দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা করোনার একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছেন। বর্তমানে তারা এর সম্ভাব্য প্রভাব জানতে কাজ করছেন।
আজ রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বি.১.১.৫২৯ নামক এই ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশনের একটি 'খুব অস্বাভাবিক কনস্টেলেশন' আছে। যেটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতে এবং এটিকে আরও রূপান্তরযোগ্য করে তুলতে সহায়তা করতে পারে।
ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর ইঙ্গিত অনুযায়ী, গাউটেংয়ের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশে এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে দেশটির অন্যান্য ৮টি প্রদেশে এটি ছড়িয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায় ১০০টি নমুনাতে বি.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া নিশ্চিত করেছে। তবে, এই ভ্যারিয়েন্টটি বতসোয়ানা এবং হংকংয়েও পাওয়া গেছে। হংকংয়ের শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার একজন ভ্রমণকারী।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গাউটেংয়ে নতুন শনাক্তদের ৯০ শতাংশ বি.১.১.৫২৯ হতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজ এক বিবৃতিতে বলেছে, যদিও তথ্য সীমিত, তারপরেও আমাদের বিশেষজ্ঞরা নতুন ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে জানতে অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন। তারা সম্ভাব্য প্রভাবগুলো কী হতে পারে তা জানার চেষ্টা করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ভাইরাসের বিবর্তন নিয়ে শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) একটি ওয়ার্কিং গ্রুপকে জরুরি বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা বলেছেন, সরকার এই ভ্যারিয়েন্টের প্রতিক্রিয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
এর আগে, গত বছর প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে বেটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন