Latest Post


নিউইয়র্ক : বদলের আবহে আরও নতুন একটি আপডেট আনল ফেসবুক (Facebook)। এবার থেকে মেসেঞ্জারের (Messenger) ভয়েস ও ভিডিও কলও এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড (End-to-End encrypted) হবে। ব্যক্তিগত চ্যাটের পাশাপাশি মেসেঞ্জারে গ্রুপ চ্যাট, গ্রুপ অডিও বা ভিডিও কলের ক্ষেত্রে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মার্ক জুকেরবার্গ (Mark Zukerberg)। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যে বার্তা দেওয়ার পাশপাশি জুকেরবার্গের বার্তা, সমস্ত সার্ভিসের ক্ষেত্রেই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নিশ্চিত করা তাদের লক্ষ্য।


কিছুদিন আগেই ফেসবুক থেকে বদলে মূল কোম্পানির নাম মেটা (Meta) করার কথা ঘোষণা করেছিলেন জুকেরবার্গ। যে মেকওভার চলার মাঝেই মেসেঞ্জারের নতুন আপডেটের কথা জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) মালিকানা আপাতত জুকেরবার্গের কোম্পানির হাতেই। যেখানে কার্যকর এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। এবার সেই একই পরিষেবা মেসেঞ্জারের ক্ষেত্রেও আনার কথা জানালেন তিনি। যদিও এই আপডেটের ঘোষণা উৎসাহিের তুলনায় সমালোচকদের সংখ্যাই বেশি। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, তাহলে এতদিন মেসেঞ্জারের তথ্য যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড ছিল না, সেটাই কী ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিলেন জুকেরবার্গ।



প্রসঙ্গত, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের অর্থ যে দু'জনের মধ্যে কথোপকথন হয়েছে, তারা বাদে সেই তথ্য অন্য কেউ দেখতে পাবেন না। অবশ্য জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিপরিসরে উঁকি মারে। ব্যক্তিগত তথ্য (Data) হাতিয়ে নিয়ে তা অন্য সংস্থাকে অনৈতিকভাবে বিক্রি করে ব্যবসা করার মতো অনৈতিক অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে লড়াই চলছে তাদের। যদিও বরাবর ব্যক্তিতথ্য সুরক্ষিত রেখে অনৈতিক কোনও কাজের অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেছে ফেসবুক।


তবে জুকেরবার্গের অন্যবারের আপডেটের ক্ষেত্রে যেমন উৎসাহের আবহ বেশি থাকে, এবারে তেমনটা কিন্তু হচ্ছে না। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বা ব্যক্তিতথ্য পরিসরের অপ্রিয় প্রসঙ্গ এসে পরাতে কিছুটা বিড়ম্বনাতেই পড়তে হচ্ছে ফেসবুককে। 

২:১১ AM

 

ইয়েমেনের একজন অভিনেত্রী ও মডেলকে ‘অশ্লীলতার’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বিদ্রোহী কর্তৃপক্ষ। ইনতিসার আল-হাম্মাদি নামে ২০ বছর বয়সী এই মডেল অভিযোগ করেছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে সানায় হুতি বিদ্রোহীদের হাতে আটক হওয়ার পর, তাকে শারীরিক এবং মৌখিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সেসময় তিনি চোখ বেঁধে নথিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আরও তিন নারীকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে, মামলাটি নিয়ে ‘অনিয়ম ও অপব্যবহারের’ অভিযোগ রয়েছে।

পশ্চিম ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা হুতিরা, ২০১৫ সাল থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত সরকারপন্থী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

হুতিদের পরিচালিত বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে যে, সানার একটি আদালত হাম্মাদিকে অশ্লীল কাজ এবং মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাকে এবং অন্য তিন নারীর মধ্যে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে একজনকে তিন বছর এবং অপরজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খালিদ আল-কামাল নামে ওই চার নারীর আইনজীবী, বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে বলেছেন যে, তারা আপিল করবেন।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইয়েমেন গবেষক আফরাহ নাসের টুইট করেছেন যে, তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় ‘অন্যায় এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ছিল।

ইয়েমেনি সরকারের তথ্যমন্ত্রী মোয়াম্মার আল-ইরানি লিখেছেন যে, ‘ইয়েমেনি নারীদের প্রতি সন্ত্রাসী হুতিদের করা হাজার হাজার অপরাধ ও সহিংসতার’ উদাহরণ তারা।

হাম্মাদির বাবা ইয়েমেনি এবং মা ইথিওপিয়ান। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন এবং দুটি ইয়েমেনি টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন। মাঝে মাঝে অনলাইনের কিছু ছবিতে তাকে হিজাব ছাড়া দেখা যায় যা রক্ষণশীল মুসলিম দেশটির কঠোর সামাজিক রীতিনীতির লঙ্ঘন।

তার আইনজীবী জুন মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছিলেন যে, তিনি সানায় অন্য নারীদের সঙ্গে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় হুতি বিদ্রোহীরা তাদের গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, ‘তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এবং তার মডেলিং ফটোগুলিকে অশ্লীলতা বলে ধরা হয়েছে। আর এজন্যই হুতিরা তাকে একজন পতিতা মনে করতো।’

এইচআরডব্লিউ-এর জানিয়েছে, কারাগারে হাম্মাদির সাথে দেখা করতে একদল মানবাধিকারকর্মী এবং একজন আইনজীবী গেলে তাদেরকে তিনি বলেছেন যে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদকারীরা চোখ বেঁধে একটি নথিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল। নথিটি বেশ কয়েকটি অপরাধের জন্য একটি ‘স্বীকারোক্তি’ ছিল বলে জানা গেছে।

গত মার্চ মাসে, হাম্মাদিকে সানার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে রক্ষীরা তাকে ‘বেশ্যা’ এবং ‘দাসী’ বলে গালাগাল করতো।

. 

ইরাক থেকে আসা শরণার্থীদের বেআইনিভাবে পোল্যান্ডে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বেলারুশ। এ নিয়ে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠে দুই দেশের সীমান্ত।

ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, প্রায় তিন হাজার শরণার্থী বেলারুশের সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাদের রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে বেলারুশের সেনা। শরণার্থীদের হাতে ফেন্স কাটার। পুলিশের সঙ্গে লড়াই করার অস্ত্রও আছে তাদের হাতে। সে সবও বেলারুশ তাদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার এই শরণার্থীদের সঙ্গে রীতিমতো সংঘর্ষ হয় পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষীদের। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। পোল্যান্ড জানিয়েছে, বেশ কয়েক জায়গায় সীমান্ত বেষ্টনীর ক্ষতি হয়েছে।

কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পোল্যান্ড দাবি করেছে, বেলারুশ ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করছে। শরণার্থীদের তারা ইউরোপে ঢোকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সে কারণে তাদেরই পরিকল্পনায় পোল্যান্ডের এই শরণার্থী রুট তৈরি হয়েছে। যে ভিডিও-র কথা বলা হচ্ছে, তা স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডিডাব্লিউ জানিয়েছে, তারা এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে শরণার্থীদের বেলারুশের পুলিশ নেতৃত্ব দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে। এরপর সীমান্ত পেরুনোর পরামর্শ দিচ্ছে। সংঘর্ষের পর অবশ্য বর্ডারেই ক্যাম্প তৈরি করে অবস্থান করছে শরণার্থীরা।

এই শরণার্থীরা মূলত ইরাক থেকে এসেছেন। কুর্দ সম্প্রদায়ের এই মানুষরা বেলারুশ হয়ে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এর আগে এই রুট দিয়ে শরণার্থীরা যাতায়াত করতেন না বলে দাবি পোল্যান্ডের। দেশটির অভিযোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এই রাস্তা তৈরি করেছে বেলারুশ। শরণার্থীদের ঢুকিয়ে তারা পোল্যান্ড-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ করছে পোল্যান্ড। তাদের বক্তব্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর ওপর চাপ তৈরি করছে। দেশটির ওপরএকাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তারই বদলা নেওয়ার চেষ্টা করছে লুকাশেঙ্কোর প্রশাসন। শরণার্থী ঢুকিয়ে তারা পাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর চাপ তৈরি করছে।

শুধু পোল্যান্ড নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনও একই অভিযোগ করেছেন। বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একই অভিযোগ করেছেন। পোল্যান্ডকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বস্তুত এর আগেও পোল্যান্ড-জার্মান সীমান্তে পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সাহায্য করেছে জার্মান প্রশাসন। বার্লিনের বক্তব্য, শরণার্থীরা পোল্যান্ড দিয়ে জার্মানিতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরেই শরণার্থীদের ঠেকাতে সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রেখেছে পোল্যান্ড। বেশ কিছু শরণার্থীকে সীমান্ত থেকে ঠেলে বেলারুশে ঢুকিয়েও দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বক্তব্য, দুই পক্ষের রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে বিপাকে পড়ছে শরণার্থীরা। প্রবল ঠাণ্ডায় জঙ্গলের মধ্যে তাঁবু বানিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। অনেকে এরইমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ।

 

পৃথক দুটি ধারায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে ৪ বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত মামলাটির ১৮২ পৃষ্ঠার এই রায় পড়া শুরু করেন।

আইনজীবীরা বলছেন, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনও প্রধান বিচারপতি সাজাপ্রাপ্ত হলেন। 

মামলাটিতে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরও ১০ জন আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া সাত আসামি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) এতদিন কারাগারে ছিলেন।

এ ছাড়া ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় এই ছয় আসামির প্রত্যেকের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আর মামলার অপর দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা খালাস পেয়েছেন।

খালাস-পাওয়া

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মামলাটির উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ৫ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন আদালত। কিন্তু এদিন বিচারক পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকায় মামলার রায় পিছিয়ে আগামীকাল ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।এরপর ২১ অক্টোবর বিচারক রায় প্রস্তুত করতে না পারায় ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দিন নির্ধারণ করা হয়। 

 

গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর ফলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বাস ও লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা। তাই রবিবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে কিছু বাস চলাচল শুরু করেছে। পাশাপাশি ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার অনেক বাস। আজ সোমবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে পুরোদমে নতুন ভাড়ায় বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।

এদিকে, ভাড়া বাড়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। রামপুরা থেকে ফার্মগেট যাবেন সাফায়েত হোসেন। পূর্বের ভাড়া ছিল ২০ টাকা। আজ তাকে দিতে হয়েছে ৩০টাকা। নতুন ভাড়ায় তাকে ১০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। এ নিয়ে বাসের কন্ডাক্টর-হেলপারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। ক্ষোভে সাফায়েত আহমেদ বলেন, ‘চাকরিজীবী মানুষের যে বেতন বাড়ছে না, সেটি নিয়ে কেউ কথা বলে না। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তার ওপর আবার যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি।’ খিলক্ষেত থেকে ফার্মগেট আসা গণমাধ্যমকর্মী মোস্তাফিজুর রহমানকে ১৫ টাকার স্থানে ২৫ টাকা দিতে হয়েছে। তাকেও ১০ টাকা ভাড়া বেশি দিতে হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন তো আগের মতোই আছে; তবে নতুন বাড়তি ভাড়ার টাকা আসবে কোথায় থেকে? সীমিত আয়ের যারা, তাদের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে এ ভাড়া।’ 


সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অথচ রবিবার সন্ধ্যায় নতুন ভাড়া নিয়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকার স্থলে ১০ টাকা এবং মিনিবাসে ৫ টাকার স্থলে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম না মেনে বাসের কন্ডাক্টর-হেলপাররা ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করছেন বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে স্টুডেন্ট ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছন অনেক শিক্ষার্থী। 

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে স্টাফকোয়াটার থেকে মোহাম্মদপুরগামী স্বাধীন পরিবহনের হেলপার বলেন, ‌‘সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে। আমি কী করবো? যার ভালো লাগে বাসে যাবে, ভালো না লাগলে যাবে না।’  

এদিকে, লঞ্চের ভাড়া পুনর্নির্ধারণের পর রাত থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। রাজধানী সদরঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে রাতেই বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় লঞ্চগুলো। সকালে এসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তর্ব্যে পৌঁছায়। লঞ্চের নতুন ভাড়াকেও অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছেন যাত্রীরা।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দূরপাল্লার বর্তমান বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ, কিলোমিটার প্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হবে। এছাড়া বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, সেটা ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৪৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটার প্রতি ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে বাস-ট্রাক ও শনিবার থেকে লঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দেন গণপরিবহন মালিকরা। অবশেষে তাদের দাবির মুখে গতকাল রবিবার গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া সমন্বয় করলো সরকার। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী বাসে ২৭ শতাংশ ও লঞ্চে ৩৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।  এদিকে সরকার ভাড়া বৃদ্ধি করায় গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বাস ও লঞ্চের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ডিজেলের দাম না কমালে পণ্যবাহী ট্রাক চলবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।


বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বিরোধে সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণে কুয়েতের সরকারের সবাই পদত্যাগ করেছে। আজ সোমবার দেশটির আমিরের কাছে সরকারের সবাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির নির্বাচিত সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। সেই বিরোদের পর থেকে অচলাবস্থার অবসানে সহায়তার অংশ হিসেবে কুয়েত সরকার দেশটির আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিল।

সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে চলতি বছরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বিতীয়বারের মতো পদত্যাগ করল। এই পদত্যাগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে দেশটির আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর। তিনি মন্ত্রিসভার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।

গত জানুয়ারিতে কুয়েতের তৎকালীন সরকারের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ নেতৃত্বাধীন এই সরকার মার্চে গঠন করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, দেশটির বেশ কয়েকজন বিরোধী সংসদ সদস্য কোভিড-১৯ মহামারি, দুর্নীতি মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের ওপর জোর দিয়েছেন।

সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের এই বিরোধে সংসদে আইন প্রণয়নের কাজ থমকে যায়। এছাড়া গত বছর করোনাভাইরাস মহামারি এবং তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় দেশটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অর্থনীতির চাকা সচল করার লক্ষ্যে সংসদে বাজেট পাসেও বাধার সম্মুখীন হয় সরকার।

উল্লেখ্য, কুয়েতে রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি নেই। তবে গালফ অঞ্চলের অন্যান্য রাজতান্ত্রিক দেশগুলোর চেয়ে এটির আইনসভার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশি। আইন পাস ও রদসহ অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আনারও ক্ষমতা আছে কুয়েতি আইনসভার।

৭:২৩ AM
পরিদর্শন শেষে ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি

 

সাভার (ঢাকা): সাভারে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউজ পরিদর্শন শেষে সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি।

সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সাভারের আমিনবাজারে ২টি ও বলিয়ারপুরে ২টি ভাড়া করা ওয়্যারহাউজ পরিদর্শন শেষে সিলগালা করা হয়।প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে পরিচালনা কমিটির পাঁচ সদস্য সাভারের ওই চারটি ওয়ারহাউজ পরিদর্শন করেন।

সাভারে ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউজ সিলগালা

এর আগে কমিটির সদস্যদের জানানো হয়, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর র‍্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর পরই এই ওয়্যারহাউজ থেকে মূল্যবান অনেক মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়।

পরিদর্শনকালে ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল দেখতে পায় কমিটি।

পরিদর্শন শেষে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতারিত গ্রাহক ও মার্চেন্টের স্বার্থ সুরক্ষায় নিবিড়ভাবে কাজ করছে হাইকোর্ট গঠিত নতুন পরিচালনা কমিটি। এখানে যারা টাকা দিয়েছিলেন তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের যতখানি সম্ভব স্বার্থ সুরক্ষা করে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির কোথায় কী সম্পদ রয়েছে এবং সেগুলো কী অবস্থায় রয়েছে, সেসব সম্পদ দিয়েই বা দায়দেনা কতটুকু পরিশোধ করা যাবে ইত্যাদি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কমিটি। এখানে ৪টি ওয়্যারহাউজ সিলগালা করা হয়েছে, যেন কেউ ঢুকতে না পারে।

পরিদর্শকালে উপস্থিত ছিলেন ইভ্যালি পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পাওয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওএসডি হওয়া আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শামীম আজিজ।

 

মোবাইলে ইন্টারনেট না থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে টেক্সট পাঠানো যাবে। এ সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল অপারেটরগুলো। এজন্য ‘শুধু টেক্সটের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে ‘মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ও প্রকাশ করবে বিটিআরসি।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ‘মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং শুধুমাত্র টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সচিব মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত থাকবেন।

বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, সবার সবসময় ডাটা (ইন্টারনেট) থাকে না। গ্রাহকরা যাতে ডাটা ছাড়াই টেক্সট পাঠাতে পারেন, সে জন্য অপারেটররা মিলে এই সুবিধা চালু করছে।



নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেই আচমকা তৈরি হল বিতর্ক। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর জানা গেল, আবু ধাবির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পিচ নির্মাতা ভারতীয় মোহন সিংহ মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ।

সংবাদ সংস্থাকে আমিরশাহি ক্রিকেটের এক কর্মী বলেছেন, সম্পূর্ণ ঘটনা দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। গোটা ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। মোহন অসুস্থ ছিলেন কি না বা কোনও রোগে ভুগছিলেন কি না তা জানা যায়নি।

ভারতের প্রাক্তন পিচ নির্মাতা দলজিৎ সিংহের সঙ্গে মোহালিতে অনেক দিন কাজ করেছেন মোহন। গত দশকের শুরুর দিকে আমিরশাহিতে চলে যান মোহন। দলজিৎ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “ও যখন আমার কাছে এসেছিল, তখনই বুঝেছিলাম খুব পরিষ্কার মাথা ওর। প্রতিভাবান এবং কঠোর পরিশ্রমী। গাঢ়ওয়ালের ছেলে ছিল এবং আমার পরিবারের একটা অংশ হয়ে গিয়েছিল। আমিরশাহিতে যাওয়ার পর দেশে ফিরলেই আমার সঙ্গে দেখা করত। কিন্তু অনেক দিনই ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। ওর মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক।”

বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৫ কোটি ছাড়ালো 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৩০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ১৫ হাজার ৬০৮ জন। এ নিয়ে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি ছাড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৪ জন।
রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ১২২ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৫ কোটি দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৭ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৭৫ হাজার ৯৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৭৩ লাখ ১১ হাজার ৬৬৬ জন।
করোনায় ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৬ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ জনের। আর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ৯২৬ জন।
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ নয় হাজার ৪১৭ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৪ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ২১৮ জন।
তালিকায় এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৫ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮৯১ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

৭:২৪ AM

২০ কোটির লোকসান ঠেকাতে ৫০০ কোটি লোপাট!


জ্বালানি তেলে প্রতিদিনের ২০ কোটি টাকার লোকসান পোষাতে সরকার প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি করেছে। লোকসান কমানোর নামে করোনায় দেশে সংকটাপন্ন সাধারণ মানুষের পকেট থেকে প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকা লোপাটের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হলো।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব খন্দকার মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ কথা বলেছেন। দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াটিও অবৈধ বলে দাবি করেছে এই সংগঠন।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক দাম বাড়ানোকে পুরোপুরি অযৌক্তিক অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘জ্বালানিতে ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ আছে। জ্বালানি খাতে মূল্য না বাড়িয়ে আমাদের ছয় লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট থেকে বছরে ছয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। সংকট কেটে গেলে ধাপে ধাপে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা যেত। ’

মোজাম্মেল হক জানান, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে ২০১৩ সালে তেলের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম অর্ধেকে নেমে এলেও সরকার লিটারপ্রতি মাত্র তিন টাকা দাম কমিয়েছিল। পরে আরো দুই দফায় দাম কমানোর ঘোষণা দিলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে তিন টাকা মূল্য কমানোর সুফল ব্যবসায়ীরা পেলেও যাত্রীসাধারণসহ সাধারণ মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।

করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টারত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে বর্ধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারেরও দাবি জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মহাসচিব বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটে লকডাউনসহ নানা কারণে দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। ফলে তিন কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এমন সংকটাপন্ন দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশাহারা, ঠিক তখনই জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ২৩ শতাংশ বাড়ানো হলো। এতে মানুষের যাতায়াত, পণ্য পরিবহন, খাদ্যপণ্য ও কৃষিজ উৎপাদনসহ সামগ্রিক ব্যয় আরো কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। পণ্য ও সেবামূল্য আরো এক দফা বৃদ্ধির ফলে চরমভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। এতে নতুন করে আরো কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

মোজাম্মেল হক বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় সরকার উচ্চহারে তেল বিক্রি করে গত ছয় বছর একচেটিয়া মুনাফা করেছে। এতে সরকার প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। মাত্র পাঁচ মাস ধরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে একলাফে ২৩ শতাংশ তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, যে প্রক্রিয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে, তা অবৈধ। জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো ক্ষমতা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নেই। এটা করার ক্ষমতা বিইআরসির। সেখানে শুনানির পরেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিয়ম। সরকার গায়ের জোরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের বিরাট অংশের আয় বৃদ্ধিকে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি মনে করে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তেলের দাম না কমা পর্যন্ত পণ্য পরিবহন ধর্মঘট চলবে 

জ্বালানি তেলের দাম না কমা পর্যন্ত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে ট্রাক–কাভার্ড ভ্যান মালিকেরা। 

রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক সমিতি। ট্রাক মালিকেদের আরেক সংগঠন পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদও একই কথা জানিয়েছে। 

তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে চলমান ধর্মঘট নিয়ে তাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কথা বলেনি। তাই তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওইদিন রাত ১২টা থেকেই কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রজ্ঞাপনে। 

পরদিন থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশের মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক সংগঠনগুলোও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। 

ডিজেলের দাম বৃদ্ধি প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সারা দেশে ধর্মঘট শুরু পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। এই পরিবহণ ধর্মঘটে সারা দেশ অচল হয়ে পড়েছে। তিনদিন ধরে পরিবহণে ধর্মঘটে জিম্মি রয়েছেন সাধারণ মানুষ। শিকার হচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগের।

এদিকে ডিজেলের দাম বাড়ায় বাস ভাড়াও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরপাল্লার বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সার পরিবর্তে এখন ১ টাকা ৮০ পয়সা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে এখন ২ টাকা ১৫ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।

ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সারা দেশে তিন দিন ধরে চলা ধর্মঘটের মধ্যেই রোববার সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার বনানীতে বিআরটিএ দপ্তরে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ডিজেলের দাম বাড়ানোয় বাস ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। দূরপাল্লার প্রতি কিলোতে ১ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মহানগরে প্রতি কিলোতে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহানগরে বাস ভাড়া সর্বনিম্ন ৮ এবং ১০ টাকা করা হয়েছে। তবে সিএনজিচালিত কোনো গাড়ির ভাড়া বাড়বে না।

 

ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া আগামীকাল সোমবার থেকে বাড়ছে। দূরপাল্লায় প্রতি কিলোমিটারে তা হবে এক টাকা ৮০ পয়সা। আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতি কিলোমিটারে বেড়ে হচ্ছে দুই টাকা ১৫ পয়সা।

আজ রোববার বিকেল পাঁচটায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সোমবার থেকে নতুন ভাড়ার হার কার্যকর করা হবে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন,আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি হবে না।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দূরপাল্লার বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সার জায়গায় ১ টাকা ৮০ পয়সা হবে। এ ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ছে ২৭ শতাংশ।
আর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মহানগরগুলোতে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

মহানগরে বড় বাসের ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ১৫ পয়সা হচ্ছে। আর মিনি বাসের ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে।

ঢাকায় মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ৮ টাকা। আর বড় বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ১০ টাকা।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এরপর ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত শুক্রবার অঘোষিতভাবে বাস, ট্রাক ও অন্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকরা।

খালেদা জিয়া 

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া আজ সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে তাঁর গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন।

গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। জ্বর সেরে গেলেও শারীরিক দুর্বলতাসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার শরীর থেকে নেওয়া টিস্যুর বায়োপসি করা হয়। এ পরীক্ষার পর তাঁর চিকিৎসকেরা জানান, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁর বায়োপসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যেই গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। গত ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নিতে খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বৃদ্ধি করা হয়। যদিও বিএনপির নেতারা এই সাময়িক মুক্তিকে ‘গৃহবন্দী’ বলছেন। খালেদা জিয়ার পরিবার ও দল তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে।

 


ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার নেতারা।

রবিবার (৭ নভেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া বৈঠকটি শেষ খবর (বিকাল সাড়ে ৪টা) পাওয়া পর্যন্ত চলছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, লঞ্চ মালিকদের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদসহ অন্য নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকেই বাস-ট্রাক চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থা থেকে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়।

জানা গেছে, প্রস্তাবে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে লঞ্চ ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন মালিকরা।

 

জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক বাড়তি দাম এবং পরিবহন ধর্মঘট দুটিই প্রত্যাহার করা উচিত।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, লকডাউনসহ নানা কারণে দেশের ৭৭ ভাগ মানুষের আয় কমেছে। মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা, তখন জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে মানুষের যাতায়াত, পণ্য পরিবহন, খাদ্যপণ্য ও কৃষিজ উৎপাদনসহ সামগ্রিক ব্যয় আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। পণ্য ও সেবামূল্য আরও একদফা বৃদ্ধির ফলে চরমভাবে মুদ্রাস্ম্ফীতি বাড়বে।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় সরকার উচ্চহারে তেল বিক্রি করে গত ছয় বছর ধরে একচেটিয়া মুনাফা করেছে। এতে সরকার ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। মাত্র পাঁচ মাস ধরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষের এই কঠিন দুঃসময়ে এক লাফে ২৩ শতাংশ দাম বাড়ানো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। পরিবহন ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য চলছে মন্তব্য করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, যে প্রক্রিয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে, তা অবৈধ। জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নেই, এটা করার ক্ষমতা বিইআরসির। সেখানে শুনানির পরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম। সরকার গায়ের জোরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



চুয়াডাঙ্গা শহরে বিদ্যালয়ের সামনে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত মাহবুবুর রহমান (১৬) শহরের আল-হেলাল মাধ্যমিক ইসলামি একাডেমির শিক্ষার্থী। এবার তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান।

বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের পর তাকে হত্যা করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিপন আলী প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, অনুষ্ঠানের পরপরই ধারালো অস্ত্র হাতে তিনজন বিদ্যালয়ের সামনে এসে তার হাতে, পেটে ও মাথায় কুপিয়ে চলে যায়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ বা খুনি সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে খুনি ধরার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

৬:৪১ AM

 

দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ডাকা পণ্য পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি।পণ্য পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে: ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি

রোববার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালিব এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দূরপাল্লার পরিবহনে ৫৮ শতাংশ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৮০ শতাংশ প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রোববার (০৭ নভেম্বর) বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণে শুরু হওয়া বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, প্রস্তাব হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার। এতে ৭০ পয়সা ভাড়া বাড়বে। বাড়তি ভাড়ার এ শতকরা হার ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। এটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ভাড়া বাড়ে কিলোমিটারপ্রতি ৮০ পয়সা। ভাড়া বৃদ্ধির এ হার ৫০ শতাংশ।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তৃতীয় দিনে পণ্য ও গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে। পথে ঘাটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। হেঁটে এবং দফায় দফায় যানবাহন পরিবর্তন করে ছুটতে হচ্ছে গন্তব্যে। জীবন-জীবিকার প্রযোজনে সবাই ছুটছেন অনিশ্চিত যাত্রায়। বাস ও ট্রাকের পর সারা দেশে বন্ধ রয়েছে লঞ্চও। এখন চলছে শুধু ট্রেন ও সীমিত আকারে বিআরটিসির বাস। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

দফায় দফায় যানবাহন পরিবর্তনই শুধু নয়, হেঁটে রওনা হতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। রাজধানীর প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড়।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের আজ তৃতীয় দিন। রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের সকালে অফিসের জন্য বের হয়ে কম-বেশি সবাই পড়েছেন বিপাকে। এ সময় অনেকেই হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে উদ্দেশে রওনা দেন। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা কিংবা পাঠাও-উবার সার্ভিস চালু থাকলেও ভাড়া চাওয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। তাও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় অস্বস্তির সঙ্গে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত সূচি মানতে গিয়ে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। সেই সঙ্গে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে উপচেপড়া যাত্রী উঠতে দেখা যায়।

সড়কের যখন এ অবস্থা তখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভরসার নৌপথও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জাহাজ পরিবহন মালিক সমিতি। তাদের দাবি, তেলের দামের সঙ্গে মিলিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলে, সম্ভব নয় লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখা।

এদিকে না জেনে যারা এসেছিলেন লঞ্চ টার্মিনালে তারাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া বৃদ্ধি অনৈতিক কাজ। মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিজেলের দাম বাড়ানোতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মালিকরা।

যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে তিন টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের পর এক টাকা ৪০ পয়সার বদলে দুই টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছেন লঞ্চ মালিকরা।




 ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড এবং পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েকজন ভুক্তভোগী র‌্যাব-৩ এ অভিযোগ করেন, একটি চক্র তাদেরকে ভ্রমণ ভিসায় মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু অভিযোগকারী বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড ছাড়া অবৈধভাবে বিদেশ যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং টাকা ফেরত চান।

র‍্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মানবপাচারকারী এই চক্র তখন নকল বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড তৈরি করে তাদের সরবরাহ করে। সেই নকল কার্ড নিয়ে ভুক্তভোগী বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন করতে গেলে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সদস্যরা ভুক্তভোগীদের ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নকল হিসেবে শনাক্ত করেন এবং ভুক্তভোগীদের বিদেশ যাত্রা স্থগিত করেন। তখন ভুক্তভোগীরা তাদের সংশ্লিষ্ট দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, একাধিক ভুক্তভোগীর দেওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, র‌্যাব-৩ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুরাগ, উত্তরা, রমনা, পল্টন ডিএমপি ঢাকা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. নাইম খান ওরফে লোটাস (৩১), মো. নুরে আলম শাহরিয়ার (৩২), রিমন সরকার (২৫), মো. গোলাম মোস্তফা সুমন (৪০), মো. বদরুল ইসলাম (৩৭),  মো. খোরশেদ আলম (২৮),  মো. সোহেল (২৭) এবং মো. হাবিব (৩৯)।

এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্ট, ১৪টি নকল বিএমইটি কার্ড, একটি সিপিইউ, চারটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, দুই বক্স খালি কার্ড, পাঁচটি মোবাইলফোন, একটি চেক বই ও পাঁচটি নকল সিল জব্দ করা হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, মো. নাইম খান ওরফে লোটাস ওই চক্রের মূল হোতা। তিনি দুবাই প্রবাসী। চলতি বছরের মে মাসে তিনি দেশে ফেরত আসেন। ২০১২ সালে ওয়ার্কপারমিট নিয়ে দুবাই গমন করেন তিনি। পরবর্তীতে দুবাই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমশক্তি আমদানি করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু দুবাই শ্রম বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা থাকায় দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান ভ্রমণ ভিসায় দুবাই অবস্থানকারীদের ওয়ার্কপারমিট দিয়ে কাজের বৈধতা দেয়।

বীণা রাণী দাস জানান, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নাইম মানবপাচারে জড়িয়ে পড়েন। তিনি দুবাইয়ে এবং বাংলাদেশে তার পরিচিতজনদের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে দুবাই যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেন। ভুক্তভোগীরা রাজী হলে দুই থেকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি তাদেরকে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই নিয়ে যান।

ভুক্তভোগীরা ভ্রমণ ভিসায় যাওয়ার পর কেউ কেউ কাজের সুযোগ পেলেও অধিকাংশই কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এভাবে তিনি ৭ বছর ধরে পাঁচ শতাধিক ভুক্তভোগীকে দুবাই পাচার করেছেন। মানবপাচার থেকে অর্জিত অবৈধ উপার্জন দিয়ে তিনি দুবাইয়ে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং নিজে রেসিডেন্স ভিসার অনুমোদন নেন।

র‍্যাব জানায়, দুবাইয়ে ফারুক নামে তার একজন সহকারী রয়েছেন এবং মো. নুরে আলম শাহরিয়ার বাংলাদেশে তার মূল সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। শাহরিয়ার ভুক্তভোগীর যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে দেন। শাহরিয়ারের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোকপির দোকান রয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি কিছু ভুক্তভোগী বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড ছাড়া বিদেশ যেতে অস্বীকৃতি জানালে শাহরিয়ারের মাধ্যমে বিএমইটি কার্ড জালিয়াতি চক্র মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত হন।

র‍্যাব জানায়, বিএমইটি কার্ড জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা হাবিব এবং খোরশেদ। তারা দীর্ঘদিন ধরে গোপনে নিজেদের আড়ালে রেখে বিশ্বস্তজনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর নকল বিএমইটি কার্ড সরবরাহ করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে নাইম বিএমইটি কার্ড ছাড়াই মানবপাচার করে আসছেন।

জাল বিএমইটি কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে হাবিব জানান, তিনি মহসিন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে খালি কার্ড কিনে আনেন। প্রকৃত বিএমইটি কার্ড স্ক্যান করে তিনি নিজেই গ্রাফিক্স তৈরি করেন। তারপর ভুক্তভাগীর পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কার্ডের পেছনে তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয় এবং বদরুলের নির্দেশ অনুসারে রিক্রুটিং লাইসেন্সের নম্বর বসিয়ে দিতেন। তিনি চার বছর ধরে ভিজিটিং কার্ড ও আইডি কার্ডের ডিজাইন এবং প্রিন্টের ব্যবসা করে আসছেন।

র‌্যাব আরও জানায়, অভিজ্ঞতা থেকে তিনি কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী, অর্থের বিনিময়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নকল কার্ড তৈরি করে সরবরাহ করে আসছেন। আসামিদের নামে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানায় মামলা হয়েছে বলেও র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget