চলন্ত বাসের গতি না কমিয়ে জোর করে নামিয়ে দেওয়ায় সড়কে ছিটকে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। অর্ধ শতাধিক সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ, চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানায় সংস্থাটি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তায় ও বাসে ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে সাহায্য চাইছে মরিয়ম। ৯ নভেম্বর সকালে প্রগতি স্মরণির মোড় থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি বাসে উঠে যমুনা ফিউচার পার্কে ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত যায় মরিয়ম। পরে সেখান থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ওঠে সে।
বাসে ওঠার ৫ মিনিট না যেতেই সিটিং সার্ভিসের দোহাই দিয়ে তাকে বাস থেকে নেমে যেতে বলে হেলপার। আর নামার সময় চালক বাসের গতি না কমিয়ে মরিয়মকে নামিয়ে দেয়। এসময় ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় শিশু মরিয়ম।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরের কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আটকের পর চালক রাজু মিয়া ও হেলপার ইমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ৫০ এর অধিক সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে, ঘটনার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসটির হেলপার বুঝতে পারে এক পথশিশু গাড়িতে আছে। তখন সে তাকে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে ,মেয়েটি যখন গাড়ি থেকে নামতে শুরু করে তখন গাড়িটির গতিবেগ ছিল ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ছিল। গাড়ির চালকের বক্তব্য মতে।
প্রাথমিকভাবে ঘটনায় ধর্ষণের আলামত পায়নি র্যাব। তবে ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, বাসে যেহেতু অন্যান্য যাত্রী ছিল হয়ত তাকে ধর্ষণ করা হয়নি। তারপরও ময়নাতদন্ত চলছে কিন্তু মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই সঠিক করে বলা যাবে না।
মরিয়ম খিলক্ষেত এলাকার কুড়াতলীতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো। ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করলেও আর্থিক দুরবস্থায় সাহায্যের জন্য পথে নামতে বাধ্য হয় সে। মরিয়মের মৃত্যুর ঘটনায় ভাটারা থানায় ৯ নভেম্বর সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করে মরিয়মের বাবা রনি মিয়া।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন