাদের সঙ্গে আছে যুদ্ধের গোলায় নিহত এক নাবিকের মরদেহ। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় তারা রওনা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গন্তব্য ইউক্রেনের পাশের মলদোভা।

গতকাল শুক্রবার থেকে তিন দফা গাড়িতে উঠলেও রওনা দিতে পারেননি যুদ্ধে আতঙ্কগ্রস্ত নাবিকরা। এর মূল কারণ শুক্রবার থেকে স্থলভাগে বোমা হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযাগের পর আজ সকালে বোমা হামলা একটু কমলে যাত্রা শুরু করেন নাবিকরা। আজ সকাল পর্যন্ত তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি দুপুর ১টায় কথা বলে কনফার্ম হয়েছি, তারা ইউক্রেনের বাংকার থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবার থেকে ব্যাপক বোমা হামলা শুরু হয় স্থলভাগে। এর ফলে যাত্রা শুরুর ঝুঁকি নিতে পারেনি নাবিক এবং তাদের উদ্ধারকারী টিম।


তিনি বলেন, তিনটি গন্তব্য সামনে রেখে তারা রওনা দেন। প্রথমটি পাশের দেশ মলদোভা, দ্বিতীয়টি পোল্যান্ড, তৃতীয় রোমানিয়া। যেখানে নিরাপদে যাওয়া যাবে সেখানেই নাবিকরা যাবেন। তবে কোথায় যাবেন নিরাপত্তার খাতিরে সেটি প্রকাশ করা হচ্ছে না। আল্লাহর রহমতে আশা করছি, নিরাপদেই পৌঁছবেন তারা।


জানা গেছে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর থেকে মলদোভার সড়কপথের দূরত্ব ৮১২ কিলোমিটার। আর অলভিয়া থেকে পোল্যান্ডের সড়কপথের দূরত্ব ১৪০০ কিলোমিটার। আর পোল্যান্ড যেতে হলে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দিয়েই যেতে হবে। সে জন্য প্রথমে মলদোভায় গিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।


উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বোমা হামলায় অচল 'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজ থেকে ২৮ জীবিত নাবিক এবং একজন নিহতকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই ইউক্রেন বন্দরের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে বিশেষ বাংকারে রাখা হয়। সেখানে তারা রাত পার করেন। শুক্রবার থেকে তাদের স্থানান্তর করার কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।


শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেনি।

 ভণ্ডুল যুদ্ধবিরতি, মারিউপোলে তীব্র গোলাবর্ষণ

Vandalism ceasefire, intense shelling in Mariupol


 ইউক্রেনের মারিউপোল শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া রাজী হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা আবার শহরটির ওপর অব্যাহত গোলা হামলা চালাচ্ছে। ফলে এই পরিকল্পনা এখন ভণ্ডুল হয়েছে।

আমি এখন মারিউপোলে, শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি তিন থেকে পাঁচ মিনিট পরপর গোলার শব্দ শুনতে পাচ্ছি, বলছিলেন শহরের একজন বাসিন্দা, ৪৪ বছর বয়সী আলেক্সান্ডার।

তিনি জানান, শহরের লোকজনকে বের করে নেয়ার জন্য যে নিরাপদ করিডোর স্থাপন করা হয়েছে, তা কাজ করছে না।

আমি দেখছি যারা পালানোর চেষ্টা করেছিল তারা ফিরে আসছে। একেবারেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মারিওপোল শহরের ডেপুটি মেয়র এখন অভিযোগ করছেন, রুশরা এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, তারা সেখানে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে। এর ফলে শহর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা তাদেরকে এখন স্থগিত রাখতে হচ্ছে।

 শহরের ডেপুটি মেয়র সের্গেই অরলভ বিবিসিকে বলেন, রুশ গোলাবর্ষণের কারণে এখন সেখানে রাস্তায় বেরুনো মোটেই নিরাপদ নয়। যে পথ ধরে পাঁচ/ছয় হাজার বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল, সেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গাতেও লড়াই চলছে।

তবে এ ব্যাপারে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একেবারেই ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তারা বলছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরাই শহর থেকে বেসামরিক মানুষকে বেরুতে বাধা দিচ্ছে।

তারা আরো বলছে, রুশ বাহিনী যখন একটি মানবিক ত্রাণ করিডোর তৈরি করে, তখন রুশ বাহিনীর ওপর গুলি চালানো হয়।

মারিওপোল শহরে গত কদিন ধরেই তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে লোকজনের বাসাবাড়িতে পানি এবং বিদ্যুতের সরবরাহ নেই, খাদ্য এবং ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মারিওপোল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, এমন একজন জানিয়েছেন, শহরটির অবস্থা এখন নরকের মতো।

ইউক্রেনের দুই শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি, মানবিক করিডর চালুর ঘোষণা রাশিয়ার

Russia announces temporary ceasefire, humanitarian corridor in two Ukrainian cities


রাশিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের দুই শহরের জন্য মানবিক করিডর তৈরির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর স্থানীয় সময় আজ শনিবার সকাল ১০টায় ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভোলনোভাখা শহরের জন্য এই মানবিক করিডর চালু করা হবে। খবর বিবিসি অনলাইনের।

রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভোলনোভাখার বেসামরিক নাগরিকদের শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য পথ তৈরি করে দিতে ‘নীরবতার শাসন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সেখানে সাময়িকভাবে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর থাকবে। তবে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলো আছে সবচেয়ে বেশি চাপে। সেখানে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। এর আগে বন্দর নগরী মারিওপোল দখল নিয়ে রুশ সেনারা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন জানিয়ে মানবিক সাহায্যে করিডর তৈরির আকুতি জানান শহরটির মেয়র।


মারিওপোল দখল রাশিয়াকে ইউক্রেনের একটি বড় বন্দরের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে। শহরটির সঙ্গে ক্রিমিয়া এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের সংযোগ রয়েছে।


এদিকে গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। 

রাশিয়াকে যে হুঁশিয়ারি দিলো ইউক্রেন

Ukraine warns Russia


 ইউক্রেনে দখলকৃত দুই শহর মারিউপোল ও ভলনোভাখায় আংশিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। আজ শনিবার (৫ মার্চ) দেওয়া এক ঘোষণায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের মারিউপোল এবং ভলনোভাখা শহর থেকে যেন মানবিক করিডোর বের হতে পারে, সে জন্য এ সিদ্ধান্ত। এদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে এক ধরনের হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।


 ইরিনা ভেরেশচুক সতর্ক করে বলেছেন, 'যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে রাশিয়া যেন তার সেনাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে না নেয়।'


তিনি আরও বলেন, তার সরকার এমন কিছু খবর এখন ‘যাচাই’ করে দেখছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে শরণার্থী যাতায়াতের করিডোর বরাবর রুশ সেনারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 


 ইরিনা বলেন, 'আন্তর্জাতিক রেডক্রস এই যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছে। তারাই বেসামরিক লোকজনকে বের আনতে  সামনের কাতারে থাকবে। 


রাণীশংকৈলে শিক্ষকের বাসায় শিক্ষার্থীর অনশন; অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!


Student hunger strike at teacher's house in Ranishankail; Human chain to demand removal!



ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার শতবর্ষী সুনামধন্য পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলাম (কুয়াশা)’র অপসারণ চেয়ে স্কুলগেট ও উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা।

তৌহিদুল ইসলাম (কুয়াশা) উপজেলার দৌশিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। 


মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও অভিভাবকদের দাবি ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে নিয়মিত শারিরীক সম্পর্কও স্থাপন করেন তিনি।


ওই ছাত্রীকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন শিক্ষক তৌহিদুল ও তার পরিবার। এই খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ৩ দিন ধরে অনশন শুরু করেন। এসময় তৌহিদুলের পরিবারের লোকজন ঐ ছাত্রীকে নির্যাতন করেন। এসময় সহপাঠীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও অনেক নির্যাতন মারধোর করা হয় বলে জানান স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

পরে নিরুপায় হয়ে বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


এরআগে সকালে পাইলট স্কুলের দক্ষিণ গেটের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের প্রধান সড়ক হয়ে আবার উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন।


মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে তৌহিদুলের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন আমরা মেয়ে শিক্ষার্থীরা সেই শিক্ষকের হাত থেকে নিরাপদ নয়, তাকে অপসারণ করে যেন স্কুল কমিটি আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।

শতবর্ষী সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভূগছেন। 

শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলেন এমন শিক্ষক সেই স্কুলে থাকলে আমরা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকবো আমাদের সন্তানদের নিয়ে। তাই এমন লম্পট শিক্ষককে চিরতরে অপসারণ না করলে আমারাও আমাদের সন্তানদের সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবো না।


এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তৌহিদুলের মোবাইল ফোনে একাধিকার ফোন দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এবিষয়ে পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি আগে জানতাম না এখন জেনেছি এবং শুনেছি। এটির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান শিক্ষার্থীদের একটি অভিযোগ পেয়েছি।  বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে খতিয়ে দেখা হবে।

 


ফেনীন পরশরামে ফেন্সিডিলসহ ইউছুপ নবী সুমন(২৯), মোঃ তৌহিদ(২৬) ও আবুল মিয়া(৫৮) নামে

তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড বাঁশপদুয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 


গ্রেফতারকৃতরা হলেন  ইউছুপ নবী সুমন বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া গ্রামেন (জাহিদ মেম্বার বাড়ী) মৃত আবদুল হাই ও রোদন বিবি'র ছেলে, মোঃ তৌহিদ পৌর এলাকার বাউরখুমা গ্রামের (আবুল অজির বাড়ী) মৃত আবুল খায়ের ও নুর জাহান আক্তারের ছেলে এবং আবুল মিয়া পৌর এলাকার উত্তর কোলাপাড়া গ্রামের মৃত আসলাম ভূইয়া ওমৃত মাদলা বেগমের ছেলে। 


পুলিশ সূত্র জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পরশুরাম মডেল থানার এএসআই রেজাউল আলম, এসআই সৌরজিৎ বড়ুয়া ও এএসআই আবদুল মতিন বিশেষ অভিযান চালিয়ে পরশুরাম-বাঁশপদুয়া সড়কের বাঘা মামার বৈঠক খানার সামনে থেকে ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মু. খালেদ দাইয়ান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের নিয়মিত মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


সোনাগাজীতে চেতনা নাশক স্প্রে করে পরিবারে সদস্যদের অজ্ঞান করে নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্নালংকার লুট

পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীতে চেতনা নাশক স্প্রে নিক্ষেপ করে তিনটি পরিবারে সদস্যদেরকে অজ্ঞান করে পৌনে সাত ভরি স্বর্ন ও নগদ চার লাখ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ রাত তিনটার দিকে সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব ছাড়াইত কান্দি গ্রামের আবু আহমদ গোলদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।


 অচেতন তিন পরিবারের ৭ সদস্যের মধ্যে দুইজন কে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে এবং ৫ জনকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

 

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা জানালা ও বেড়ার ফাঁক দিয়ে চেতনাশক স্প্রে নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও তার কন্যা রোকসানা আক্তার পলিকে অজ্ঞান করে দেড় ভরি স্বর্ন, একই বাড়ির নূর আলম, তার স্ত্রী শাহানা আক্তার, কন্যা জান্নাত আক্তারকে অজ্ঞান করে পৌনে চার ভরি স্বর্ন, নগদ চার লাখ টাকা এবং একই বাড়ির মাও. এমদাদুল ও তার স্ত্রীকে অজ্ঞান করে আড়াই ভরি স্বর্ন লুটে নেয়।

 সকালে প্রতিবেশীরা অজ্ঞান অবস্থায় ৭ সদস্যের মধ্যে নুর আলম ও তার স্ত্রীকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অপর ৫জনকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

 খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম ও ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।


নতুন এক মাইলফলক গড়লেন বিরাট কোহলির। এ ভারতীয় তারকা ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন আজ। 

কোহলির এই অনন্য কীর্তিতে তাকে শুভেচ্ছা জানানে কার্পণ্য করলেন না মুশফিকুর রহিম।


কোহলির এই ঐতিহাসিক দিনে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় দলের অন্যতম তারকা। 


মি. ডিপেন্ডেবল লেখেন, ‘শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামায় বিরাট কোহলিকে অভিনন্দন। নিশ্চয়ই বিশেষ অনুভূতি কাজ করছে, কারণ ১০০ টেস্ট খেলা সহজ কোনো কাজ নয়। আমাদের সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের প্রতি শুভকামনা।’

 


২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ২৭তম টেস্ট শতকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সেঞ্চুরি সংখ্যা ৭০-এ নিয়ে যান বিরাট কোহলি। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি তখন সময়ের ব্যাপার বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। 


কিন্তু ২৭ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোহলি আটকে আছেন সেই ৭০-এ। দীর্ঘ সেঞ্চুরি খরার এই কঠিন সময়ে একে একে ভারতের তিন সংস্করণের নেতৃত্বই হারিয়েছেন অথবা ছেড়ে দিতে হয়েছে তাকে। দলে জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দুঃসময় পেছনে ফেলে কোহলি আবার কবে তিন অঙ্কের দেখা পাবেন, তা সময়ই বলে দেবে।


শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট করতে নেমেই ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলক অর্জন করলেন ভারতীয় ব্যাটার বিরাট কোহলি। শুক্রবার (৪ মার্চ) ঐতিহাসিক মোহালি টেস্ট শুরুর আগেই ১২তম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে কোহলিকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিসিসিআই।

কোহলির হাতে বিশেষ ক্যাপ তুলে দেওয়ার সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী আনুশকা শর্মা। টেস্টের প্রথম দিনে গ্যালারিতে কোহলির পরিবারও হাজির ছিল। তবে কোহলির সংবর্ধনা মঞ্চে আনুশকা কেন, এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের ঝড় ওঠে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবে ক্রিকেট মাঠে ক্রিকেটারের সঙ্গে তার স্ত্রীও হাজির থাকতে পারেন কি না! অনেকেই আবার কোহলির সঙ্গে অনুশকাকে দেখে হৃদয়গ্রাহী পোস্ট করেছেন। তারা আবার কোহলির সঙ্গে অনুশকাকে দেখে, কোনো ভুল খুঁজে পাননি।


যাইহোক, কোচ দ্রাবিড় জানালেন, ‘ও এই সম্মানের পুরোপুরি যোগ্য। ড্রেসিংরুমে বলেছি, এই সংখ্যাটা দ্বিগুণ করতে হবে। ’


সম্মানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কোহলি জানালেন, ‘ধন্যবাদ রাহুল ভাই। এটা আমার কাছে স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। স্ত্রী এখানে রয়েছে। আমার ভাইও গ্যালারিতে রয়েছে। ক্রিকেট দলগত খেলা। সকলের অবদান ছাড়া এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। বোর্ডকে ধন্যবাদ। শৈশবের হিরোর কাছ থেকে এই সম্মান পাওয়ার থেকে ভালো কিছুই হতে পারে না। যুব পর্যায়ে দ্রাবিড়ের সঙ্গে আমার সেই ছবি এখনো রয়েছে। ’


রাশিয়ায় ফেসবুক ও টুইটার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। চলমান ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এরই জের ধরে ফেসবুক ও টুইটার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।


রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা আরআইএ'র ও তাসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুটির প্রবেশাধিকার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


এর আগে, রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, ডয়েচে ভেলে, রেডিও ফ্রি ইউরোপ-রেডিও লিবার্টি ও মেডুজা এবং এনজিও গ্লোবালচেক'র ওয়েবসাইট আংশিক বন্ধের অভিযোগ ওঠে।

এ নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে ফেসবুক বলেছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ লক্ষ লক্ষ মানুষকে নির্ভরযোগ্য তথ্য এবং তাদের মতামত শেয়ার করার একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। তবে দেশটিতে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ এখনও কাজ করছে বলে জানিয়েছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা।


এমনকি রাশিয়ার এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউজও। তাদের প্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে, এটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি রুশ কর্তৃপক্ষ।


এদিকে রুশ সংবাদমাধ্যম দ্য মস্কো টাইমস জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা তীব্র হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী মত প্রকাশে বাধার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আংশিকভাবে বন্ধ আছে।


বিবিসি ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন যখন সন্ধ্যা ৭টার খবর শুরু করল ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভের এক টিভি টাওয়ারে রাশিয়ার হামলায় হতাহতের খবর দিয়ে, রাশিয়ার টিভিগুলো তখন ইউক্রেইনের বিভিন্ন শহরে হামলার জন্য তাদেরই দায়ী করে খবর প্রচার করছে।

পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো যখন ইউক্রেইনে যুদ্ধের ময়দান থেকে পাওয়া ছবি ও তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ উপস্থাপন করছে, তার ঠিক বিপরীত একটি বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রাশিয়ার টেলিভিশনে।


দুই পক্ষের এই বিপরীত চিত্র তুলে ধরে বিবিসি এক প্রতিবেদনে লিখেছে, রুশ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো একটি বিকল্প বাস্তবতা তৈরি করছে সেদেশের দর্শকদের জন্য।

রাশিয়ার টিভি দর্শকরা তাহলে যুদ্ধকে কীভাবে দেখছে? তারা আসলে কী বার্তা পাচ্ছে?


ক্রেমলিন এবং এর করপোরেট মিত্রদের নিয়ন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন স্টেশনগুলোর প্রচারিত ১ মার্চের খবর থেকে টুকরো টুকরো দৃশ্য নিয়ে একটি চিত্র তৈরির চেষ্টা করেছে বিবিসি।


রাশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন স্টেশন চ্যানেল ওয়ানের সকালের বুলেটিনে খবর, বিনোদন, খেলা- সবকিছুই থাকে। তবে মস্কো সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় তাদের স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রম হল।  


সংবাদ উপস্থাপক পর্দায় উপস্থিত হয়ে বললেন ‘সবার জানা ঘটনাপ্রবাহের কারণে’ তাদের সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে আরও বেশি বেশি খবর এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলী থাকবে দর্শকদের জন্য।

চ্যানেল ওয়ানের সংবাদে দাবি করা হয়, ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীর হাতে রুশ সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের যেসব খবর প্রচার করা হচ্ছে সেসব ‘মিথ্যা’। ‘অনভিজ্ঞ দর্শকদের বিভ্রান্ত’ করার জন্য ওই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।


টেলিভিশনের পর্দায় ছবি দেখিয়ে সংবাদ উপস্থাপক ব্যাখ্যা করেন, ইন্টারনেটে ‘ভুয়া ছবি’ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। খবরে দাবি করা হয়, ‘নবিশ হাতে ছবি বিকৃত করে’ দেখানো হচ্ছে ইন্টারনেটে।

একই দিন মস্কো সময় সকাল ৮টায় গ্যাজপ্রমের মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির বুলেটিনে শুধু দনবাসের ঘটনাবলীর ওপর খবর প্রচার করা হয়।


সেখানে কিয়েভ অভিমুখে রাশিয়ার ৭০ মাইল দীর্ঘ সামরিক বহরের কোনো উল্লেখ ছিল না। অথচ বিবিসি রেডিও ফোরে আধাঘণ্টা পরের বুলেটিনেই কিয়েভের উত্তরে ওই সামরিক বহরের খবর প্রচার করা হয়।

এনটিভির সংবাদ উপস্থাপক বলেন, “আমরা দনবাস থেকে সর্বশেষ খবর জানাচ্ছি। এলএনআর [লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক] যোদ্ধারা তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে এবং তিন কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে ডিএনআর [দনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক] বাহিনী ১৬ কিলোমিটার অগ্রগতি অর্জন করেছে।”


রোশিয়া ১ ও চ্যানেল ওয়ানে - রাশিয়ার দুটি অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এবং দুটোই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। দুই টিভির খবরেই দনবাস এলাকায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।


রোশিয়া ১ এর সংবাদ উপস্থাপক বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হুমকি রুশ বাহিনীর পক্ষ থেকে নয় বরং ‘ইউক্রেইনীয় জাতীয়তাবাদীদের’ পক্ষ থেকে আসছে।

“তারা দনবাস এলাকায় শিশু ও বেসামরিক লোকজনকে মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে, ইচ্ছাকৃতভাবে আবাসিক এলাকা ঘিরে তাদের সমর প্রস্তুতি নিয়েছে। দনবাসের শহরগুলোর ওপর বোমাবর্ষণ বাড়িয়েছে।”


চ্যানেল ওয়ানের সংবাদ উপস্থাপক বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা ‘আবাসিক ভবনে গোলা বর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে’ এবং অ্যামোনিয়ার গুদামে বোমা বর্ষণ করেছে, তাদের লক্ষ্য বেসামরিক নাগরিক ও রুশ বাহিনীকে উসকে দেওয়া।

ইউক্রেইনের পরিস্থিতিকে এসব টেলিভিশনের খবরে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে না। বরং এই অভিযানকে ইউক্রেইনের বেসামরিকীকরণের উদ্যোগ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। রুশ টিভিগুলো দাবি করছে, রাশিয়ার অভিযানে শুধু ইউক্রেইনের সামরিক স্থাপনাকেই নিশানা করা হচ্ছে।


রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সংবাদ উপস্থাপক ও সাংবাদিকরা ইউক্রেইনে রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিপক্ষে সোভিয়েত সেনাদের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করছেন।

রোশিয়া ১ এর সহযোগী আরেক টেলিভিশন রোশিয়া ২৪ এর সংবাদ উপস্থাপক বলেন, “জাতীয়বাদীরা শিশুদের মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এটা তাদের কৌশল।”

ইউক্রেনের ক্ষমতাসীনদের ‘ফ্যাসিস্ট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে এসব টেলিভিশনের খবরে।


রাশিয়ার বেশিরভাগ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টিভি স্টেশনের মঙ্গলবার সকালের খবরে সেদেশের সেনাবাহিনীর ইউক্রেনে আক্রমণের বিষয়টি চেপে রাখা হয়। কিয়েভ বা খারকিভের মতো শহর থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সংবাদ এসব চ্যানেলে প্রচার করা হয়নি। বরং তারা শুধু দনবাস এলাকায় থেকে সেখানকার খবরই তুলে ধরেছে।


অবশ্য শেষ পর্যন্ত বিকেলের সংবাদ বুলেটিনে এনটিভি খারকিভে বোমা বর্ষণের সংবাদ প্রচার করে। কিন্তু এই বোমাবর্ষণে রুশ বাহিনীর জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে এ ধরনের খরবকে ‘ভুয়া’ হিসেবে প্রচার করে।


রোশিয়া ১ চ্যানেলে বলা হয়, “ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার দিক বিশ্লেষণ করে ধারণা করা হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে সেটি ছোড়া হয়েছে, যেখানে কোন রুশ সেনার উপস্থিতি নেই।”

হামলার জন্য প্রকারান্তরে ইউক্রেইনের বাহিনীকেই দায়ী করে তারা।


বিবিসি লিখেছে, রুশ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে সেদেশের গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা রসকমনাদজরের সরকারি ভাষ্যই অনুসরণ করতে হচ্ছে।


তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেও অনেক সংবাদ পাঠক, আলোচক একইসুরে কথা বলছেন না। দুয়েকজন এখনও ইউক্রেইনের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে চলেছেন।

আর এর জেরে চরমপন্থা ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে টেলিভিশন চ্যানেল দজএইচডি এবং জনপ্রিয় বেতার এখো মোস্কভির ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন:


শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। আজ শুক্রবার মাত্র ৫২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার।

তার এমন অকাল মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল ক্রিকেটপ্রেমীরা। মাত্র দুই দিন আগেই তিনি ইংল্যান্ডের কোচ হতে চেয়েছিলেন। আর আজ তিনি পরপারে। এমন বিনা মেঘে বজ্রপাতে ক্রিকেটেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ক্রিকেট তারকা ও বোর্ডগুলো শোক প্রকাশ করতে শুরু করেছে।

সোশ্যাল সাইটে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান লিখেছেন, 'ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও সকল ভক্তদের প্রতি থাকলো আমার আন্তরিক সমবেদনা। যতদিন ক্রিকেট থাকবে আমাদের হৃদয়ে, এই কিংবদন্তি লেগস্পিনারও থাকবেন আমাদের হৃদয়ে। '

ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল লিখেছেন, 'একজন কিংবদন্তির চলে যাওয়া... শেন ওয়ার্ন, এই খেলাটির অন্যতম সেরা বোলার ...। '


কাটার মাস্টার খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন, 'শেন ওয়ার্নের দুঃখজনক খবর শুনে বিধ্বস্ত। আমি সম্পূর্ণ হতবাক এবং এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। ' আরেক পেস তারকা তাসকিন আহমেদ ওয়ার্নের একটা ছবি পোস্ট করে শুধু লিখেছেন, 'শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি। '


ওয়ার্নের ছবি পোস্ট করে মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, 'আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে গেছি এই খবর শুনে যে, শেন ওয়ার্ন আর নেই! কিংবদন্তি, খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে...। 'সৌম্য সরকার লিখেছেন, 'শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি'। রুবেল হোসেন লিখেছেন, 'লেগ স্পিনের রাজা। অন্যতম সেরা লেগ স্পিন বোলার। শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি। ' 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে রডনি মার্শ আর শেন ওয়ার্নের একসঙ্গে ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, 'ক্রিকেটের দুই সত্যিকারের কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন এবং রডনি মার্শের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গভীর শোক প্রকাশ করছে । '


এমন অসংখ্য শোকবার্তায় ভরে উঠেছে সোশ্যাল সাইট। ওয়ার্নের এভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেন না। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম, ভারতের ব্যাটার বিরাট কোহলিসহ আরও অনেকে শোক  প্রকাশ করেছেন। 


আরো পড়ুন:


ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে নিরাপদে রাখার পর এখন তাদের রোমানিয়ায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে হামলার ঘটনায় নিহত জাহাজটির থার্ড প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমানের লাশও নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।


জানা গেছে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাহাজ থেকে ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরের কাছেই একটি বাঙ্কারে নিয়ে রাখা হয়। তার আগে জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।


মাসুদ বিন মোমেন জানান, বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ওপর কারা হামলা করেছে- সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে জানানোর আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া।


গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। কিছুদিন পরই সিরামিকের কাঁচামাল ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে জাহাজটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এতে বন্দরেই আটকে যায় জাহাজটি।

তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।ওই জাহাজে ২৯ জন নাবিক ছিলেন। ২ মার্চ রাতে জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। পরে আটকেপড়া এই জাহাজের ২৮ জন নাবিককে উদ্ধার করে সেফ জোনে নিয়ে যাওয়া হয়।


গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময়) জাহাজটি থেকে নাবিকদের ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের কাছে নিরাপদ একটি স্থানে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ইউক্রেনের পাশের দেশ পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে সবাইকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন তাদের মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।


আরো পড়ুন:



ইউক্রেন ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণের পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি অংশে আগুন ধরে যায়।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালানোর পর উৎকণ্ঠায় ছিলেন সাধারণ জনগণ। সঙ্গে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদমির জেলনস্কি।


ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জেলনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, যদি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হতো তাহলে আজ ইউক্রেন ধ্বংসই হয়ে যেত।

তিনি আরও জানান, চেরনবিলে রাসায়নিক বিকিরণের কারণে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল, যদি জাপোরিঝিয়ায় এমন কিছু হতো তাহলে ক্ষতির পরিমাণ ৬ গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারত। 


এ ব্যাপারে জেলনস্কি বলেন, ইউক্রেনবাসী- আমরা এমন একটি রাত থেকে বেঁচে গেছি; যার কারণে ইতিহাস বদলে যেত। ইউক্রেনের ইতিহাস, ইউরোপের ইতিহাস বদলে যেত। 

জেলনস্কি আরও জানিয়েছেন, রাসায়নিক বিকিরণ কোনো দেশ চেনে না। ইউক্রেনকে চেনে না। রাশিয়াকে চেনে না। যদি খারাপ কিছু হতো তাহলে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হতো।


তাই জেলনস্কি অনুরোধ করেছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বন্ধ করতে যেন রাশিয়ার জনগণ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা এর প্রতিবাদ করেন। 


সূত্র: বিবিসি

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget