Latest Post

 



লিবিয়ার ত্রিপোলিতে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ২৩


লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিপক্ষ দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ত্রিপোলির জরুরি সেবা বিভাগের একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলেছে, ত্রিপোলি নগরীর কেন্দ্রীয় এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে বেশ কিছু সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার দপ্তর রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনও রয়েছে সেখানে। গতকাল শুক্রবার সেখানকার আইন জারা ও আসবাস এলাকায় এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।


লিবিয়ায় প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধের পর কিছু সময় ধরে শান্তি বিরাজ করছিল। কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সর্বশেষ উদাহরণ এই সংঘর্ষ। সেখানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। এই বিভাজনের ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ত্রিপোলিতে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

ত্রিপোলি অ্যাম্বুলেন্স অ্যান্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেসের মুখপাত্র ওসামা আলী বলেছেন, সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৭ জন আহত হয়েছেন। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন বেসামরিক নাগরিক।


সংঘর্ষে জড়িত দুই প্রধান পক্ষের একটি হলো প্রেসিডেন্সি কাউন্সিল। তিন সদস্যের এই পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর পক্ষটি হলো রাডা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল সকালে ত্রিপোলির মধ্যাঞ্চল ঘিরে ত্রিপোলির সবচেয়ে ক্ষমতাশীল রাডা বাহিনীর সদস্যদের চলাফেরা করতে দেখা যায়। অন্যদিকে প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের প্রধান ভবনটি এ সময় ফাঁকা ছিল।

সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেইবাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে নতুন একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে তাঁর দপ্তর। আবদুল হামিদ ত্রিপোলিভিত্তিক ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ প্রধান।


গত রাতে প্রথমে এই সংঘর্ষ শুরু হয় আইন জারা অঞ্চলে। সেখানে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের নিরাপত্তাবাহিনী ও রাডা বাহিনীর যোদ্ধারা।


গতকাল দুপুরে ত্রিপোলির মধ্যাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার পরিস্থিতি ছিল শান্ত। সেখানে কিছু যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিছু যানবাহনে বুলেটবিদ্ধ হওয়ার গর্ত দেখা যায়।

প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে লড়াই বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, সরকারি ও সামরিক বাহিনীর কৌঁসুলিরা এ ঘটনার তদন্ত করবেন।

ত্রিপোলির প্রধান বিমানবন্দর মিতিগায় কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ বন্ধ ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ পরে ঘোষণা দিয়ে জানায়, সেখানে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

কেন এই সংঘর্ষ, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই সংঘর্ষ মিলিশিয়া সমর্থিত দেশটির প্রতিপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে চলমান অস্থিরতা ও দ্বন্দ্বের অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


আরো পড়ুন:

  1. সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
  2. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  3. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  4. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  11. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



এমএলএম কোম্পানি খুলে প্রতারণা, সেই ৩ মাদ্রাসার শিক্ষকসহ গ্রেফতার ৮


সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড (এসবিএসএল) নামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন মাদ্রাসা শিক্ষকসহ আট প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব সদস্যরা। শনিবার বেলা ১১টায় র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. ইলিয়াস খান সংবাদ সম্মেলন করে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-এসবিএসএল কোম্পানির চেয়ারম্যান ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার চর আউশিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন, কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঝিনাইদহের মহেশপুর পদ্মপুকুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মহসিন আলী |

 কোম্পানির ফিন্যান্স ডিরেক্টর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গোবরা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. ইমরান হোসেন , কোম্পানির কর্মী কুমারখালী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের জলিল বিশ্বাসের ছেলে মো. হাসান আলী , মহেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল হান্নান , ওয়াশি গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মো. মোস্তফা রাশেদ পান্না , বাঁশ গ্রামের আলাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মো. আইয়ুব আলী ও বহল বাড়িয়া এলাকার আলতাফ শেখের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান ।


র‍্যাব জানায়, প্রতারক চক্রটি কুষ্টিয়ায় এসবিএসএল নামে একটি এমএলএম কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। কোম্পানিটির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় ৩০০ পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া ছাড়াও ওই কোম্পানি ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা পর্যন্ত প্রতারণার জাল ফেলে।

 প্রতারণার কৌশল হিসেবে কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে গ্রাহকদের ১২০০ টাকা দিয়ে কোম্পানির আইডি খুলতে বলা হতো। 


প্রতি আইডি থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা ও আইডি বাবদ প্রদানকৃত ১২০০ টাকার সমমূল্যের পণ্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হতো। শুরুর দিকে কিছু গ্রাহক টাকা ও পণ্য পাওয়ার কারণে অনেকেই আইডি খুলতে উৎসাহিত হয়েছিল। এক সময় গ্রাহকদের লভ্যাংশের টাকা না দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় প্রতারক চক্রটি।

চক্রটির প্রতারণার বিষয়ে একজন ভুক্তভোগী ২৬ আগস্ট কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প র‍্যাব ১২-এর একটি আভিযানিক দল র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই কোম্পানির পাঁচজন জন সদস্য এবং পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে আরও তিনজনকে ঝিনাইদহ জেলা ও ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।


র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেফতার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এসবিএসএল কোম্পানির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর ও কুমারখালী থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়া কোম্পানির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি চেক জালিয়াতির মামলা, ম্যানেজিং 

ডিরেক্টর মহসিন আলীর বিরুদ্ধে একটি চেক জালিয়াতি ও পাঁচটি স্ট্যাম্প জালিয়াতির মামলা এবং ফিন্যান্স ডিরেক্টর ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে তিন মাদ্রাসা শিক্ষকসহ পাঁচজনকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী দুটি পরিবার কুমারখালী থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করেন। গ্রেফতার আটজনের মধ্যে নিখোঁজ হওয়া ওই পাঁচ ব্যক্তিও রয়েছেন।


আরো পড়ুন:



 



সিলেটে ৩ প্রবাসীর মৃত্যু জেনারেটরের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে 


সিলেটে যুক্তরাজ্য-প্রবাসী তিনজনের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়নি, বরং তারা আবদ্ধ ঘরে জেনারেটরের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, নিহত ওই তিনজনের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন, কেমিক্যাল এনালাইসিস রিপোর্ট ও প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা পর্যালোচনা করে যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেটা তাদের হাতে এসেছে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা। প্রবাসী পরিবারটি সেখানে ভাড়া থাকত ও তারা ব্যক্তিগত জেনারেটর ব্যবহার করতো।


সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘সাধারণত সবাই জেনারেটর বাইরে রাখে। কিন্তু ওই পরিবারটি যে ফ্ল্যাটে ছিল, জেনারেটরটি সেখানেই ছিল। এর ধোঁয়া তারা যে কক্ষে অবস্থান করছিল সেখানে প্রবেশ করাতেই দম বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।’


সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ধিরারাই গ্রামের রফিকুল ইসলাম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ থেকে গত ১২ জুলাই বাংলাদেশে এসেছিলেন।

এর এক সপ্তাহ পর পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিয়ে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর স্কুল রোডে একটি চারতলা বাড়ির দোতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি।

২৫ জুলাই রাতের খাবারের পর রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে মোট পাঁচজন একটি কক্ষে আর ফ্ল্যাটের অন্য দুটি কক্ষে তার শ্বশুর-শাশুড়িসহ অন্য স্বজনরা ঘুমিয়েছিলেন।

কিন্তু সকালে প্রবাসী পাঁচজন ঘুম থেকে না ওঠায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ দরজা ভেঙ্গে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়


হাসপাতালে নেয়ার পর রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ছেলেকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এর কয়েকদিন পর রফিকুল ইসলামের মেয়েও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।


পুলিশ বলছে, ওই পরিবারটির সাথে কারো কোনো বিরোধ বা অর্থনৈতিক লেনদেনের কোনো তথ্য তারা পায়নি। আবার লাশে রাসায়নিক বা বিষক্রিয়ার কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি।


‘এ ঘটনায় জেনারেটরের ধোঁয়া ছাড়া আর কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। দীর্ঘক্ষণ জেনারেটর চালু থাকায় ধোঁয়ায় কক্ষটির মধ্যে অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হয়। ফলে নিঃশ্বাস নিতে না পেরেই রফিকুল ইসলাম ও ছোটে ছেলের মৃত্যু হয়েছিল,’ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন পুলিশ সুপার।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ সদস্যদের ওই কক্ষে রেখে জেনারেটর ছেড়েও দেখা হয়েছিল এবং ধোঁয়ায় তারাও বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারেননি।

পরিবারটির পরিচয়

রফিকুল ইসলাম ছিলেন একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার। তার জন্ম বাংলাদেশের সিলেটে।বাবার ব্রিটিশ নাগরিকত্বের সূত্র ধরে ১৯৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে আসেন

এই পরিবারটি ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের রিভারসাইড এলাকায় বসবাস করে। রফিকুল ইসলামের দুই ভাই, এক বোন এবং মা-ও থাকেন কার্ডিফ শহরে। পরিবারটির এই অবস্থার পর তাদের সবাই সিলেটে ছুটে গেছেন।

কার্ডিফে রফিকুল ইসলামের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, ১২ জুলাই এই পরিবারটি দুই মাসের জন্য বাংলাদেশে যায়।

তার আগে পরিবারটিকে বিদায় জানাতে তারা সবাই কার্ডিফে একত্রিত হয়েছিলেন।

নিহত রফিকুল ইসলামের বোনের স্বামী আব্দুল মুমিন খান কার্ডিফ থেকে বিবিসি বাংলাকে জানান, মূলত পরিবারের বড় ছেলের চিকিৎসার জন্যই তারা বাংলাদেশে গিয়েছিলেন।

‘বড় ছেলের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে। ইংল্যান্ডে বহু বছর ধরে চিকিৎসা করিয়েও কোনো উন্নতি হয়নি। লন্ডনের প্রাইভেট হাসপাতালেও তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। তাই পরিবারটি তাদের ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাংলাদেশে যান,’ বলেন তিনি।

আব্দুল মুমিন খান জানান, পরিবারটি সপ্তাহখানেক ঢাকার একটি হোটেলে অবস্থান করে। এসময় বড় ছেলেকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তারা চলে যান সিলেটে।


posted by bbc 


আরো পড়ুন:

  1. সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
  2. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  3. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  4. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  11. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



সিলেটে বন্ধ ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার


সিলেট নগরের বালুচর এলাকায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর (৩১) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার গভীর রাতে তাঁকে দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তিরা নাম ইসমাইল নিয়াজ খান (৪০)। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বাসিন্দা। ইসমাইল নিজেকে ওই নারীর স্বামী বলে দাবি করেন। তবে বিয়ের কোনো কাগজপত্র নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ইসমাইল।


গত মঙ্গলবার রাতে নগরের পাঁচতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটের তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় লাশের পাশে ওই নারীর দেড় বছরের মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে ওই শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নানির কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল রাতে ওই নারীর মা বাদী হয়ে শাহপরাণ (রহ.) থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও মামলার এজাহারে ইসমাইলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।


শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ইসমাইল একেক সময় একেক কথা বলছেন। তিনি কখনো বলছেন ব্যবসা করেন, আবার বলছেন তিনি সম্প্রতি প্রবাস থেকে ফিরেছেন। ইসমাইল ওই নারীকে ‘মৌখিকভাবে বিয়ে’ করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে এই বিয়ের কোনো কাগজপত্র নেই।


পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ইসমাইলের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই মাসে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় ডিসেম্বরে আদালতে অভিযোগপত্রও জমা হয়েছে। এর পর থেকে ইসমাইল পলাতক ছিলেন। পরে চলতি বছরের জুনে তিনি ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২ আগস্ট তিনি জামিনে বের হন।


ওসি আনিসুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ইসমাইল আরও একটি বিয়ে করেছেন। ওই পরিবারে চার সন্তান আছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর পরিবারের সদস্যরাও থানায় এসেছিলেন। পরে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।


Posted by prothom alo


আরো পড়ুন:


 



বালিয়াডাঙ্গীতে বিএনপির সভায় আ.লীগের হামলা, অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত | 


নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

বিএনপি'র সভাস্থল ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে দলীয় কার্যালয়ের ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ ছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। 


বুধবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীদের বক্তব্য দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এতে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তা বাজারে থমথমে পরিবেশ রয়েছে।

এদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ রেখে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করে বলে জানান স্থানীয়রা। 

বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল প্রতিবাদ সভা। কিন্তু হঠাৎ বিএনপির এক নেতা আ.লীগকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে ক্ষিপ্ত হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সভাস্থলে হামলা চালান। 

ভাঙচুর করেন শতাধিক চেয়ার। এ সময় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বিএনপির নেতাদের। দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনো বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তা বাজারে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

অন্যদিকে নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ রেখে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করে।


এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মাহবুবর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

পরে আমরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতর অবস্থান নিলে বাইরে সভাস্থল ভাঙচুর করে। আমরা জেলার শীর্ষ নেতাকর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রয়েছি। দলীয় কার্যালয়ের দরজা ভেঙে আমাদের ওপর কয়েকবার  হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।’

এর আগে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৩টায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির ডাক দেয়া বিক্ষোভ মিছিল হয় চৌরাস্তায়। এরপর নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সভায় বক্তব্য দিতে শুরু করেন। সভায় আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় এমপিকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিলে হামলা চালান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।


এদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের লোকজন কোনো হামলা চালায়নি। 

বিএনপির কর্মসূচিতে রাজনৈতিক বক্তব্য না দিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে আসা বিএনপি নেত্রী নাজমা আক্তার স্থানীয় এমপিকে (দবিরুল ইসলামকে) জড়িয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপির মধ্যে থাকা স্থানীয় এমপির সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করেছে।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, বিএনপির উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও তাদের লোকজন হামলা চালায়। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে পরিবেশ শান্ত হলে দলীয় কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ সদস্যরা।


আরো পড়ুন:



 



রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ৬


রাঙামাটির দুর্গম লংগদুতে আঞ্চলিক দুই দলের গোলাগুলির ঘটনায় ৬জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার ছোট কাট্টলী নামের এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান।


এলাকাটি দুর্গম হওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বুধবার সকাল পর্যন্তও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।


প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সংগঠক অঙ্গ মারমা এ ঘটনার জন্য সংগঠনটি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করছেন।


এ বিষয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর লংগদু শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা জানান, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। ছোট কাট্টলী এলাকায় কিছু সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে ওই এলাকাটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা।


লংগদু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সাধন কুমার চাকমা সকালে জানান, রাতে গোলাগুলির শব্দ পেয়েছি। সকালে সেনাবাহিনীর একটি টহলদলের সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ওখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না শুনেছি ফিরে আসার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।


তবে লংগদু থানার তদন্ত ওসি মো. সানজিদ আহম্মেদ জানান, গোলাগুলির খবর রাতে শুনেছি। ঘটনাস্থলে এতোই দুর্গমে রাতে আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল সেখানে যাচ্ছে। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget