জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক বাড়তি দাম এবং পরিবহন ধর্মঘট দুটিই প্রত্যাহার করা উচিত।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, লকডাউনসহ নানা কারণে দেশের ৭৭ ভাগ মানুষের আয় কমেছে। মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা, তখন জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে মানুষের যাতায়াত, পণ্য পরিবহন, খাদ্যপণ্য ও কৃষিজ উৎপাদনসহ সামগ্রিক ব্যয় আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। পণ্য ও সেবামূল্য আরও একদফা বৃদ্ধির ফলে চরমভাবে মুদ্রাস্ম্ফীতি বাড়বে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় সরকার উচ্চহারে তেল বিক্রি করে গত ছয় বছর ধরে একচেটিয়া মুনাফা করেছে। এতে সরকার ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। মাত্র পাঁচ মাস ধরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষের এই কঠিন দুঃসময়ে এক লাফে ২৩ শতাংশ দাম বাড়ানো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। পরিবহন ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য চলছে মন্তব্য করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, যে প্রক্রিয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে, তা অবৈধ। জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নেই, এটা করার ক্ষমতা বিইআরসির। সেখানে শুনানির পরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম। সরকার গায়ের জোরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন