Latest Post

 



পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মা-বাবা ও মেয়ে , দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের

মেয়ের সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সে জন্য তাকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন মা-বাবা। সে যাত্রা থেমে গেছে এক দুর্ঘটনায়। পথে বাসচাপায় তিনজনই নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দাসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজন হলেন সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান (৫৫), তাঁর স্ত্রী হামিদা বেগম (৪৫) ও তাঁদের মেয়ে মেহের নিগার (১৪)।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসুদুর-হামিদা দম্পতির মেয়ে মেহের নিগার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। আজ তার সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সে জন্য সকাল ৯টার দিকে মাসুদুর রহমান একটি মোটরসাইকেলে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে মাদ্রাসার দিকে রওনা দেন। এ সময় ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়কের দাসপাড়া এলাকায় ঢাকাগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে হামিদা বেগমের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় মাসুদুর রহমান ও মেহের নিগারকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তাঁদের মৃত্যু হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। বাস নিয়ে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করা যায়নি।

আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |


  


মাদারীপুরে নিখোঁজের দুদিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর মৌসুমি আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর দুধখালী এলাকার একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৌসুমি আক্তার সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের উত্তর দুধখালী এলাকার মানিক হাওলাদারের মেয়ে। তাঁর স্বামীও একই এলাকার বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী ইলিয়াস মিয়া। কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে মৌসুমির পরিবার। তাঁর পাঁচ ও চার বছর বয়সী দুটি সন্তান আছে।

 পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে মৌসুমি তাঁর বাবার বাড়ি উত্তর দুধখালী থেকে দাদির বাড়ির উদ্দেশে বের হন। দাদির সঙ্গে দেখা করে আর বাড়িতে ফেরেননি তিনি। পরে তাঁর সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করে পরিবার। কোথাও মৌসুমির সন্ধান না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার। গতকাল সন্ধ্যায় উত্তর দুধখালী এলাকার একটি বাগানে এক নারীর লাশ দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা পুলিশকে জানালে রাত ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মৌসুমির খালাতো বোন তানজিলা আক্তার বলেন, ‘আমার বোনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু কারা এ কাজ করেছে, তা আমরা বুঝছি না। আমার বোনের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তবু তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। যারা তাঁকে হত্যা করেছে, তাদের ধরতে আমরা পুলিশের সহযোগিতা চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, লাশটির গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় গাছের ভাঙা ডালের সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। পুলিশ তদন্ত করছে ও অপরাধীদের ধরতে কাজ করছে। নিহত মৌসুমির লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 






 

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু



কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ শুরু

কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদের সভাপতিত্বে ওই সভা শুরু হয়। গণসমাবেশে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টায় কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর মোনাজাত হয়। মোনাজাতে বিএনপির নিপীড়িত নেতা-কর্মী, গুম ও হত্যার শিকার নেতা-কর্মীদের জন্য দোয়া করা হয়। পরে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এরপর তিন জেলা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

দুপুর একটার পর মঞ্চে আসেন কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে টাউন হল মাঠ ছাপিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নগরের জিলা স্কুল সড়ক, ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়ক, নজরুল অ্যাভিনিউ, পুলিশ লাইনস সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। কুমিল্লা টাউন হল মাঠের সামনের সড়কে, পূবালী চত্বর ঘিরে আছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। তাঁদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলের পাঁচ নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে এ গণসমাবেশ করছে। এর আগে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ হয়। পরে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে সমাবেশ হয়। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ হবে।

আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 








  


ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর ডাকাতি 

ব্যাংকের নথিপত্রে নাবিল গ্রেইন ক্রপস লিমিটেডের অফিসের ঠিকানা বনানীর বি ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ভবন। ঋণ পাওয়া মার্টস বিজনেস লিমিটেডের ঠিকানা বনানীর ডি ব্লকের ১৭ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ি। সেখানে গিয়ে মিলল রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের অফিস। তবে মার্টস বিজনেস লাইন নামে তাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এভাবেই ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র।

সব মিলিয়ে নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি বছরেই এ অর্থ নেওয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ তুলে নেওয়া হয় চলতি মাসের ১ থেকে ১৭ নভেম্বর। যার পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এ জন্যই ব্যাংকটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ বলে অভিহিত করছেন।

একইভাবে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকেও ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এ কোম্পানিগুলো। ফলে এ তিন ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদসহ দেনা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এমন সময়ে এসব অর্থ তুলে নেওয়া হয়, যখন ব্যাংক খাতে ডলার–সংকটের পর টাকার সংকট বড় আলোচনার বিষয়। ব্যাংক তিনটির নথিপত্র পর্যালোচনা করে এ সব তথ্য মিলেছে।

এভাবে ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। যে ব্যবসায় ঋণ দিয়েছে, তা যথাযথ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। অর্থনীতি সংকটের সময় এমন বড় অনিয়ম হলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংককে উদ্যোগী হয়ে এসব বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। ওপরের নির্দেশের জন্য বসে থাকলে চলবে না।
এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ঋণের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোতে পরিদর্শন চলছে। মূলত ভোগ্যপণ্য আমদানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ঋণ নেওয়া এসব কোম্পানি। ফলে দ্রুত সময়ে এসব অর্থায়নের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।

নেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড (ঋণ পরিশোধে বিরতি) দেওয়া হয়েছে এক বছর। ফলে এক বছরের মধ্যে কোনো অর্থ শোধ দিতে হবে না। এসব ঋণের ভবিষ্যৎ বুঝতে কমপক্ষে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। সূত্রগুলো জানায়, এসব ঋণের সুবিধাভোগী ব্যাংক তিনটির মালিকপক্ষই। যেসব কোম্পানির নামে টাকা তোলা হয়, তার মধ্যে একটির মালিকের ঠিকানা চট্টগ্রামে। আর বাকিগুলো রাজশাহীতে। বেশির ভাগ কোম্পানির নথিপত্রে রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:


 


ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮, এখনো অনেকে নিখোঁজ

ইন্দোনেশিয়ায় জাভা দ্বীপে সোমবারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮তে উঠেছে, তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা এজেন্সি তাদের সবশেষ ঘোষণায় বলছে - এখনো আরো ১৫১ জন নিখোঁজ রয়েছে।

রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি জাভার পার্বত্য এলাকায় আঘাত হানে সোমবার। এর ফলে যে ভূমি ধস হয় তাতে কোথাও কোথাও পুরো গ্রাম মাটি চাপা পড়েছে।

কমপক্ষে ২২,০০০ বাড়ি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে এবং ৫৮,০০০-এরও বেশি লোক বাড়িঘর হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন ।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সি বলছে, নিহতদের অনেকেই শিশু - যারা দুপুর একটায় ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় স্কুলে ছিল। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি লোক।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া দেশটি অবস্থিত - যাকে বলা হয় রিং অব ফায়ার। এ দেশটিতে আগেও বহুবার মারাত্মক কিছু ভূমিকম্পও সুনামি হয়েছে । সবশেষ ২০১৮ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি ভূমিকম্পে ২,০০০এরও বেশি লোক নিহত হয়।


সোমবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ৬ মাইল নিচে, এবং প্রথম দফার পর অনেকগুলো ছোট ছোট ভূকম্পন হয় - যাতে দুর্বল কাঠামোর ওপর তৈরি করা বাড়িঘরগুলো ভেঙে পড়ে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আরো পড়ুন:


 


সৌদির কাছে হারলেই শেষ হয়ে যায় না আর্জেন্টিনা

সময়ের হিসাব মেলায় মহাকাল, ঘটনার ঘনঘটার এ বিশ্বে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। আর চাকতির মতো ঘোরা বিশ্বে অঘটনও অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

নিশ্চয়তা যেখানে বেশি, অনিশ্চয়তা সেখানে অনিবার্য পরিণতি নয় কি? আর সেই সময় স্রোতে আটকে গিয়ে আর কী বা করতে পারতেন ফুটবল গ্রহের কেন্দ্রবিন্দু লিওনেল মেসি।

টানা ৩৬ ম্যাচ জয়ের নিশ্চয়তা ছিল বলেও হয়তো এমন অনিশ্চয়তার রাহুগ্রাস। দিনেরও যেমন সন্ধ্যা হয়, নতুন শুরুর অপেক্ষায় নিতে হয় খানিক আঁধারে বিশ্রাম। মেসির আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও হয়তো ঘটেছে তাই। বিশ্রামের পরই হয়তো নতুন সূর্যের আলোভরা আকাশ নিয়ে মেসি পায়ের জাদুতে আঁকবেন নতুন ছবি, কাব্যসুধায় হৃদয় ভরাবেন ফুটবলের মহাকবি।
হারকে জয় করে কেমন করে বিজয়ের ধারায় ফিরতে হয়, লিওনেল মেসির চেয়ে সেটা আর কে বেশি জানে। ওই পায়ের স্রোতেই তো রোজ ফুটবল সুরধারা পুলকিত হয় নতুন গানে। তাই একটা হার দিয়েই কি মেসি কিংবা আর্জেন্টিনাকে এভাবে বিচার করা যায়? মোটেও নয়।

ফুটবলে কাননে মেসি, ম্যারাডোনা কিংবা আর্জেন্টিনা যে ফুল ফুটিয়েছেন যুগের পর যুগ, কালের পর কাল ধরে সে সৌরভ পাবেই মহাকাল। ততোদিন ম্যারাডোনা, মেসি থাকবেন; যতদিন থাকবে ফুটবল।

স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে আসর শুরুর আগেই বলেছেন, মেসি যদি বিশ্বকাপ না জিতে অবসরে যান সে হবে বড্ড অন্যায়, ভীষণ অবিচার। তার মানে মেসি ফুটবলে এমন জায়গা জুড়ে আছেন, তার প্রতিপক্ষও বিনা শর্তে মানেন, তারা জানেন; মেসির কাছে নস্যি ওই সাড়ে ৩৬ ইঞ্চি ধাতুর ট্রফি বরং ট্রফির জীবনটাই বৃথা যাবে যদি তাকে না ছোঁয় সময়ের সেরা জাদুকর।

তাই ট্রল যারা করেন, মেসিকে হেয় করতে চান কথায় কথায়- তাদের ঠুনকো একটা খেলা নয়, মোহান্ধ সময় নয়, ফুটবলটাকে বোঝা বড্ড জরুরি। মেসির হালের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছে, সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। এমন তিনি এটাও বলেছে, আমাকে বাদ দিলে মেসি সময়ের সেরা নিশ্চয়ই।

আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি হয়তো সে বিচারেই বলেছে, বিশ্বকাপ জেতাই শেষ কথা নয়। বিশ্বকাপ জয় করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই; নেই কোনো নিয়মও। আর যারা ম্যারাডোনার হাতের গোল মানে হ্যান্ড অব গড নিয়ে সমালোচনা করেন, ট্রলে মজেন, তারা একই ম্যাচের গোল অব দ্য সেঞ্চুরির কথাও জানেন নিশ্চয়ই। আট জনকে পাশ কাটিয়ে দেওয়া ম্যারাডোনার সেই গোল এখনও ইতিহাসের অন্যতম সেরা।

তাই সৌদির কাছে একটা হারেই যারা আর্জেন্টিনা কিংবা মেসির শেষ দেখছেন, তাদের জানা জরুরি- খেলা এখনও শেষ হয়ে যায়নি, আসল চ্যাম্পিয়নরা জানেন কীভাবে ফিরে আসতে হয়, ঘুরে দাঁড়াতে হয় কেমন করে। মাঠের খেলায় আর্জেন্টিনা সৌদির বিপক্ষে কিন্তু দারুণ দাপটেই ছিল, মুহূর্ত কেবল তাদের দেয়নি সমথর্ন! মনে রাখা জরুরি, নস্যি মেঘের নিচে কখনো কখনো দস্যি-শক্তিমান সূর্য্যও ঢাকা পড়ে। সুতরাং এখনও শেষ হয়নি খেলা, বেলা আরও বাকি আছে....

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget