Articles by "প্রযুক্তি"

ফেসবুক ছাড়া যেন জনজীবন স্থবির। সেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে মাঝেমাঝেই তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। আর এতে করে অনেক গ্রাহকই ফেসবুকের প্রতি অসন্তুষ্ট। আর ফেসবুকের প্রতি এই অসন্তোষ কমাতে এর ডিজানেই আসছে আমূল পরিবর্তন। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ নতুন এই ডিজাইন সামনে এনেছেন। সেখানে কোম্পানির আইকনিক নীল রঙের বার বাদ গিয়েছে।  





নতুন ডিজাইন যোগ হয়েছে কোম্পানির মেসেজিং অ্যাপ ম্যাসেঞ্জারেও। নতুন এ ডিজাইন ফেসবুকের অনলাইন মার্কেটপ্লেস, ভিডিও অন ডিমান্ড ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে। সব ওয়েবসাইটেই এবার থেকে ছবিসহ স্টোরিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও চেনা মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসছে একটি নতুন ফিচার। 

জাকারবার্গ বলেন, ‘প্রাইভেট মেসেজ, ছোট সময় থাকা, স্টোরি আর ছোট গ্রুপ অনলাইন যোগাযোগে ভবিষ্যতে দিশা দেখাবে। ব্যক্তিগত চ্যাটে এনক্রিপশান যোগ করে সুরক্ষা করলে গ্রাহক ফেসবুক এ চ্যাট করতে আরও সুরক্ষিত বোধ করবেন।’

এসময় জাকারবার্গ ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা জানি সুরক্ষা প্রসঙ্গে আমরা নিজেদের নাম খারাপ করেছি।’

(breakingnews)

কামরুল হাসান : দেশের প্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকতার বিকাশ, উন্নয়ন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে পথচলা শুরু করেছে টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)। সোমবার রাত আটটার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভ্যাল হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন: গণমাধ্যমের সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল যুগে আমরা পা দিয়ে ফেলেছি। এই ডিজিটাল যুগ অনিবার্য এবং এর রূপান্তরও অনিবার্য। ডিজিটাল রূপান্তর না ঠেকিয়ে এটিকে সামলাব কীভাবে তা বের করতে হবে।
আলোচনায় ‍মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপনী ব্যয়ের কথা চিন্তা করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কথা ভাবতে হবে। প্রথাগত গণমাধ্যম থেকে ধীরে ধীরে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কীভাবে বিজ্ঞাপনী ব্যয় কমানো যায়, তা আমাদের দেখতে হবে।
মোবাইল ফোন সেবাদাতাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, ইউটিউব, গুগল, ফেসবুকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের টাকা তো বিদেশে চলে যাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। এতে করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপন দেশের বাইরে আর যাবে না।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ টি আই এম নূরুল কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন টিএমজিবির আহ্বায়ক মুহম্মদ খান।
(amadershomoy)

মঈন মোশাররফ : চাকরি নিয়ে বিদেশে যেতে আগ্রহীদের ভোগান্তি এবং খরচ কমাতে নতুন এক ওয়েবসাইট চালু করেছে বাংলাদেশ। সরকারি এই সাইটটি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংগঠন আইওএম এবং বিডিজবসডটকম-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। নতুন এই সাইটটি বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। ফলে এত কাল দালালরা যে অবৈধভাবে চাকরিপ্রার্থীদের হয়রানি ও প্রতারণার মাধ্যমে বাড়তি অর্থ আদায় করতো, তা বন্ধ হবে বলে মনে করছেন অ্যাক্টিভিস্টরা।

আইওএম-এর বাংলাদেশ কার্যালয়ের উপপ্রধান ডিমানশ শ্যারন এ বিষয়ে বলেন, অভিবাসীরা সাইটটিতে নিবন্ধন এবং নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন। ফলে নিয়োগদাতারাও সেরা কর্মীদের পাবেন। ওয়েবসাইটটি উভয়পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।
শ্রমিক অ্যাক্টিভিস্টরা জানান, প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন । বর্তমানে দেশটির ৭৫লাখ নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরি করছেন । শুধুমাত্র ২০১৭ সালে চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন অন্তত ১০লাখের মতো বাংলাদেশি, যা সরকারি হিসাব অনুযায়ী এক বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা। তাদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে নির্মাণ এবং পরিচ্ছন্ন শ্রমিকের কাজ করছেন।
চাকরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘কেরিয়ারকাস্ট’-এর হিসেবে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি বেতন পেয়েছেন সার্জন বা শল্য চিকিৎসকরা । গড়ে একেকজন চিকিৎসকের বাৎসরিক বেতন ৩ লাখ ৫২ হাজার মার্কিন ডলার।
(amadershomoy)

সালেহ্ বিপ্লব : ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় আছেন মার্ক জাকারবার্গ। বিশ্বাসযোগ্যতা যতোটা হারিয়েছে ফেসবুক, তা ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় লাগবে, নিজেই বুঝতে পারছেন। আর আস্থায় আসতে হলে বেশ কিছু কাজও করতে হবে, এমনটাই বললেন ওয়েব ডেভেলপারদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায়। জানালেন, সবার আগে প্রাইভেসিকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি ফেসবুককে নতুন করে সুরক্ষিত করতে চান। বেশ কিছু ধারাবাহিক পরিবর্তন আসবে ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপেও। বিবিসি

মার্ক যে সব পরিবর্তন আনতে চাইছেন, সেগুলোর মধ্যে শুরুতেই থাকছে মেসেঞ্জারের নিরাপত্তা। ওয়ান টু ওয়ান মেসেজ এখন থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও দেখতে পারবে না, আর এই বার্তাবিনিময়কে সমন্বিত করা হবে হোয়াটসঅ্যাপের সাথে।
এরপর থাকছে ইন্সটাগ্রামের প্রাইভেসি। ইন্সটাগ্রামের কনটেন্টে যেসব লাইক পড়বে, তা একমাত্র আইডির মালিকই দেখতে পারবেন।‘ প্রাইভেট লাইক কাউন্টস’ নামক এই পদ্ধতিটির এখন ট্রায়াল চলছে।
এরপর আসছে মেসেজ বক্সে শেয়ার করা কনটেন্টের স্থায়ীত্ব কমানোর বিষয়টি। শেয়ার করা কোন কনটেন্ট স্থায়ীভাবে ইনবক্সে সংরক্ষিত না থাকার অপশন নিয়ে কাজ করছেন মার্ক জুকারবার্গ।
হোয়াটস অ্যাপে একটা সিকিউরড পেমেন্ট সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিলো, তার পরীক্ষামূলক ব্যবহার এরই মধ্যে ভারতে করা হচ্ছে। এ বছরের শেষদিকে অন্যান্য দেশেও এই সুবিধা দেয়া হবে বলে জাকারবার্গ জানান।
নীল রঙে বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত ফেসবুক ওয়ালের ডিজাইন নতুন করে করা হচ্ছে। ইউজারদের নিউজ ফিডে কেন্দ্রীভূত করতে এই রিডিজাইনিং এরই মধ্যে আমেরিকায় শুরু হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে সব দেশের জন্যেই করা হবে।
আর একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন যেটি আসতে যাচ্ছে, তা হলো, ইন্সটাগ্রামের আসতে হলে ছবি বা ভিডিও দিতে হবে, এই নিয়মটি থাকবে না। টেক্সট, স্টিকার বা ড্রইংস দিয়েই ইন্সটাগ্রামে সক্রিয় থাকা যাবে।
এমন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন মার্ক জাকারবার্গ। আসলেই অনেক কাজ করতে হবে ফেসবুককে, আর এসব করতে হবে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য। প্রাইভেসি নষ্ট হবে না, এই গ্যারান্টি দিতে পারাটাই জাকারবার্গের জন্য বড়ো চ্যালেঞ্জ।
(amadershomoy)

আমরা অনুকরণ করবো না, আমরা উদ্ভাবন করবো– বিপিও ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য এই হোক আমাদের মূলমন্ত্র। রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হওয়া দুইদিনের বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন। এ সময় আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আর বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। আমরা আরও দ্রুত দেশের উন্নয়ন করতে চাই।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত দশ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রযুক্তি খাতকে গুছিয়ে এনেছে। এখন দ্রুতবেগে অগ্রগতির পালা। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছি। উন্নত দেশ হতে হলে প্রযুক্তি খাত থেকে আয় বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিপিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।


মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপিও খাতের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার বাজার গত ১০ বছরে ইতোমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এখনই সময়। এই খাতকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হলে এটি আমাদের দেশের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। ২০০৮ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কেবল গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যে ইন্টারনেট যেন নিরাপদ হয় সেজন্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেটে আমরা ইতোমধ্যে ফোরজি সেবা চালু করেছি; অচিরেই একে ফাইভজি’তে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এ হিসাবে তরুণদের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। বিপিও খাতে এখন বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। বর্তমানে বিপিও খাতে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে। আমরা যদি এই তরুণদের প্রশিক্ষিত করে এই খাতে কাজে লাগাতে পারি তাহলে খুব দ্রুতই বিপিও’র বিশ্ববাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
উদ্বোধন পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদসহ অতিথিরা সামিট প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ ২০১৯’। ২২ এপ্রিল সোমবার দুইদিনের জমজমাট এ আয়োজন শেষ হবে।
শেষ দিনের সেমিনার:
আগামীকাল সামিটের দ্বিতীয় দিন ২২ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর’ শিরোনামে দিনের প্রথম আয়োজন। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিপিও: ইমাজিং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেন্ডস’ শিরোনামে সেমিনার। বেলকনি হলে সকাল ১১টার ‘হেলথ্ কেয়ার আউটসোর্সিং’ শিরোনামে সেমিনার। দুপুর ২টায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। সুরমা হলে অনুষ্ঠেয় ‘রুরাল বিপিও: দ্যা নিউ হরিজন অফ এম্পোলিমেন্ট ফর ইয়ং ভিলেজার্স অফ বাংলাদেশ’ সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ২টার সময় মেঘনা হলে শুরু হওয়া ‘অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অফ উইমেন ওয়ার্কিং ইন বিপিও’ শিরোনামের সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯-এর সর্বশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বেলকনি হলে। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘আউটসোর্সিং টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’সেমিনার। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বলরুমে শুরু হবে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান।
সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে’র আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) ইত্যাদি।
সজীব ওয়াজেদ আরও বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ দশভাগেরও কম। আমি চাই এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে। দশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেননি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সফলতার সঙ্গে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আইসিটি খাতে উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এবং এই উন্নয়ন অল্প খরচেই করে দেখাচ্ছি বলে জানান সজীব ওয়াজেদ।
(banglatribune)

এরকম কিছু কল্পনা করতেও ভাল লাগবে যেখানে আপনার সেল ফোনের ব্যাটারিটকে রি-চার্জ করার প্রয়োজনটা আর থাকবে না। অবিশ্বাস্য হলেও ব্যাপারটা সত্যি।



এ যাবতকাল গবেষকরা ইলেকট্রনের ঘূর্ণায়মান শক্তিকে মাত্র দু শতাংশ জোরালো করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, সান আন্টোনিও অর্থাৎ ইউটিএসএ,টির বিজ্ঞানীদের এই দল, ইলেকট্রনগুলিকে, গ্র্যাফিনের জ্যাকেটের মধ্যে ধরে, তার মধ্যে মৃদু শব্দতরঙ্গ চালিয়ে তার শক্তিকে বহুগুণ বর্ধিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই কাজে তারা স্পাটারিং মেশিন ব্যাবহার করছেন।
যদি এটি সফল হয়, প্রায়োগিক দিক থেকে যেটা শুধু সেলফোনের ব্যাটারির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিশেষত কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। ইলেকট্রনের উপরে বা নিচের ঘূর্ণনকে ব্যবহার করে, এই নতুন প্রযুক্তি, যার সাথে, বিজ্ঞানীরা কম্টিউটারের শূন্য (০) আর এক(১) বিটের অদ্ভুত সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছেন।
(dailyinqilab)

পরিবেশ সহায়ক পণ্য বানাতে কয়েক বছর ধরেই কাজ করে আসছে অ্যাপল। পণ্য রিসাইক্লিংয়েও জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সে লক্ষ্যে এবার নতুন আরেকটি আইফোন রিসাইক্লিং রোবট উন্মোচন করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ডেইজি নামের নতুন রোবটটি আইফোন রিসাইকল করতে কর্মীদের সহায়তা করবে। ঘণ্টায় ২০০ আইফোন খুলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশগুলো আলাদা করতে পারে রোবটটি। খবর বিডিনিউজের।
প্রতিষ্ঠানের আগের আইফোন রিসাইক্লিং রোবট লিয়ামের উন্নত সংস্করণ হলো ডেইজি। ২০১৬ সালে লিয়াম রোবটের ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল।



 নয়টি মডেলের আইফোন আলাদা করতে পারে ডেইজি। আইফোন খোলার পাশাপাশি যন্ত্রাংশ আলাদা করতে এবং এর থেকে আইসি খুলতে পারে এটি। ডেইজির সঙ্গে ‘গিভব্যাক’ নামে একটি সাময়িক প্রকল্পও চালু করেছে অ্যাপল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টোরে বা অ্যাপলের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিভাইস রিসাইকলের জন্য দিতে পারবেন গ্রাহক। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া প্রতি ডিভাইসের জন্য কনজারভেশনাল ইন্টারন্যাশনাল-কে অনুদানও দেবে অ্যাপল। সমপ্রতি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, তাদের সব স্থাপনা এখন শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে চলছে। বিশুদ্ধ শক্তি ক্রয় এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করেছে অ্যাপল। এক বিবৃতিতে অ্যাপল প্রধান টিম কুক বলেন, ‘আমাদের পণ্যে থাকা উপাদান দিয়েই যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু মাধ্যমে সীমাবদ্ধতাগুলো কাটানোর চেষ্টা করছি, আমরা এগুলো এমনভাবেই পুনর্ব্যবহার করছি, সরবরাহকারীদের সঙ্গে আমাদের কাজ হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তির নতুন সৃজনশীল ও এগিয়ে নেওয়ার মতো উৎস তৈরি করা কারণ আমরা জানি এর উপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যত।’
(dainikazadi)

তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তি সুবিধা নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইবার অপটিকস পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
দুই দিনব্যাপী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট-১৯ আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এই সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দশ বছরে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ আসার আগে এত উন্নয়ন কেউ চিন্তাও করে নাই। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর হওয়া।’
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘এতদিন দেশের সব উন্নয়ন ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বাকি গোটা দেশই ছিল অবহেলিত। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেই লক্ষ্য থেকে ২০টি ডিজিটাল হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হলো এবং সেগুলো দেশজুড়ে গড়ে তোলা হলো।'
এসময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু হাইটেক পার্ক নয়, সরকার সারা দেশে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে এই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সংযোগ বিস্তৃত করা হয়। এখন স্থানীয় সরকারের ক্ষুদ্রতম ইউনিট ইউনিয়ন পর্যায়েও তা ছড়িয়ে যাচ্ছে।’
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রমের উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘বিপিও ও হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ বছরে ৫০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। নারী ক্ষমতায়ন আমাদের আরেকটি অগ্রাধিকার। তাই এই ৫০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীর বাইরে আরও ১০ হাজার নারীকে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যদিও আগের ৫০ হাজারের মধ্যেও প্রায় ৩০ শতাংশই নারী।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ।


(dainikamadershomoy)

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা করতে আবেদন জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান চায়না মোবাইল। এতে আপত্তি জানিয়েছে মার্কিন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)। সংস্থাটির দাবি চায়না মোবাইলকে কার্যক্রম পরিচালনায় অনুমতি দেয়া হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে। খবর এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চেয়ে ২০১১ সালে আবেদন করে চায়না মোবাইল। এফসিসির চেয়ারম্যান অজিত পাইয়ের বিবৃতিতে চায়না মোবাইলকে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে নিরুৎসাহী করা হয়েছে। এফসিসির উদ্যোগ সফল হলে দীর্ঘ আট বছর ধরে চায়না মোবাইলের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হবে।
গ্রাহকসংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর চায়না মোবাইল। গত ফেব্রুয়ারির হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহকসংখ্যা ৯৩ কোটিতে পৌঁছেছে।
আগামী মাসে ডেমোক্র্যাটস ও রিপাবলিকান মিলিয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এফসিসির কমিটিতে এ বিষয়ে ভোট নেয়া হবে। সেখানে এফসিসির নির্দেশের পক্ষে ভোট পড়লে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়না মোবাইলের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে।
তিনি জানান, অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার উপস্থাপন করা প্রমাণাদির মাধ্যমে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে চায়না মোবাইলের আবেদন বাস্তবিক অর্থে জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন প্রণয়নে ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
(bonikbarta)

উন্নত স্মার্টফোনের জন্য ২ বা ৩ গিগাবাইট র‌্যামকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বাজারে এখন দেশী-বিদেশী ব্র্যান্ডের ৪, ৬ কিংবা ৮ গিগাবাইট র‌্যামেরও কিছু ডিভাইস পাওয়া যাচ্ছে। চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা ফোরজির এ যুগে অধিক সক্ষমতার র‌্যাম মোবাইল ডিভাইসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এমন ৩ গিগাবাইট র‌্যামের সাশ্রয়ী কয়েকটি ডিভাইস নিয়ে আজকের আয়োজন—

ওয়াইসিক্স প্রো ২০১৯
ডিজাইন সচেতন তরুণ গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে দেশের বাজারে ওয়াইসিক্স প্রো ২০১৯ স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামের ৬ দশমিক শূন্য ৯ ইঞ্চি ডিউড্রপ নচ ডিসপ্লের ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ হ্যান্ডসেটে ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। এতে এলইডি ফ্ল্যাশ সুবিধার ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ডিভাইসটির স্যাফায়ার ব্লু ও মিডনাইট ব্ল্যাক সংস্করণের দাম ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে ব্যাক প্যানেলে এক ধরনের লেদার টেক্সার দেয়া অ্যাম্বার ব্রাউন সংস্করণটির দাম ১৩ হাজার ৫৯৯ টাকা।
প্রিমো এইচ৮
ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিওচালিত ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ১৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। ফোরজি সমর্থিত ৫ দশমিক ৪৫ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ডিসপ্লের এ হ্যান্ডসেটে ১ দশমিক ২৮ গিগাহার্টজের কোয়াড-কোর প্রসেসর আছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত ডিভাইসটিতে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। বাংলাদেশে তৈরি ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যুক্ত প্রিমো এইচ৮-এর দাম ৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।
প্রিমো আর৫ প্লাস
ওয়ালটনের দেশে তৈরি অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিওচালিত ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ১৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। ফোরজি সমর্থিত ৫ দশমিক ৭২ ইঞ্চি ফুলভিউ এইচডি প্লাস আইপিএস ডিসপ্লের ডিভাইসটিতে ১ দশমিক ৩ গিগাহার্টজের কোয়াড-কোর প্রসেসর রয়েছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত এ হ্যান্ডসেটে ১৩ মেগাপিক্সেলের অটোফোকাস রিয়ার এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ডিভাইসটির দাম ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা।
সিম্ফনি পি১১
সিম্ফনির ৫ দশমিক ৭ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ইনসেল ডিসপ্লের অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাটচালিত ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ৩২ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে আরো ৩২ গিগাবাইট বাড়ানো যাবে। ফোরজি সমর্থিত এ হ্যান্ডসেটে ১ দশমিক ৩ গিগাহার্টজের ৬৪-বিট কোয়াড-কোর প্রসেসর আছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত ডিভাইসটিতে ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ডিভাইসটির দাম ১২ হাজার ৯৯০ টাকা।
গ্যালাক্সি এম২০
স্যামসাংয়ের এম সিরিজের ফোরজি সমর্থিত ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লের ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ৩২ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিওচালিত ডিভাইসটিতে ১ দশমিক ৮ গিগাহার্টজের অক্টা-কোর প্রসেসর আছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত এ স্মার্টফোনে ১৩ ও ৫ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি-সংবলিত গ্যালাক্সি এম২০ স্মার্টফোনের দাম ১৪ হাজার ৯০০ টাকা।
(bonikbarta)

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নাসার ২৫তম হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জে উল্লেখযোগ্য ফল ভারতের। গোটা বিশ্বের ১০০টি স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। সেখানে চার-চারটি পুরস্কার পকেটে পুরল ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা। চাঁদ, মঙ্গল বা অন্য কোনও পাথুরে গ্রহের মাটিতে চলতে পারে এমন যান তৈরি করতে হয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের। টেস্ট রোভারের ডিজাইন এবং পারফরমেন্স দেখে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করে নাসা। 



যে তিন ভারতীয় দল চারটি পুরস্কার জিতেছে, তারা হল- গাজিয়াবাদের কেআইইটি গ্র‍ুপ অফ ইনস্টিটিউশনস। এরা পেয়েছে এআইএএ নিল আর্মস্ট্রং সেরা ডিজাইনের শিরোপা। এসটিইএম এনগেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে লাভলি প্রফোশনাল ইউনিভার্সিটি। মুম্বইয়ের মুকেশ পটেল স্কুল অফ টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পডুয়ারা পেয়েছে দুটি পুরস্কার। একটি ফ্র্যাংক জো সেক্সটন মেমোরিয়াল ক্রিউ অ্যাওয়ার্ড এবং অন্যটি সিস্টেম সেফটি চ্যালেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড। 


চার চাকার টেস্ট রোভার বানাতে হয়েছিল প্রতিযোগীদের। চাঁদ বা মঙ্গলের মতো কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের টেস্ট রোভার চালিয়ে দেখাতে হয় পড়ুয়াদের। প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পেয়েছে জার্মানি। ১২ ও ১৩ এপ্রিল এই প্রতিযোগিতা হয়। 
 
(eisamay)

বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ব্যয় বাড়ছে। চলতি বছর এ খাতে ব্যয় গত বছরের চেয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ৭৯ হাজার কোটি ডলারে (৩ দশমিক ৭৯ ট্রিলিয়ন ডলার) পৌঁছবে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ঘটছে দ্রুত। সংশ্লিষ্ট খাত এখন ডিজিটাল ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত বিশ্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় চলতি বছর খাতটির যেমন প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করা হয়েছিল, বাস্তবে তেমনটা হবে না।

গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ডাটা সেন্টার সিস্টেম বাজারে ব্যয়ে সবচেয়ে বেশি পতন দেখা যাবে। বাজারটিতে গত বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডাটা সেন্টার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সর্বনিম্ন গড় মূল্যের পতনের কারণে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে গার্টনারের রিসার্চ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন-ডেভিড লাভলক বলেন, মুদ্রা অস্থিরতা ও সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দার কারণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। যে কারণে গত প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) চেয়ে চলতি প্রান্তিকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় কিছুটা কমতে পারে। তবে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। কারণ তারা প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আয় বাড়াতে আগ্রহী। তবে ব্যয়ের ধরন কিছুটা পাল্টে যাবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয় বাড়ছে। আগামী কয়েক বছরেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে ব্যয় প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা শ্লথগতি দেখা যাবে। ভবিষ্যতে ডিজিটাল ব্যবসা, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), মেশিন লার্নিং (এমএন) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ক্লাউড প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা। ক্লাউড বাজার এতটাই ক্রমবর্ধমান যে চলতি বছর ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে এর আকার ২১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। গত বছর এ বাজারের আকার ছিল ১৮ হাজার ২৪০ কোটি ডলার। সাধারণ ব্যবহারকারী কিংবা বিভিন্ন খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ও স্টোরেজের মতো সেবার চাহিদা বেড়েছে।
ক্লাউড প্রযুক্তি বাজারে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি আসবে সিস্টেম অবকাঠামো সেবা খাত থেকে। চলতি বছর সিস্টেম অবকাঠামো সেবা খাতে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। ক্লাউড সিস্টেম অবকাঠামো সেবা খাতে ব্যয় গত বছরের ৩ হাজার ৫০ কোটি ডলারের চেয়ে বেড়ে ৩ হাজার ৮৯০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এখন ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন অবকাঠামো সেবা খাত বৈশ্বিক ক্লাউড বাজারের বড় একটি অংশ দখল করে আছে। চলতি বছর এ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। চলতি বছর ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন অবকাঠামো সেবা খাতে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে।
জন-ড্যাভিড লাভলক বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের (সিআইও) জন্য প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল ব্যবসা খাতে সফলতার জন্য তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠান পাবলিক কিংবা প্রাইভেট খাতের হোক না কেন, এআইয়ের সহায়তায় ব্যবসা মডেল ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। এআই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। যদিও বিভিন্ন ব্যবসা ও উৎপাদন-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এআই ব্যবহারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার বাজার বেড়েছে। এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় এখন নির্দিষ্ট অনুষঙ্গে সীমাবদ্ধ নেই। ব্যয়সংকোচন ও উদ্ভাবন বাড়াতে ক্লাউড সেবায় আপগ্রেড এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার বাজারের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
(bonikbarta)

রাজধানীতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজট কমাতে ‘ইয়েস পার্কিং’ নামে অ্যাপ চালু করেছে বাংলা ট্র্যাক গ্রুপ। এ অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তি ঘণ্টা ভিত্তিতে পার্কিং স্পেস ভাড়া নিতে পারবেন।

ইয়েস পার্কিং ডিজিটাল পার্কিং প্লেস হিসেবে সেবা দেবে। ইয়েস পার্কিং নগরবাসীর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে পার্কিং স্পেস শনাক্ত ও রিজার্ভ করতে সহায়তা করবে, যা রাজধানীতে পিক আওয়ারে গাড়ির যানজট কমাবে। এছাড়া যদি কোনো পার্কিং স্পেস খালি বা অব্যবহূত থাকে, তাহলে এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মালিকরা সেটা ভাড়া দিতে পারবেন।
ইয়েস পার্কিং বিষয়ে বাংলা ট্র্যাক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা মানুষের প্রয়োজন বিবেচনা করি এবং সচেতনতার সঙ্গে তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো যেমন—নেভিগেশন ও পার্কিং স্পেস খুঁজে পাওয়ার সমাধান দিতে পরিকল্পনা করি। আমরা বিশ্বাস করি, এসব বিষয়ে আরো অগ্রগতি হতে পারে। ইয়েস পার্কিং অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

৫জি ডিজিটাল ইনডোর সিস্টেম ও ৫জি ক্লাউড এক্স প্রযুক্তির প্রয়োগে নতুন মাত্রার হোটেল অভিজ্ঞতা আসতে চলেছেবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন ও শেনজেন টেলিকমের সঙ্গে বিশ্বের প্রথম ৫জি স্মার্ট হোটেল তৈরির জন্য কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।


হোটেল ইন্ডাস্ট্রির সমন্বিত টার্মিনাল ও ক্লাউড প্রযুক্তির সঙ্গে প্রথম এন্ড-টু-এন্ড ৫জি নেটওয়ার্ক প্রবর্তন করার মাধ্যমে প্রকল্পটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন হোটেলকে ৫জি স্মার্ট হোটেলে রূপান্তরিত করবে।
অতিথিদের সেরা উদ্ভাবনী ও বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা দিতে এবং ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে সমগ্র হোটেল শিল্পকে ডিজিটাল করার পথকে সুগম করবে এই উদ্যোগ।
শেনজেন টেলিকম ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনে হুয়াওয়ের ৫জি নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করছে যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইনডোর ও আউটডোর ৫জি কভারেজ নিশ্চিত করা যায়। এটি একটি নতুন প্রজন্মের হোটেল পরিষেবার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গণ্য হবে।
অতিথিরা ৫জি স্মার্টফোন ও গ্রাহককেন্দ্রিক সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে ৫জি হোটেল অ্যাপ্লিকেশনের সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও এতে থাকবে ৫জি ওয়েলকাম রোবট, ৫জি ক্লাউড কম্পিউটিং টার্মিনাল, ৫জি ক্লাউড গেম এবং ৫জি ক্লাউড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) রোয়িং মেশিন যা ব্যবসায়িক কাজে আসা কিংবা ভ্রমণরত অতিথিদের জন্য দক্ষ কর্মপরিবেশ এবং অনন্য বিনোদন নিশ্চিত করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশন, গোল্ডেন সানের সাংস্কৃতিক বাণিজ্যিক পর্যটন কমিটির মহাসচিব কাই ইউন, শেনজেন ওসিটি হোটেল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার, চায়না টেলিকম শেনজেন শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফেং ওয়েই এবং হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সলিউশন এর চিফ মার্কেটিং অফিসার ড. পিটার ঝু মূল বক্তব্য দেন।
হুয়াওয়ের ওয়্যারলেস সলিউশনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ড. পিটার ঝু বলেন, ‘৫জি এখন আমাদের দোরগোড়ায় রয়েছে – এই বছর হয়ে যাওয়া বসন্ত উৎসবের ভিডিও ফোরকে আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন মানে সম্প্রচার করা থেকে শুরু করে আজকের দিনের ৫জি বিনোদন ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলোর ব্যবসায়িক রূপান্তর- সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে চলেছে ৫জি। ৫জি প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে প্রবেশ করেছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে শেনজেন টেলিকমের সঙ্গে আমরা ৫জি ডিজিটাল ইনডোর সিস্টেম ও ৫জি ক্লাউড এক্স প্রযুক্তি সরবরাহ করেছি যা হোটেলের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি আমাদের উভয়পক্ষের ৫জি সক্ষমতার একটি প্রদর্শনী।’
তিনি বলেন, ‘হুয়াওয়ে ৫জি প্রযুক্তিতে স্বচ্ছ ও উন্মুক্তভাবে বিনিয়োগ চালিয়ে যাবে এবং শেনজেন টেলিকম ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনের সঙ্গে মিলে ৫জি স্মার্ট হোটেল নির্মাণের জন্য নির্ভরযোগ্য ৫জি অবকাঠামো তৈরি করবে। আমরা আন্তরিকভাবে আরও শিল্প অংশীদারদেরকে এই উদ্যোগের সঙ্গে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যাতে সবাই একসঙ্গে একটি সমৃদ্ধ ৫জি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারি।’
শেনজেন ওসিটি হোটেল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার গোল্ডেন সান বলেছেন, এই হোটেল সর্বদা অতিথিদের অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। যেহেতু ভোক্তাদের খরচ ক্রমেই বাড়ছে, তাই গ্রাহকরা উচ্চমান এবং সেবা আশা করছে। অতিথিরা সব সময় নতুন জিনিস এবং নতুন অভিজ্ঞতা আশা করে। শেনজেন টেলিকম এবং হুয়াওয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগটি এই হোটেলের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। উন্নত প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে এখন আমরা আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও সে অনুযায়ী কাজ করতে পারব।
তিনি বলেন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনে ৫জি এক্সপেরিয়েন্স জোন দেখতে আমরা অতি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি কারণ আমাদের তিন অংশীদারদের জন্যই ৫জি হোটেল গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপ একেবারে প্রথম। অন্যদিকে, আমরা ৫জি প্রযুক্তি প্রবর্তন করে স্মার্ট হোটেল এবং ডিজিটাল হোটেল রূপান্তরকে নিশ্চিত করতেও আশা করি।
গোল্ডেন সান আরও বলেন, আমরা হোটেলের বিভিন্ন বিষয়ে ৫জির আরও ব্যাপক প্রয়োগ করতে শেনজেন টেলিকম ও হুয়াওয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। আমরা আশা করি আমাদের অভিজ্ঞতা হোটেল শিল্প ও পর্যটনকে ডিজিটাল করতে সহায়তা করবে।
চায়না টেলিকমের শেনজেন শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফেং ওয়েই বলেন, শেনজেন টেলিকমের কাছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন হলো অত্যন্ত সম্মানজনক একটি গ্রাহক। প্রচুর ভিআইপি গ্রাহকের সংখ্যা, ব্যবহারকারীদের উচ্চমানের অভিজ্ঞতা, স্বল্প সময়ে সেবা প্রদান এবং সেরা মানের নির্মাণ পরিবেশ নিশ্চিত করে নেটওয়ার্ক স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
তিনি বলেন, হুয়াওয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় শেনজেন টেলিকম মাত্র দুই দিনের মধ্যেই প্রথমতলায় ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলিতে ৫জি নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স জোন স্থাপন করেছে। এর ফলে আমরা জিবিপিএস মানের ডাউনলোডের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পেরেছি এবং ৫জি-সমর্থিত হোটেল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছি যেগুলোতে বড় মানের ব্যান্ডউইথ এবং শর্ট ডিলে প্রযুক্তির দরকার হয়। ভবিষ্যতে আমরা পুরো হোটেলে ৫জি নেটওয়ার্ক সরবরাহ করবো এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন ও হুয়াওয়ে মিলে একসাথে বিশ্বব্যাপী ৫জি পাঁচ-তারকা হোটেলগুলোর জন্য অনুসরণীয় মানদণ্ড তৈরি করব।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন হলো চীনের প্রথম স্প্যানিশ ঘরানার বিলাসবহুল ব্যবসায়িক হোটেল। এটি শীর্ষস্থানীয় ও বৈশ্বিক ইভেন্টগুলোর জন্য একটি বড় অংশীদার। পুরো বছরজুড়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন তার সৃজনশীলতা, মননশীল পরিবেশ ও বিশেষায়িত পরিষেবার জন্য অনেক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় হোটেল ইন্ডাস্ট্রি পুরস্কার জিতেছে।
প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য শেনজেন টেলিকম ও হুয়াওয়ে যৌথভাবে হোটেলের প্রথমতলায় এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলোতে ৫জি ডিজিটাল ইনডোর সিস্টেম স্থাপন করেছে। হোটেল লবিতে অতিথিরা ৫জি ডাউনলোড ও আপলোডের জন্য তাদের সিপিই বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ৫জি নেটওয়ার্কে ঢুকতে পারবেন।
৫জি সম্বলিত বুদ্ধিমান রোবটগুলোর মাধ্যমে অতিথিদের তথ্য সংগ্রহ করা, গন্তব্য নির্দেশিকা দেয়া ও পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে হোটেল পরিসেবার মান আরও উন্নত হবে। নতুন নেটওয়ার্কে আচ্ছাদিত রাষ্ট্রীয় স্যুটগুলো অতিথিদের ক্লাউড ভিআর রোয়িং মেশিন, ক্লাউড গেমস ও ফোর-কে মানের চলচ্চিত্রের মতো ৫জি হোটেল পরিষেবা প্রদান করবে।
এই অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত এক্সপেরিয়েন্স জোনটি ছিল বিশ্বের দ্রুততম মোবাইল ডাউনলোড ও একটি অনন্য বহুমুখী টেলিযোগাযোগ ও অতিথি বিনোদন অভিজ্ঞতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই হুয়াওয়ের উদ্দেশ্য।
গ্রাহক-কেন্দ্রিক নতুনত্ব এবং উন্মুক্ত অংশীদারিত্বের দ্বারা পরিচালিত হয়ে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সমাধান পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান।
এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে কাজ করে চলেছে। এই বিশালসংখ্যক কর্মীরা বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

(jugantor)

সাবমেরিন ক্যাবলের কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের টার্মিনেটেড রিপিটার প্রতিস্থাপনের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল থেকে পহেলা মে পর্যন্ত ব্রডব্যান্ডের ধীরগতি হতে পারে। 
আরটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক এসএমডাব্লিউ৪ ও ওএন্ডএম (O&M, SMW4) এর বিভাগের মো. শাখাওয়াত হোসেন।  

এদিকে রক্ষণাবেক্ষণের সময় গ্রাহকদের সম্ভাব্য সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বিএসসিসিএল এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৪ (SEA-ME-WE-4) সাবমেরিন ক্যাবলের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে প্রথম ও তৃতীয় রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজ সম্ভাব্য ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে পহেলা মে পর্যন্ত চলমান থাকবে। এসময়ে এসএমডাব্লিউ-৪ (SMW-4) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনে টার্মিনেটেড সার্কিটসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে, এসময় এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৫ (SEA-ME-WE-5) সাবমেরিন ক্যাবল ও আইটিসি (ITC) অপারেটরের সার্কিটগুলি চালু থাকবে। যারা ব্রডব্যান্ড লাইন ব্যবহার করবেন খুব বেশি গতি থাকবে না। ঘণ্টায় গতি কয়েক জিবি কম হতে পারে।  
এছাড়াও, ব্রডব্যান্ডের এ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলার সময় এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৫ (SEA-ME-WE-5) এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথের সংযোগ প্রদানের কাজ সম্পন্ন করায় আন্তর্জাতিক ভয়েস, ডাটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসে উল্লেখযোগ্য কোনও সমস্যা হবে না।
জানা যায়, আইজিডাব্লিউ ও আইআইজি (IGW, IIG) এবং অন্যান্য টেলিকম সংস্থাকে বিএসসিসিল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখে আন্তর্জাতিক সার্কিট চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরসি/এসএস

(rtvonline)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget