Latest Post

 

ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবিতে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীরা।

আজ শনিবার বিকেল ৩টা থেকে ঢাকা, বরিশাল, চাঁদপুর, ভোলার মতো নদীবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার লঞ্চগুলো একযোগে চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়।

এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্যমান সংকট নিরসনে আগামীকাল রোববার বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকের আগে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা কম। অন্তত আগামীকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত নৌপথের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে।

গত বুধবার সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এরপর গতকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে পণ্য ও যাত্রীবাহী সড়ক পরিবহণে ধর্মঘট শুরু করে মালিক ও শ্রমিকরা। সেই ধর্মঘট আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়ে আগামীকাল রোববার সরকারের সঙ্গে তাদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে সমাধান হলেই পুনরায় বাস ও ট্রাক চলাচল শুরু হবে।

এর মধ্যেই আজ বিকেল থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। চলাচলের জন্য মানুষ এখন ভিড় করছেন রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে। ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর পর আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ভাড়া দ্বিগুন করার দাবি জানিয়ে গতকাল শুক্রবার চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই মালিকরা আজ বিকেল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।’

‘সরকার সবশেষ ২০১৪ সালে লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এরপর আর ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। কিন্তু এই সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্য শতকরা ২৩ ভাগ বেড়েছে, ইস্পাতের মূল্য ১৯ ভাগ বেড়েছে। এর মধ্যেই ডিজেলের ভাড়া লিটারপ্রতি ১৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ভাড়া তো বাড়েনি। ফলে ভাড়া পুন:নির্ধারণ করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের।’

বদিউজ্জামান বাদল আরও বলেন, ‘লোকসান দিয়ে তো মালিকপক্ষ লঞ্চ চালাতে পারবে না। তাই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সচিব ওয়াকিল নেওয়াজ আজ বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘লঞ্চ মালিক সমিতির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল। তারা বলেছিলেন, কোনো মালিক যদি নিজের ইচ্ছায় লঞ্চ চালাতে চায় তাহলে তারা চালাতে পারবেন। কিন্তু এর মধ্যেই তারা কেন আজ বিকেল থেকে ধর্মঘট ডাকল, লঞ্চ বন্ধ করে দিল- সেটি আমরা বুঝতে পারছি না।’

‘আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর বৈঠক আছে। আশা করছি, বৈঠকে সবকিছুর সমাধান হবে’

 

পরিবহন ধর্মঘট ইস্যুতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা সভা স্থগিত করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৪০ মিনিট আগে তা স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।শনিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে সভা স্থগিতের তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরীফ মাহমুদ অপু।

তিনি বলেন, আজকে সন্ধ্যা ৬টার সভা অনিবার্য কারণে হবে না। পরে যেদিন সভা হবে যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

এদিকে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে দুপুরে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ। তবে তারা বৈঠক শেষে চলমান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান ব্যস্ত করেন।

সাক্ষাৎ শেষে ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব আবদুল মোতালেব বলেন, হয় জ্বালানির বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে, নয়তো ভাড়া বাড়াতে হবে। দুটির একটি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

 হিল উইমেন্স ফেডারেশন আয়োজিত এম এন লারমার স্মরণসভায় বক্তব্য দেন পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। গতকাল রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুর এলাকায় রিসোর্স সেন্টারে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন আয়োজিত এম এন লারমার স্মরণসভায় বক্তব্য দেন পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। গতকাল রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুর এলাকায় রিসোর্স সেন্টারে।

পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় দুই যুগেও পূর্ণ বাস্তবায়ন হতে পারেনি। সবার আশা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে। এখন উল্টো পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অনেকটা চুক্তির আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।


আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এম এন লারমা) ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সন্তু লারমা এ বক্তব্য দেন বলে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শহরের কল্যাণপুর এলাকায় উদ্যোগ রিসোর্স সেন্টারে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে এম এন লারমার স্মরণসভায় আয়োজন করা হয়।


স্মরণসভায় প্রধান আলোচক ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা। আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য মহিলা সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা চাকমা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল


ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি কলেজ শাখার সভাপতি সোনারিতা চাকমা।

 


দেশে আবারও বেড়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত এলপির দাম। চলতি নভেম্বর মাসের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে মূসকসহ প্রতিকেজি এলপিজি ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে হলো এক হাজার ৩১৩ টাকা। সিলিন্ডারপ্রতি বাড়লো ৫৪ টাকা। আজ ৪ঠা নভেম্বর থেকেই এই দাম কার্যকর হবে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দাম প্রতিকেজি ১০১ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৬ টাকা ১৯ পয়সা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ঠা নভেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে বিইআরসি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মকবুল ই ইলাহি, আবু ফারুকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, অক্টোবরে এলপিজি মূসকসহ প্রতিকেজি ৮৬ টাকা ৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা করেছিল বিইআরসি। এর ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম অক্টোবর মাসে এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা হয়; ১০ই অক্টোবর থেকে এই দাম কার্যকর করা হয়।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত।

নভেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৮ দশমিক ৬৮ থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। লিটারে বেড়েছে প্রায় ২ টাকা ৫০ পয়সা। অক্টোবরেই বেড়েছিল ৮ টাকা ১২ পয়সা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুসারে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৮৭০ এবং ৮৩০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় নভেম্বরের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে; যা অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৮০০ ডলার এবং ৭৯৫ ডলার।



ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোয় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিকরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এমন ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

তারা বলছেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামীকাল শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখবে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের মালিক-শ্রমিকেরা।

ট্রাক-কার্ভাড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর মোতালেব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামীকাল থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখবে ট্রাক শ্রমিকেরা।’

এর আগে গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ায় সরকার। ফলে আজ থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

গতকাল রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্টোবরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিভিন্ন গ্রেডের জ্বালানি পণ্য বর্তমান মূল্যে সরবরাহ করায় মোট ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, "বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ রুপি ছিল অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম।"

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বর্তমান ক্রয় মূল্য বিবেচনা করে ডিজেলে লিটার প্রতি ১৩.০১ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলে লিটার প্রতি ৬.২১ টাকা কমে বিক্রয় করায় প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে বিপিসি।

জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশেও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে সরকার। লিটার প্রতি এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। সে হিসাবে দাম এক লাফে বাড়ল ২৩ শতাংশ। নতুন দাম এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে।

 


সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় কোনোপ্রকার পূর্বঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা বাস-ট্রাক ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে তিনটি সামাজিক সংগঠন।

আজ বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রার্থী ও সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে হঠকারী এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতি ওই আহ্বান জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন বেসরকারি সংগঠন নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এবং উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল।

বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকার আকষ্মিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি এবং মাত্র একদিনের মধ্যে তা কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়ায় সব ধরনের পরিবহন মালিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে শুধুমাত্র জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আকষ্মিক পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় জনদুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যাবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাধারণত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনা পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় নেমে আসার কারণে প্রতি শুক্রবার বিপুলসংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ইউনিটে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিপরীক্ষা চলছে। এ অবস্থায় কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা ছাড়াই সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-ট্রাক ধর্মঘট শুরু হলে লাখ লাখ প্রার্থীর জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।

চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি ফেসিয়াল রিকগনিশন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক


আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি ফেস রিকগনিশন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ছবি বা ভিডিওতে ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করতে পারে ফেসবুক। ব্যবহারকারীদের শঙ্কা এবং নীতিনির্ধারকদের চাপের মুখে সুবিধাটি বন্ধের ঘোষণা দিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মটি। তবে এর অর্থ কী এবং ফেসবুক ব্যবহারে কী ধরনের পরিবর্তন আনবে, চলুন তা জানার চেষ্টা করি।

মনে করুন, পাঁচ বন্ধুর দেখা হলো বহুদিন পরে। আবার কবে একসঙ্গে হবেন তার ঠিক নেই বলে কিছু ছবি তুললেন। ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করার সময় দেখলেন, আপনি ট্যাগ করে দেওয়ার আগেই ফেসবুক নিজে থেকেই সবাইকে নির্ভুলভাবে ট্যাগ করে দিচ্ছে, অন্তত বলছে কে কোনটা। আবার অনেক সময় নোটিফিকেশন আসে, যেখানে বলা থাকে, অন্য কেউ একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যে ছবিতে হয়তো আপনিও আছেন।

ফেসবুকের এই অটো ট্যাগিং সিস্টেম কাজ করে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির সাহায্যে। আপনার একাধিক ছবিতে চেহারা বিশ্লেষণ করে ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর অ্যালগরিদম বুঝতে শেখে আপনার চেহারা কেমন কিংবা কোন ছবিতে আপনি আছেন। এখন সেই প্রযুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হলে নিজে থেকে ফেসবুক আপনাকে কিংবা আপনার ছবিতে থাকা অন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করতে পারবে না। অন্তত পারার কথা নয়। কারণ, এতদিন যে ছবিগুলো দেখে ফেসবুক আপনাকে বা অন্য ব্যবহারকারীদের চিনতে শিখেছে, ফেসবুক সেই শনাক্তকরণের তথ্য মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে।

ব্যবহারকারীরা ছবিতে ফেসবুক বন্ধুদের আগের মতোই ট্যাগ করতে পারবেন। কেবল ফেসবুক নিজে থেকে ট্যাগ করে দেবে না বা ট্যাগ করার পরামর্শ দেবে না। একই সঙ্গে অন্য কেউ যদি আপনার ছবি আপলোড করে, তবে ফেসবুক আপনাকে তা জানাতে পারবে না। কারণ, ওই ছবিতে যে আপনি আছেন, ফেসবুক তা বুঝতে পারবে না।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য একটি সুবিধা তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল ফেসবুক। যেখানে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবির বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করে শোনানো হতো। যেমন ছবিতে মুহিব নদীতীরে দাঁড়িয়ে আছে, পেছনে উড়ে যাচ্ছে একঝাঁক পাখি। এখন নদীতীর কিংবা পাখির বর্ণনা আগের মতোই দেওয়া হবে, শুধু ছবির মানুষ যে মুহিব, তা বলা হবে না।

শঙ্কা কিসের

ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি এখন অনেকটা নির্ভুলভাবেই চেহারা শনাক্ত করতে পারে। আর সেই সঙ্গে প্রযুক্তিটির সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে শঙ্কা বাড়তে থাকে জনমনে। বিশেষ করে নানা দেশের সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নজরদারি বাড়াতে পারে। চীনে এই প্রযুক্তির সাহায্যে উইঘুর মুসলিমদের শনাক্ত করে দেশটির সরকার।

আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফেস রিকগনিশন–সংক্রান্ত তথ্য বিক্রি বা হস্তান্তর করে না, বরং নিজেদের সেবার উন্নয়নে কাজে লাগায়। সেই কথা যদি সত্যিও হয়, তবু নানা দেশের আইনপ্রণেতারা বিশ্বাস করবেন কেন? বিশেষ করে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের নজির যখন তাঁদের চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। 


চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি ফেসিয়াল রিকগনিশন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক



বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবা সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল সোমবার বিটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ের বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন এবং বাংলালিংকের সিইও এরিক আস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিসিএল জানায়, দেশের মোবাইল অপারেটর টেলিটক, রবি এবং গ্রামীণফোন বিটিসিএলের সেবা নিচ্ছে। এবার বাংলালিংকও এ তালিকায় যুক্ত হলো। বিটিসিএল এখন দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সক্ষম।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রায় দেশের টেলিকম খাতের অর্জ ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান । এ সময় সব মোবাইল অপারেটরদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের কথা বলেন বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও শাহজাহান মাহমুদ।

৭:৪৭ AM

 

অকালে চলে গেলেন মডেল আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান
অকালে চলে গেলেন মডেল আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান

তাঁরা দুজন সহশিল্পী। কাজও করতেন এক মঞ্চে। শেষযাত্রায়ও সহযাত্রী হলেন দুজন। অকালে চলে গেলেন মডেল আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি, হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে খবরটি নিশ্চিত করেছে।
আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান—দুজন ভারতের কেরালার বিনোদনজগতের পরিচিত মুখ। আনসি কবির এ বছরই মিস সাউথ ইন্ডিয়া হয়েছিলেন।


আনসি কবির
আনসি কবির

২০১৯ সালে মিস কেরালার শিরোপাও জিতে নিয়েছিলেন। ওই বছরই মিস কেরালা প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছিলেন অঞ্জনা শাহজাহান। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা মডেলিংয়ে যুক্ত।  


অঞ্জনা শাহজাহান
অঞ্জনা শাহজাহান

জানা গেছে, সোমবার একটি গাড়িতে একসঙ্গে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ হঠাৎই গাড়ির সামনে একটি সাইকেল এসে পড়ে। বাইসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়েই গাড়িটি সরাসরি একটি গাছে ধাক্কা মারে। স্থানীয় ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গাড়িটি গাছে ধাক্কা খেয়ে চুরমার হয়ে গেছে।


আনসি কবির
আনসি কবির

কোচিতে একটি ফটোশুটের কাজ সেরে ত্রিশূরে ফিরছিলেন আনসি ও অঞ্জনা। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িতে থাকা আরও দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় এর্নাকুলামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


অঞ্জনা শাহজাহান
অঞ্জনা শাহজাহান

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দুই মডেলের পরিবার তাড়াতাড়ি কোচিতে যায়। আইটি ইঞ্জিনিয়ার আনসি কবির কেরালার তিরুবন্তপুরমে থাকতেন।


আনসি কবির
আনসি কবির

আগস্টে মিস সাউথ ইন্ডিয়া খেতাব জেতার পর মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনও করেছেন। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অঞ্জনা ত্রিশূরে থাকতেন। ২০১৯ সালে মিস কেরালা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময়ই আনসি ও অঞ্জনার মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

৭:৪১ AM

 

জীবনের এই ৩ সপ্তাহ আমি সবসময় মনে রাখবো : নুসরাত ফারিয়া 


ঢালিউডের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সিনেমার অভিনয় দিয়ে তিনি দুই বাংলায়ই দর্শকের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি উপস্থাপনা ও মডেলিং দিয়েও সাফল্য পেয়েছেন। গান গেয়েও বাজিমাত করেছেন দুই বাংলার চলচ্চিত্রের প্রিয়মুখ নুসরাত ফারিয়া।
আরও একটি নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। এ গানের নাম ‘হাবিবি’। আপকামিং এই গানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ফারিয়া। এমন কঠোর পরিশ্রমের কথা কখনোই ভুলতে পারবেন না এই অভিনেত্রী। এমনটাই জানােলেন তিনি রোববার (৩১ অক্টোবর) ফেসবুকের এক পোস্টে।
ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমি শুটিং এর ২০ দিন আগে থেকে নতুন গানটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। নিজেকে সুন্দর এবং ফিট দেখানোর চাপে ছিলাম। তার উপরে থার্ড ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শুটিং ছিলো ১৪ অক্টোবর, ১৫ তারিখ ছিল পেপার জমা দেয়ার দিন।
মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারতাম না। বেশিরভাগ সময় খিটখিটে মেজাজের হয়ে থাকতাম। ঘনিষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়েছে। একটি ভালো কন্টেন্ট তৈরির চাপে থাকতাম সারাক্ষণ। আর আপনারা সেটি দেখতে পাবেন মাত্র ৩ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
এবার আমি আসলেই রক্ত পানি করা পরিশ্রম করেছি। জীবনের এই ৩ সপ্তাহ আমি সবসময় মনে রাখবো।’
বছর তিনেক আগে ‘পটাকা’ নামে প্রথম গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। বেশ ভালোই আলোচনায় আসে তার গাওয়া এ গানটি। পরে ‘আমি থাকতে চাই’ শিরোনামে আরেকটি গান গেয়ে আলোচিত হন তিনি। আগামী ২ নভেম্বর কলকাতার শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মের (এসভিএফ) ইউটিউব চ্যানেলে এবার প্রকাশ পাবে নুসরাত ফারিয়ার ‘হাবিবি’।
এদিকে গত ২৯ অক্টোবর রাতে বনানীতে বড় বোন মারিয়ার একটি ফ্যাশন হাউজ ও ব্রাইডাল শো রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে লেহেঙ্গা ও ব্রাইডাল সাজে তিনি দর্শকদের সামনে আসেন নুসরাত ফারিয়া।
তখন সাংবদিকরা বিয়ে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। আপাতত বিয়ে করছি না। দ্যাটস ক্লিয়ার (এটা পরিস্কার)! বিয়ে করতে সবকিছু গুছিয়ে নিতে ৬-৭ মাস সময় লাগে। সেই সময়টা আমার কাছে নেই। প্যান্ডামিকের জন্য দুই বছরের মতো পিছিয়ে গিয়েছি। প্যান্ডামিক কাটিয়ে আবার সব কাজ শুরু হচ্ছে৷ তাই আপাতত বিয়ে করছি না।’
প্রায় দেড় বছর আগে বাগদান সারলেও বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি নুসরাত ফারিয়া। কবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন, জানতে চাইলে নুসরাত ফারিয়া তার বিয়ে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।

৭:৩৫ AM

 

মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাচ্ছেন ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহি। এতে তার সফর সঙ্গী হবেন গাজীপুরের তরুণ রাজনীতিক-ব্যবসায়ী ও তার স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রাকিব।

গত সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে বিয়ে করেছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষ তারকাদের একজন মাহিয়া মাহি। বিয়ের দুই মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ওমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই নায়িকা।

এরআগে বিভিন্ন সময়ে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন মাহি। অবশেষে চলতি মাসেই সেটি হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

মাহি বলেন, ‘ওমরাহের জন্য ১৫ দিনের ছুটি নেবো। আর এটি এ মাসেই। তবে তারিখটি এখনো ‍ঠিক হয়নি। আপাতত কোনো শিডিউল রাখছি না। এরআগে কখনো পবিত্র মক্কা শরিফে যাওয়া হয়নি। প্রথমবারের মতো যাচ্ছি, তাই অনুভূতিটা সত্যিই অন্যরকম।’

জানা যায়, বর্তমানে ইফতেখার চৌধুরীর পরিচালনায় ‘ড্রাইভার’ ছবির কাজ করছেন তিনি। চলতি লট শেষ করে কিছু দিনের বিরতিতে সৌদি আরব যাবেন। এরপর ওমরাহ পালন শেষে আবারও শুটিংয়ে ফিরবেন মাহি। 

‘ড্রাইভার’ ছবিতে গাড়িচালক হিসেবে আছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। মূলত তাকে নিয়েই এর গল্প। এতে যাত্রী হিসেবে দেখা যাবে মাহিকে। আরও অভিনয় করেছেন আব্দুন নূর সজল।

এছাড়াও মাহি ‘গ্যাংস্টার’ শিরোনামের একটি ওয়েব ফিল্মের ডাবিং করছেন। এর বাইরে চলতি নভেম্বরে আর কোনো কাজে তাকে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানালেন এ তারকা।

 দেশে কলকারখানায় ৬০% যন্ত্রপাতি হস্তচালিত

ঢাকা: দেশে নানা ধরনের উৎপাদনমুখী কলকারখানায় ৬০ শতাংশ যন্ত্রপাতি হস্তচালিত। এছাড়াও ৪০ শতাংশের বেশি কারখানায় প্রশাসনিক কার্যক্রম হাতে লেখা কাগজে কাগজে পরিচালিত হয়।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শিল্পকারখানার এমন চিত্র উঠে এসেছে।

‘বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের চাঙা ভবিষ্যতের জন্য’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ জুন) অনলাইনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
 
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের শিল্পকারখানায় এখনো তেমনভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হয় না। এমনকি উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এখনো শিল্প বিমুখ। শিল্পকারখানা পরিচালনাকারীদের অর্ধেকেরই স্নাতক ডিগ্রি নেই।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বেশির ভাগ শিল্পকারখানা সনাতন পদ্ধতিতে চলছে। ১০ শতাংশেরও কম কারখানায় কম্পিউটারের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি চলে। ফলে এসব কারখানায় উৎপাদনও কম। কারখানাগুলো প্রযুক্তি নির্ভর করলে উৎপাদন বাড়বে। শুধু সস্তা শ্রমের দিকে তাকিয়ে না থেকে শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

  ৩০ টাকায় রাতারাতি কোটিপতি রাজমিস্ত্রি 

মাত্র ৩০ টাকায় কোটিপতি হয়ে গেলেন এক রাজমিস্ত্রি। তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে লটারির পুরস্কার।

লটারি জয়ের পর তার পরিবার নিরাপত্তা চেয়েছে পুলিশের কাছে।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজএইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের নাম সুজয় পাহান। তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের বেলঘড়িয়া এলাকায়।

সুজয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩০ অক্টোবর) ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন সুজয়। এরপরই ওই লটারিতে এক কোটি টাকা মিলে যায়। এরপরই আতঙ্কে নিরাপত্তা চেয়ে রোববার সকালে বালুরঘাট থানায় পরিবার নিয়ে হাজির হন ওই যুবক।

সুজয় পাহান রাজমিস্ত্রির কাজ করে পড়াশোনা করেন। তিনি পতিরাম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়িতে শয্যাশায়ী বাবা। পরিবারের একমাত্র আয়ের ভরসা তিনি। এই লটারির টাকা পেয়ে সংসারের হাল ফেরাতে চাইছেন ওই যুবক।

সুজয় পাহান বলেন, ‘এত টাকা একসঙ্গে লটারিতে ওঠায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। সুষ্ঠুভাবে টাকা পাওয়া এবং রাখার জন্যই পুলিশের সাহায্য চাইছি। ’ 

বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে ওই যুবককে এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

টাকা দিয়ে কী করবেন, উত্তরে সুজয় বলেন, ‘বাবা-মা অনেক কষ্ট করেছে। এবার তাদের একটু আরাম দিতে চাই। ঘর-বাড়ি বানাতে চাই। ’ 

 মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বেতন কত?

জো বাইডেন

বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটির প্রধান কত বেতন পান, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেতন ছাড়াও অনেক ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন।  

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বার্ষিক বেতন পান ৪ লাখ ডলার বা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার টাকার বেশি। এর সঙ্গে তিনি আরও অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান। সেগুলো হয়তো গুণে শেষ করা যাবে না।  

মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য রয়েছে এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজ। এটি তিন তলাবিশিষ্ট। সব মিলিয়ে জায়গা রয়েছে চার হাজার বর্গফুট। সেখানে থাকা হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে করা যাবে অস্ত্রোপচারও।  

ওই উড়োজাহাজে রয়েছে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত কক্ষ এবং সুবিশাল এক রান্নাঘর। সেখানে একই সঙ্গে ১০০ জনের রান্না করা যায়।  

এসবের বাইরে ১৩২ কক্ষের হোয়াইট হাউস তো আছেই।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে
ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে জো বাইডেন মাত্র ২৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হয়েছিলেন। তিনি দেশটির ইতিহাসে কনিষ্ঠতম সিনেটরদের একজন। সিনেটে তার বার্ষিক বেতন শুরু হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ ডলারে।  

২০০৯ সালে সিনেট ছাড়ার সময় তার অর্থ ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বার্ষিক বেতন ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার ৭০০ ডলার।  

বাইডেনের প্রথম স্মৃতিকথা ‘প্রমিসেস টু কিপ’ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। এই বই থেকে তিনি রয়্যালিটি পান ৭১ হাজার ডলার। এছাড়া অডিও বুকের জন্য ওই সময় তিনি পান ৯ হাজার ৫০০ ডলার।  

রাস্তায় কেনা পাথর আসলে ২৩ কোটির হীরা!

আমরা অনেকেই সাজের জন্য রাস্তা থেকে সস্তায় জুয়েলারি কিনে থাকি। তেমনই ব্রিটেনের ৭০ বছরের এক নারী কিনেছিলেন কসটিউম জুয়েলারি পাথর।

অবশেষে জানা গেল সেটি সাধারণ কসটিউম জুয়েলারি পাথর নয়, বরং ৩৪ ক্যারেটের হীরা।

এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জানা গেছে, ওই হীরার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ লাখ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ কোটি ৪৮ লাখ ১ হাজার ১৮৪ টাকা। নর্থহামবারল্যান্ডে নিজের ঘর পরিষ্কার করার সময় এটি খুঁজে পান ওই নারী, যা অনেক আগে কিনে ঘরে ফেলে রেখেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে ওই নারী জানান, অনেক বছর আগে কার বুট সেল থেকে এটি কিনেছিলেন তিনি।

এদিকে নিলামকারী মার্ক লেন জানান, হীরাটির প্রকৃত দাম আসলে একটি ‘বড় ধাক্কা’ হয়ে এসেছে। ওই হীরাটি পাউন্ড কয়েনের চেয়ে কিছুটা বড়। আগামী মাসে সেটি নিলামে তোলা হবে।

তিনি আরও জানান, ওই নারী এক ব্যাগ জুয়েলারি নিয়ে আসেন। হীরাটি একটি বক্সের মধ্যে ছিল। সেটির সঙ্গে নিজের ওয়েডিং ব্যান্ড এবং কম দামি কিছু কসটিউম জুয়েলারি নিয়ে এসেছিলেন ওই নারী। পাথরটি পাউন্ড কয়েনের চেয়ে বড় ছিল। আমি ভেবেছিলাম এটি একটি কিউবিক জিরকোনিয়া। হীরাটি দুই-তিনদিন আমার টেবিলেই পড়েছিল। পরে আমি একটি ডায়মন্ড টেস্টার মেশিনে সেটি পরীক্ষা করি।

পরে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে আমাদের বিশেষজ্ঞ এটি সার্টিফাই করার পর লন্ডনে আমাদের পার্টনারদের কাছে পাঠাই। সেখান থেকে আমাদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এটি আসলেই হীরা এবং এটি ৩৪ ক্যারেটের।

 কৌটার ভেতর পুরোনো মুদ্রা

কৌটার ভেতর পুরোনো মুদ্রা

যুক্তরাষ্ট্রে ঔপনিবেশিক শাসন শুরুর প্রথম দিকে দেশটির কিছু এলাকায় নতুন ধরনের মুদ্রার প্রচলন করেছিল ব্রিটেন। সেই মুদ্রার নাম ছিল নিউ ইংল্যান্ড শিলিং। ইংল্যান্ডের একটি বাড়িতে সেই আমলের বিরল একটি মুদ্রার সন্ধান পাওয়া গেছে। মিষ্টি রাখার টিনের কৌটার ভেতর পাওয়া যায় মুদ্রাটি।


বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে পাওয়া মুদ্রাটি ১৬৫২ সালে বাজারে ছাড়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বে কলোনিতে ব্রিটিশ গোড়াপত্তনের সময় বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে নিউ ইংল্যান্ড শিলিং মুদ্রা ব্যবহার করা হতো। সেই হিসেবে মুদ্রাটি ৩৬৯ বছরের পুরোনো। মুদ্রাটি আগামী মাসে লন্ডনে নিলামে তোলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, মুদ্রাটি দুই লাখ পাউন্ডে বিক্রি হতে পারে।


ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যান্ডে বাইওয়েল হলে ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে পাওয়া যায় মুদ্রাটি। চিত্রকর্মবিষয়ক উপদেষ্টা বিউমন্ট বিবিসিকে বলেন, মিষ্টি রাখার অনেক পুরোনো একটি টিনের কৌটায় নিউ ইংল্যান্ড শিলিংয়ের একটি মুদ্রাসহ অন্য কিছু মুদ্রার সন্ধান মেলে। তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে থাকা ওই কৌটাটি আমার চোখে আগে কখনো পড়েনি। কিন্তু যখন এটি খুঁজে পেলাম, তখন অনেক আগ্রহ নিয়ে সেটি আমি খুললাম। প্রথমে আমার কাছে মনে হয়েছিল, এটা পুরোনো দিনের একটি উদ্ভট সংগ্রহ। তবে যেহেতু মুদ্রার বিষয়ে আমার জানাবোঝা কম, তাই আমি এটাকে পরীক্ষা করে দেখি। এর পরই বুঝতে পারি, মুদ্রাটি অনেক পুরোনো।’


যুক্তরাজ্যের মুদ্রাবিশেষজ্ঞ জেমস মর্টন বলেন, ‘নিউ ইংল্যান্ড শিলিংয়ের একটি অসাধারণ নিদর্শন এটি। মুদ্রাটি নিজ চোখে দেখার পরও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।’


যুক্তরাজ্যের নাগরিক উইলিয়াম ওয়েন্টওয়ার্থের উত্তরসূরি ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট। উইলিয়াম ওয়েন্টওয়ার্থ ১৬৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল পরিদর্শন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ শাসনের সময় তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, অনেক বছর আগে আমার কোনো এক পূর্বপুরুষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিলিংটি ইংল্যান্ডে এনেছিলেন।’

 দেশের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপের মধ্যকার বিরোধের কারণে তিন বছর ধরে ঝুলে আছে নতুন একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। এটির নাম কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রস্তাবিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি নিয়ে সানোয়ারা গ্রুপের সঙ্গে কাজী ফার্মস গ্রুপের রশি-টানাটানি চলছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দুই ব্যবসায়ী গ্রুপকে সমঝোতায় আনার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। সে জন্য বেজা এখনো কাজী ফার্মসকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেয়নি।

বেজা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩০ একর জমিতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে তাদের কাছে কাজী ফার্মস গ্রুপ ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পেশ করে। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেজার এক বোর্ড সভায় কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর গত তিন বছরেও জমি নিয়ে জটিলতার কারণে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কাজী ফার্মস গ্রুপ।

জানতে চাইলে কাজী ফার্মস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী জাহেদুল হাসান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চন্দনাইশে আমরা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চাই। সে জন্য সানোয়ারা গ্রুপ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছি। সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করা হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ আছে সেখানে বিনিয়োগে। তাঁদের আমরা জমি লিজ দেব।’

দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কাজী ফার্মস গ্রুপ ২০১৫ সালে সানোয়ারা গ্রুপের কাছ থেকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩০ একর জমি কেনে। কিন্তু এরপর কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রক্রিয়া শুরু করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের প্রেক্ষাপটে সানোয়ারা গ্রুপ ২০১৯ সালে বেজায় অভিযোগ করে, কাজী ফার্মস যে জমি অধিগ্রহণ করেছে, সেখানে পুরোপুরি সীমানা নির্ধারণ (ডিমারকেশন) করা হয়নি। অভিযোগের জেরে বেজা নিজস্ব কার্যালয়ে একাধিকবার শুনানি করলেও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমাধান হয়নি।

উভয় পক্ষকে শুনানিতে ডাকার পর বেজা সিদ্ধান্ত দেয়, সানোয়ারা গ্রুপ থেকে কাজী ফার্মস যে জমি নিয়েছে, তাতে কোনো জটিলতা দেখা যাচ্ছে না। সানোয়ারা গ্রুপের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিসংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই। তবে বেজা জানায়, অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনা করতে গিয়ে পাশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জমিতে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সেটি কিন্তু কাজী ফার্মস গ্রুপকে নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বেজার সিদ্ধান্তে খুশি না হয়ে একই বছরে, অর্থাৎ ২০১৯ সালে আদালতে মামলা করে সানোয়ারা গ্রুপ, যা এখনো চলছে। আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজী ফার্মসকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে বেজা জানিয়ে দিয়েছে। বেজার কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। তাই এখানে বেজার কিছুই করার নেই।


দুই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সানোয়ারা গ্রুপ চায় না সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হোক। কারণ, জমি কেনার সময় বিষয়টি তাদের জানায়নি কাজী ফার্মস গ্রুপ। তাই এ নিয়ে তাদের অসন্তোষ আছে। এ ছাড়া সেখানে সানোয়ারা গ্রুপের আরও জমি রয়েছে। অবশিষ্ট জমিও কিনে নিতে কাজী ফার্মসকে অনুরোধ করেছিল সানোয়ারা গ্রুপ। কিন্তু সেই জমির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিল কাজী ফার্মস। তাদের দাবি, অবশিষ্ট ওই জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা আছে। এই অস্বীকৃতির পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। বিষয়টি বেজা থেকে আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

এ নিয়ে সানোয়ারা গ্রুপের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জমি নিয়ে কাজী ফার্মসের সঙ্গে কিছু ঝামেলা হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, উভয় পক্ষের মধ্যে একটা সুরাহা হবে।’ তিনি বলেন, ‘যেখানে কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে, সেখানে মোট জমি আছে ৩০০ একরের মতো। এর মধ্যে ১৩০ একর অধিগ্রহণ করেছে কাজী ফার্মস। বাকি ১৭০ একরের মতো জমি কাজী ফার্মস নেবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা চাই, তারা বাকি জমিও কিনে নিক।’

এ সম্পর্কে সম্প্রতি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালে বেজার বোর্ড সভায় যখন কাজী ফার্মস গ্রুপের অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তখন তাদের বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। তারা সেসব শর্ত এখনো পূরণ করতে পারেনি। জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। দুই ব্যবসায়ী গ্রুপ যদি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে কিংবা সমঝোতা করে, তাহলে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হবে।

শেখ ইউসুফ হারুন আরও বলেন, কাজী ফার্মস যেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তার মাঝখানে আরও বেশ কিছু জমি আছে। সেই জমির কী হবে, তারও সুরাহা হওয়া উচিত।

এদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স পাওয়ার আগে বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিতে বলা হয়েছে কাজী ফার্মস গ্রুপকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা তা পায়নি।


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget