অতিরিক্ত দামে কোনোভাবেই কোনও পেট্রোল পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারবে না। কেউ জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম নিলে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত দামের (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকা এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ৮৬ টাকা) অতিরিক্ত দামে কোনোক্রমেই কোনও পেট্রোল পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারবে না।
গত ৪ নভেম্বর লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়, ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। কিন্তু অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ‘পেট্রোল-অকটেন নিয়ে গুজব’ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছে। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। গত ৯ নভেম্বর অকটেন ও পেট্রোলের মোট মজুত ছিল ৫৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের বেশি।
এছাড়া প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদানুযায়ী বিপিসি’র আমদানি পরিকল্পনা বা আমদানিসূচি অনুযায়ী নভেম্বর মাসে একটি পার্সেলে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন অকটেন ইতোমধ্যে আমদানি করা হয়েছে এবং অপর একটি পার্সেলে ২০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অকটেন আমদানি করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, ডিসেম্বর মাসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অকটেন আমদানির আমদানিসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহকে অরও সুসংহত করবে।
প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন