লিবিয়ার ত্রিপোলিতে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ২৩
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিপক্ষ দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ত্রিপোলির জরুরি সেবা বিভাগের একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলেছে, ত্রিপোলি নগরীর কেন্দ্রীয় এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে বেশ কিছু সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার দপ্তর রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনও রয়েছে সেখানে। গতকাল শুক্রবার সেখানকার আইন জারা ও আসবাস এলাকায় এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
লিবিয়ায় প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধের পর কিছু সময় ধরে শান্তি বিরাজ করছিল। কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সর্বশেষ উদাহরণ এই সংঘর্ষ। সেখানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। এই বিভাজনের ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ত্রিপোলিতে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ত্রিপোলি অ্যাম্বুলেন্স অ্যান্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেসের মুখপাত্র ওসামা আলী বলেছেন, সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৭ জন আহত হয়েছেন। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন বেসামরিক নাগরিক।
সংঘর্ষে জড়িত দুই প্রধান পক্ষের একটি হলো প্রেসিডেন্সি কাউন্সিল। তিন সদস্যের এই পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর পক্ষটি হলো রাডা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল সকালে ত্রিপোলির মধ্যাঞ্চল ঘিরে ত্রিপোলির সবচেয়ে ক্ষমতাশীল রাডা বাহিনীর সদস্যদের চলাফেরা করতে দেখা যায়। অন্যদিকে প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের প্রধান ভবনটি এ সময় ফাঁকা ছিল।
সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেইবাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে নতুন একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে তাঁর দপ্তর। আবদুল হামিদ ত্রিপোলিভিত্তিক ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ প্রধান।
গত রাতে প্রথমে এই সংঘর্ষ শুরু হয় আইন জারা অঞ্চলে। সেখানে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের নিরাপত্তাবাহিনী ও রাডা বাহিনীর যোদ্ধারা।
গতকাল দুপুরে ত্রিপোলির মধ্যাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার পরিস্থিতি ছিল শান্ত। সেখানে কিছু যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিছু যানবাহনে বুলেটবিদ্ধ হওয়ার গর্ত দেখা যায়।
প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে লড়াই বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, সরকারি ও সামরিক বাহিনীর কৌঁসুলিরা এ ঘটনার তদন্ত করবেন।
ত্রিপোলির প্রধান বিমানবন্দর মিতিগায় কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ বন্ধ ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ পরে ঘোষণা দিয়ে জানায়, সেখানে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
কেন এই সংঘর্ষ, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই সংঘর্ষ মিলিশিয়া সমর্থিত দেশটির প্রতিপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে চলমান অস্থিরতা ও দ্বন্দ্বের অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
- সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
- জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
- ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
- ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
- Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
- পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে
- Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া
- সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
- নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
- ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন