অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত সব আইসিসি ট্রফিই জিততে পেরেছে, শুধু একটি ছাড়া—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা নিয়ে যেতে প্রাণপণ লড়বে।
বিশ্বের বড় বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দাপটের সঙ্গে খেলা বেশ কিছু ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়া দলে থাকা সত্ত্বেও দল হিসেবে তারা খুব বেশি ভালো করতে পারেনি। এ সংস্করণে অনেক দিন ধরেই কঠিন একটা সময় পার করছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপে আসার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের পারফরম্যান্স ছিল সাদামাটা। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের পিচ এবং মাঠের বড় সীমানা ওদের বোলারদের বেশ সুবিধা দিয়েছে, বিশেষ করে অ্যাডাম জাম্পাকে। পাশাপাশি ডেভিড ওয়ার্নার তার চিরায়ত ভয়ংকর রূপে ফেরত আসায় এবার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।
কিন্তু এর আগে তাদের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে হবে, যারা এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভালো দল। বিশ্বকাপে পাকিস্তান অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে এবং তারাই একমাত্র দল, যারা সুপার টুয়েলভে একটি ম্যাচও হারেনি।
এমনকি কোনো ম্যাচ জিততে তাদের তেমন কষ্টও হয়নি। শুধু আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের হেরে যাওয়ার মতো একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু সে ম্যাচও আসিফ আলীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এক ওভারের বেশি বল হাতে রেখে জিতে নেয়।
পাকিস্তান সব সময়ই শক্ত প্রতিপক্ষ। সহজাত প্রতিভাধারী বেশ কিছু খেলোয়াড় আছেন তাদের দলে। কিন্তু যে বিষয়ের জন্য তারা সব সময় পিছিয়ে পড়ত, তা হলো উত্তেজিত মানসিকতা। এবার বাবর আজমের দলের সবাই আগের তুলনায় অনেক শান্ত এবং ম্যাচের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তারা অনেক সচেতন।
বাবর যদি নিজেকে ফিট ও অনুপ্রাণিত রাখতে পারে, তাহলে কোনো সন্দেহই নেই যে সে সর্বকালের সেরাদের একজন হতে পারবে। সে নিজেকে পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যেও একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অসাধারণভাবে ম্যাচের পরিস্থিতি পড়তে পারে এবং সে যেভাবে খেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী ফিল্ডিং সাজাচ্ছে ও বোলার পরিবর্তন করছে, তা অবিশ্বাস্য রকম নিঁখুত।
দলের বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণের জন্য খেলার কোনো পরিস্থিতিতেই বাবর বোলারের অভাবে ভুগবে না। একজন অধিনায়কের জন্য এটা অনেক বড় একটা সুবিধা। আজকের খেলায় তাদের খুব দ্রুত কিছু উইকেট তুলে নিতে হবে। কারণ, ফিঞ্চ–ওয়ার্নার জুটি যদি দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে থামানো খুব কঠিন হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন